জিরা পানি শরবত রেসিপি ও উপকারিতা সম্পর্কে জানুন:
এই গরমে এবার খেয়ে দেখুন ভিন্নধর্মী এই শরবত জিরা পানি । এই গরমে আমাদের শরীর প্রচুর পরিমানে পানি দরকার, তবে মাঝে মাঝে পানির সাথে টানি হলেও খারাপ হয় না। শরীর যেমন পানি খোঁজে, তেমনি জিহ্বা খোঁজে স্বাদ। ফলের শরবত তো আমরা সবসময়ই খাই। আজকে লিখছি জিরা পানি নিয়ে। জিরা রান্নার একটি আইটেম হলেও এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখে। যা অনেক রেস্টুরেন্টে আজকাল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। আমাদের বাড়িতে এটার কদর বেশ অনেকদিন থেকেই। তাহলে চলুন চলে যাই জিরা পানিতে।
জিরা পানি রেসিপি
উপকরণঃ
তেঁতুল জুস স্বাদ মত
আখের গুড় ৫ টেবিল চামচ
চিনি ২ টেবিল চামচ
লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
জিরা হালকা করে ভাজা ২ চা চামচ
বিট লবণ ১ চা চামচ
পানি ৬ কাপ
সাদা গোল মরিচ গুড়াা হাফ চামচ
প্রস্তুত প্রনালি :
প্রথমেই তেঁতুলের জুস বানাবার মত পরিমাণে তেঁতুল বিশুদ্ধ পানিতে ভিজিয়ে রাখলাম প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট। ভিজিয়ে রাখার সময় পার হবার পর তেঁতুলের কাথ-টা ভালোমতো ছেঁকে নিয়ে তেঁতুলের বিচি ফেলে দিই। তেঁতুলের সেই ছেঁকে নেয়া কাথের সাথে ৬ কাপ খাবার পানি মিশিয়ে নিলাম। চাইলে তেঁতুল এর পরিবর্তে লেবু ব্যবহার করতে পারেন। ২ চা চামচ জিরা ভেজে গুড়া করে নিতে হবে। গোল মরিচ গুড়া করে নিতে হবে। গুঁড়া করা জিরা, গোল মরিচ গুঁড়া, বীট লবণ, চিনি, আখের গুড় , ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে মিশাই যতক্ষন না চিনি গলে যায়। যদি কেউ এই পানিয় ডায়েট এর জন্য খেতে চান তবে চিনির বদলে সুগার ফ্রী ব্যবহার করতে পারেন। চিনি গলে যাবার পর শরবতটি ছেঁকে নিন।খাবার আগে গ্লাসগুলিকে রেফ্রিজারেটরে কিছুক্ষণ রেখে ঠান্ডা করে নিওয়া ভাল। পরিবেশনের আগে বরফ, পুদিনা পাতা দিয়ে সাজিয়ে দিতে পারেন। হয়ে গেল আমাদের জিরা পানি। জিরা পানি যেমন খেতে সুস্বাদু তেমনি পুষ্টি গুনে ভরপুর।
জিরা পানি এর স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
ওজন কমাতে- দিনে দু’বার এই জিরাপানি খেলে এটি পেটের ক্ষুধা কমিয়ে দেয় যার ফলে খাওয়ার ইচ্ছেটা কমে যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি-এতে আয়রনের পাশাপাশি বেশ ভালো পরিমান ভিটামিন এ ও সি থাকে যা থেকে অ্যান্টি অক্সিডেণ্টের সুবিধা পাওয়া যায়।এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কাজ পরিচালনা করে।
রক্তশূন্যতার চিকিৎসা- জিরাতে থাকা আয়রন রক্তস্রোতে অক্সিজেন বহনকারী হিমোগ্লোবিনের পরিমান বৃদ্ধি করে।
অ্যাসিডিটি- যেকোনো ভারী খাবার খাওয়ার পর জিরাপানি খেলে অ্যাসিডিটির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য- যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য আছে তারা দিনে দুইবার এই পানীয়টি পান করতে পারেন।
গ্যাসের সমস্যা- গ্যাসের কারনে পেট ফুলে থাকে তাহলে জিরাপানি খেতে পারেন যতক্ষন না পেটের গ্যাস দূর হয়।
পানিশূন্যতা দূরীকরণ- এর অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতার মাঝে একটি হচ্ছে গরম কালে এটি দেহকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে।
ভালো ঘুমের জন্য- যাদের মাঝে ইন্সমোনিয়া বা ঘুমের সমস্যা আছে তাদের জন্য জিরাপানি খুব উপকারী। নিয়মিত খেলে ভালো ঘুম হয়।
তলপেটের ব্যাথা কমাতে- মাসিকের দিনগুলোতে তলপেটে ব্যাথা অনুভব করেন অনেক নারীই, তাদের এই ব্যাথা কমাতে অল্প অল্প করে সারাদিন জিরাপানি খেতে পারেন।
ব্রণের চিকিৎসায়- জিরা পানি ব্রণের জন্য প্রাকৃতিক ঔষধের কাজ করে