চিকিৎসাসেবা এবং টিআইবির প্রতিবেদন

Author Topic: চিকিৎসাসেবা এবং টিআইবির প্রতিবেদন  (Read 946 times)

Offline kekbabu

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 78
  • Test
    • View Profile
    • https://daffodilvarsity.edu.bd/
চিকিৎসাসেবা এবং টিআইবির প্রতিবেদন   [দৈনিক যুগান্তর, তারিখ: ৯.২.২০১৮ (পৃ.৪), প্রিন্ট সংস্করণ]
ড. কুদরাত-ই-খুদা বাবু

দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ৭ ফেব্র“য়ারি ‘বেসরকারি চিকিৎসাসেবা : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গবেষণা প্রতিবেদনটিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় বেসরকারি পর্যায়ের ৬৬টি হাসপাতাল এবং ৫০টি রোগনির্ণয় কেন্দ্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং এতে বেসরকারি চিকিৎসা খাতসংশ্লিষ্ট আইন ও নীতি পর্যালোচনা, প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, এসব প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসাসেবা, বেসরকারি চিকিৎসাসেবার বিপণনব্যবস্থা, তথ্যের স্বচ্ছতা এবং তদারকির বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা যায়, দেশের বেসরকারি চিকিৎসাসেবা খাতে বাণিজ্যিকীকরণের প্রবণতা প্রকট এবং বেসরকারি চিকিৎসাসেবায় সরকারের যথাযথ মনোযোগেরও ঘাটতি রয়েছে। এতে একদিকে এটি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে, অন্যদিকে কিছু ব্যক্তির এ খাত থেকে বিধিবহির্ভূত সুযোগ-সুবিধা আদায়ের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।

গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত ১১৬টির মধ্যে ৯৭টি প্রতিষ্ঠান পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র নেয়নি। শুধু তা-ই নয়, বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রধান আইন ‘দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স ১৯৮২’ প্রণয়নের পর এখন পর্যন্ত হালনাগাদ (আপডেট) করা হয়নি। এ আইনের কোনো বিধিমালাও করা হয়নি। দীর্ঘ এক দশকের বেশি সময় বেসরকারি চিকিৎসাসেবা আইনের খসড়া নিয়ে কাজ করা হলেও তা এখনও আইন হিসেবে প্রণয়ন করা হয়নি। অথচ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণকারী জনসংখ্যার প্রায় ৬৩.৫ শতাংশ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা নেন। সুতরাং এ খাতের এ ধরনের ভয়াবহ চিত্র নিশ্চয়ই দেশবাসীর জন্য, বিশেষ করে এ খাত থেকে সেবাগ্রহণকারীদের জন্য উদ্বেগজনক এবং আতঙ্কেরও বটে। বাস্তবতা হচ্ছে, বেসরকারি চিকিৎসা খাতে সরকারি পর্যায়ে তদারকি ও জবাবদিহিতার অভাব থাকায় এ খাত থেকে সেবাগ্রহীতাদের জিম্মি করে উচ্চ মুনাফা অর্জন করছে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক। মূলত এসব প্রতিষ্ঠানের মালিক তাদের বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা না করে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়েছে।

শুধু বেসরকারি পর্যায়েই নয়, সরকারি পর্যায়েও দেশের চিকিৎসাসেবার চিত্র খুব একটা সন্তোষজনক নয়। ২০১৪ সালের ২৭ ফেব্র“য়ারি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ডাক্তার ধরে রাখার জন্য এমপিদের দায়িত্ব নেয়ার কথা বলেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এর আগে ২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বে অবহেলাকারী চিকিৎসকদের সতর্ক করে বলেছিলেন, ‘চিকিৎসকদের দায়িত্বে অবহেলাজনিত অপরাধের জন্য তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ জনগণকে সেবা দিতে সব চিকিৎসকে কর্মস্থলে উপস্থিত থাকতে হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাছাড়া গত বছরের (২০১৭) ২৯ ডিসেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাতটি সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অ্যাম্বুলেন্সের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রে থেকে যথাযথভাবে মানুষকে সেবা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অন্যথায় তারা চাকরি ছেড়ে দিতে পারেন বলেও মন্তব্য করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমরা যখন উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসকদের নিয়োগ দিই, তখন অনেকেই আছেন যারা কর্মক্ষেত্রে থাকতে চান না। বরং তারা যে কোনো উপায়েই ঢাকায় থাকেন। যদি চিকিৎসকদের ঢাকায়ই থাকার ইচ্ছা হয়, তাহলে তাদের সরকারি চাকরি করার প্রয়োজন নেই। রাজধানীতে বসে প্রাইভেট রোগী দেখে তারা অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন। তাই তাদের চাকরি ছেড়ে দিয়ে বাড়িতে চলে যাওয়াই ভালো। আমরা তাদের স্থানে নতুন নিয়োগ দেব।’ বাস্তবতা হচ্ছে, ঢাকায় অবস্থানরত অধিকাংশ চিকিৎসকই ঢাকার বাইরের জেলায় সাধারণত কাজ করতে চান না। আর এমন অভিযোগ বেশ প্রবল এবং এ ধরনের অভিযোগ অনেক আগে থেকেই উত্থাপিত হয়ে আসছে। অনেক চিকিৎসক আছেন যারা প্রভাব খাটিয়ে বছরের পর বছর রাজধানীতে কাজ করছেন। আবার অনেক চিকিৎসকই বাইরের জেলা থেকে ঢাকায় আসতে আদা-জল খেয়ে চেষ্টা-তদবির করেন। আর এ কারণেই রাজধানী ঢাকা যেন ডাক্তারদের যানজটে পরিণত হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অন্য সরকারি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি ঢাকার বাইরে কাজ করতে পারেন, তাহলে ডাক্তাররা পারবেন না কেন? কী কারণে সরকারি চিকিৎসকরা ঢাকার বাইরের জেলায় কাজ করতে চান না কিংবা কী কারণে তারা ঢাকায় থাকার ব্যাপারে এতটা মরিয়া, তা বুঝতে বোধ হয় কারও কষ্ট হওয়ার কথা নয়। গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসাসেবা নিয়ে যারা আন্দোলন করেন তাদের অভিযোগ হচ্ছে, বড় শহরগুলোর বাইরে চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার সুযোগ কম থাকায় চিকিৎসকরা সেদিকে যেতে অনাগ্রহী। গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ঢাকায় কর্মরত ১১০ চিকিৎসককে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বদলি করেছে। বদলির আদেশে বলা হয়েছে, ডাক্তাররা নতুন কর্মস্থলে যোগ না দিলে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তারা কোনো বেতন-ভাতা পাবেন না। কিন্তু অনেক ডাক্তার নির্ধারিত সময়ে তাদের নতুন কর্মস্থলে যোগ দেননি। বরং অনেক চিকিৎসক প্রভাব খাটিয়ে বদলির আদেশ ঠেকাতে তৎপর হয়ে উঠেন। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকসহ সবারই স্মরণ রাখা প্রয়োজন, শুধু ঢাকায়ই নয়, দেশের উপজেলা পর্যায়ে এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও চিকিৎসাসেবা পাওয়া জনগণের মৌলিক অধিকার।

রাষ্ট্রের কাছে জনগণের অন্যতম মৌলিক চাহিদার একটি হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। আর স্বাস্থ্য মানবসম্পদ উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত। সংবিধানের ১৫(ক) এবং ১৮(১)- অনুচ্ছেদে চিকিৎসাসেবা এবং জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। আর মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে চিকিৎসা অন্যতম, যা সবাই জানেন। আর চিকিৎসা নামক এ মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে এ দেশের জনগণকে কম হয়রানির শিকার হতে হয় না, বিশেষ করে তারা যদি কোনো সরকারি হাসপাতালে যান। এ দেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা, দুর্নীতি আজ আর কোনো নতুন বিষয় নয়। বরং পত্রিকার পাতা খুললেই চোখে পড়ে এ সংক্রান্ত নানা খবর। মফস্বল পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিয়মিত উপস্থিতি না থাকা, হাসপাতালের অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল রোগী ও তাদের স্বজনদের দালাল কর্তৃক প্রতারিত হওয়া, চিকিৎসা সরঞ্জামাদির অভাব, ডাক্তার সংকট, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি গায়েব করা, অধিক অর্থের লোভে সরকারি হাসপাতালের চেয়ে চিকিৎসকদের প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখতে অধিক মনোযোগী ও যতœবান হওয়া, সরকারি হাসপাতালে রোগীর সেবার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের অবহেলা ও আন্তরিকতার অভাব, ভুল চিকিৎসা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। আর এসব খবরের মধ্যে চিকিৎসকের অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার ফলে রোগীর শারীরিক ক্ষতি বা মারা যাওয়ার মতো দুঃখজনক খবরও থাকে। চিকিৎসকের অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যু ঘটলে বা আঘাত পেলে তার জন্য আইনে শাস্তির বিধান রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে চিকিৎসকের অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যু ঘটা বা ক্ষতি হওয়ার ক্ষেত্রে এ দেশে আইনের তেমন একটা প্রসার ও প্রয়োগ ঘটেনি। তাছাড়া চিকিৎসার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতাও খুব কম। ফলে চিকিৎসকের গুরুতর অবহেলার কারণে অনেক সময় রোগীর মৃত্যু ঘটলেও বা রোগী মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়লেও চিকিৎসকরা খুব সহজেই পার পেয়ে যান। বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ৩০৪(ক) ধারায় উল্লেখ আছে, কোনো ব্যক্তির অবহেলাজনিত কারণে যদি কারও মৃত্যু ঘটে, তবে ওই ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা জরিমানা অথবা দুটোই একসঙ্গে শাস্তি হিসেবে দেয়া যাবে। চিকিৎসকের অবহেলার জন্য দণ্ডবিধির আওতায় এবং টর্ট (দেওয়ানি প্রতিকার) আইনের আওতায় মামলা করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে আমাদের দেশের অধিকাংশ জনগণই সচেতন নন। অবহেলার সরাসরি প্রমাণ রয়েছে- এমন ক্ষেত্রেও চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না, যদি ক্ষতিগ্রস্ত রোগী বা রোগীর অভিভাবক আইনগত ব্যবস্থা নিতে না চান। প্রথম থেকেই তাদের ধারণা জন্মে যে, এ জন্য কিছুই হবে না। আর এ বিষয়ে আইনের অগ্রগতিটাও এ দেশে তেমনভাবে হচ্ছে না। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চিকিৎসকদের অবহেলার কারণে তাদের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে অনেক মামলা হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন সময়ে ভারতের আদালত এসব মামলার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রোগী বা ব্যক্তির উপকারও করেছেন।

বর্তমান সরকার সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ভূমিকা অগ্রণী এবং অপরিসীম। কারণ, চিকিৎসকদের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ অবস্থায় চিকিৎসকরা যদি শুধু ঢাকামুখী হন কিংবা কেবল ঢাকায়ই থাকতে মরিয়া ওঠেন, তাহলে সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নসহ সবার জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। জনগণের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চিকিৎসকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী ইতিপূর্বেও অনেকবার নির্দেশ দিয়েছেন, সতর্ক করেছেন। কিন্তু তেমন একটা লাভ হয়নি বলেই প্রতীয়মান হয়। ফলে সার্বিক দিক বিবেচনায় এমন একটি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি গড়ে তোলা প্রয়োজন যেন একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চিকিৎসকরা গ্রামীণ এলাকায় থেকে কাজ করতে বাধ্য হন। আর বাস্তব অবস্থা বিবেচনায় এবং জনগণের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে কার্যকর আইন প্রণয়নসহ তার যথাযথ বাস্তবায়ন করা জরুরি বিষয় হিসেবে দেখা দিয়েছে। বেসরকারি চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রণে একটি স্বাধীন কমিশন তৈরি করাটা সার্বিক দিক থেকেই অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। সর্বোপরি, জনগণের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের মন-মানসিকতার ইতিবাচকভাবে পরিবর্তন ঘটানো প্রয়োজন। প্রয়োজন অধিক অর্থের লোভ ও ব্যক্তিস্বার্থ পরিহার করা, দায়িত্ব-কর্তব্যে আন্তরিক ও সতর্ক হওয়া। কারণ চিকিৎসা একটি মহান পেশা, সেবামূলক পেশা।
ড. কুদরাত-ই-খুদা বাবু : সহযোগী অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি; অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের সদস্য
kekbabu@yahoo.com

Link: https://www.jugantor.com/todays-paper/sub-editorial/15711/%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%82-%E0%A6%9F%E0%A6%BF%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%A8/print

Dr. Kudrat-E-Khuda (Babu).
Associate Professor (Dept. of Law), Daffodil International University;
International Member of Amnesty International;
Climate Activist of Greenpeace International; Column Writer;
Mobile Phone: +8801716472306
E-mail: kekbabu.law@diu.edu.bd