পৃথিবী একই ভাবে ঘুড়ে চলে।
এই পৃথিবীর বুকে মানুষ বিচরণ করে বেড়ায়। শস্য উৎপাদন করে। নদীতে বাঁধ দেয়। কখনো মানুষ তার গর্ভে সঞ্চিত রত্ন ভাণ্ডারের খোঁজ করে। কখনো যুদ্ধ বিগ্রহে জড়িয়ে পড়ে। সহস্র হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। আবার এই মানুষেরাই কখনোবা ভালোবাসা দিবস বা পহেলা ফাল্গুন পালন করে। যুদ্ধ ও হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে তারা মানব বন্ধনও করে।
পৃথিবীর এতে কোন ভ্রূক্ষেপ নাই। সে মুহূর্তের জন্য থামে না - বা স্তব্ধ হয়ে যায় না। সকাল হয় তার পর দুপুর বিকেল সন্ধ্যা গড়িয়ে হয় রাত। শীতকাল গিয়ে আসে বসন্ত - গ্রীষ্ম পার হয়ে বর্ষা। সে এতটুকু বিচলিত হয় না।
কখনো ক্ষমতার হাত বদল হয়। কখনোবা ঐশ্বর্যের। যে পৃথিবীকে পদাবনত করতে মানুষ সদাতৎপর তারই কোন বিকার নাই।
পৃথিবীর বয়স ৪৫০ কোটি বছর। হাজার বছর ধরে সে দেখে এসেছে মানুষের এই বৃথা আস্ফালন। এক জন আসে - দাপিয়ে বেড়ায় পৃথিবী। যেন এই সে হয়ে গেল পৃথিবীর সর্বাধিকারী। কিন্তু মৃত্যুর পর তার ঠাই হয় এই পৃথিবীর মাটির নীচে। পচে যায় গলে যায় - হয়ে যায় পৃথিবীর মাটিরই অংশ। পৃথিবীর মাটিতে চাপা পড়ে মানুষের সব অহংকার আর দম্ভ। পৃথিবীর তাতেও কোন বিকার নাই। আবেগহীন নিশব্দে সে ঘুড়ে চলে। অহমিকাকে অপমানিত করার জন্য সে যেন বেছে নিয়েছে তার গম্ভীর নিসশব্দতাকে।
(আমার ফেসবুক পোস্ট থেকে।)