ডায়বেটিসের লক্ষণ দেখা দিলে

Author Topic: ডায়বেটিসের লক্ষণ দেখা দিলে  (Read 862 times)

Offline afrin.ns

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 423
  • Test
    • View Profile
ডায়বেটিসর লক্ষণ হচ্ছে ডায়বেটিস হওয়ার আগে সতর্ক বাত্রা। কারও রক্তে শর্করার পরিমান ডায়বেটিসের বর্ডার লাইনের কাছাকাছি হলেই বুঝতে হবে ডায়বেটিস হতে খুব দেরী নেই। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবনযাত্রা পরিবর্তন , চিকিৎসার মাধ্যমে এই সময় ডায়বেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব।

যদি পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে ডায়বেটিসের লক্ষণ দেখা যায় তাহলে আগের চেয়ে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে। সিড়ি ভেঙ্গে উঠা,নিয়মিত শরীর চর্চা এসব শুরু করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা জানান, যত বেশি শারীরিক কার্যক্রম বাড়ানো হবে ততই ডায়বেটিসের লক্ষণ কমে যাবে। কারণ শারীরিক কার্যক্রম রক্তে শর্করার পরিমান নিয়ন্ত্রণ এবং  শরীরের ফ্যাট কমায়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট করে সপ্তাহে অন্তত পাঁচদিন ব্যয়াম করতে হবে।

যদি আপনার ওজন বেশি থাকে ,তাহলে ওজন কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডায়বেটিসের লক্ষণ আছে এমন ব্যক্তিরা শরীরের ওজন ৫ থেকে ৭ ভাগ কমানোর কারণে তাদের ডায়বেটিসের আশঙ্কা শতকরা ৫৮ ভাগ কমে গিয়েছে।

ডায়বেটিসের লক্ষণ ধরা পড়লে প্রতি তিনমাস না হয় ছয়মাস পর পর চিকিৎসককে দেখানো উচিত।

খাবারের তালিকায়ও এই সময় কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। যেমন- পালং শাক, অন্যান্য সবুজ শাকসবজি, ব্রকলি, গাজর এবং সবুজ শিম এগুলো খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত তিনদিন খাদ্য তালিকায় এইসব খাবার রাখতে হবে।

এছাড়া প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় ফাইবারসৃদ্ধ খাবার এবং কমপক্ষে ১ থেকে ৩ টি ফল রাখতে হবে।

আবার উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন খাবার যেমন- ফাস্ট ফুড, চিপস, মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িতে চলতে হবে।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলেও ডায়বেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। এজন্য ডায়বেটিসের লক্ষণ দেখা দিলে ঘুমের জন্য আলাদা সময় বরাদ্দ রাখতে হবে। প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যাওয়া এবং সকালে একই সময়ে উঠার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ঘুমানোর আগে টিভি , কম্পিউটার দেখা, স্মার্ট ফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

ডায়বেটিসের লক্ষণ দেখা দেওয়া মানেই ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়া নয়। বরং ওজন নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়াম আপনাকে ডায়বেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।

সূত্র : ওয়েব এমডি