সে যুগে মুঠোফোন ছিল না, ইন্টারনেট নামের অন্তর্জালের বিস্তারও ছিল না। তবু গোলাগুলি আর শহীদ হওয়ার খবর ঠিকই পৌঁছে গেছে রাজশাহীতে।
২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় খবর পৌঁছামাত্র রাজশাহী কলেজের মুসলিম হোস্টেলের একটি কক্ষে সভা হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয় শহীদদের স্মরণে হোস্টেল প্রাঙ্গণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করা হবে। বৈঠকে রাজশাহী মেডিক্যাল স্কুলের এসএমএ গাফ্ফারকে সভাপতি আর রাজশাহী কলেজের হাবিবুর রহমান ও গোলাম আরিফ টিপুকে যুগ্ম সম্পাদক করে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। পরিষদের সিদ্ধান্তে ওই রাতেই শিক্ষার্থীরা রাজশাহী কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে ইট, কাদামাটি ও বাঁশ দিয়ে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে।
রাজশাহী কলেজ হোস্টেলের জনাদশেকের সঙ্গে আরো জনাদশেক মিলে রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হয় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটির নির্মাণকাজ। অদক্ষ হাতে রাত ১২টায় নির্মিত হলো শহীদ মিনার।
পর দিন ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে ওই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরই তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের পুলিশ সেটি ভেঙে দেয়।
রাজশাহী কলেজ কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে মুসলিম হোস্টেলের ফটকের কাছে ২০০৯ সালে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির সেই স্থানটিতে একটি ফলক নির্মাণ করা হয়। ফলকটি উন্মোচন করেন তৎকালীন মেয়র ও জাতীয় নেতা এ এইচ এম কামারুজ্জামান হেনার ছেলে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।