কিছু শিশু কেঁদে চলেছে। তাদের কান্নায় পৃথিবীর সব দুঃখ যেন প্রকাশিত হয়ে যাচ্ছে। যে মুখে দুষ্ট হাসি করতো খেলা। কিংবা যে চোখ বড় বড় হয়ে যেত বিস্ময়ে। সেখানে চোখের জল ছাড়া আর কিছু নেই। পৃথিবীর যা কিছু ভাল - যা কিছু অহংকারের সব কিছু ধূলিসাৎ করে কেঁদে চলে শিশু গুলো। তারা কেঁদে চলে - বাতাসে তার হু হু শব্দ শোনা যায়। দিনের আলো ভিন্ন হয়ে যায়। যে কবিতা পড়া হচ্ছিল তার অর্থ পরিবর্তিত হয়ে যায়। কিছু কবিতা মিথ্যা হয়ে যায়। ধমনীতে ঠাণ্ডা স্রোত প্রবাহিত হয়। পাশ দিয়ে যাওয়া পথিক থমকে দাড়িয়ে যায়।
যে শিশুরা হেসে উঠলে চারিদিক আলো হয়ে যেত - সেখানে এখন নিকশ কাল অন্ধকার নেমে এসেছে। দালান কোঠার বেলকনি থেকে শত চোখ তাকিয়ে থাকে অপরাধীর মত। ফুল ফুটলেও, বাতাসে তার সুগন্ধ থাকলেও তারা এই কান্নার কাছে পরাজিত। এত কষ্টের কান্না সহ্য করার ক্ষমতা কোন পাষাণেরও নাই।
ইচ্ছা করে সব মায়ায় তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দুঃখ ভুলিয়ে দেই। আবার হেসে উঠুক তারা। পথিক ফিরে যাক ঘরে। আকাশ বাতাস আবার আলোকিত হয়ে উঠুক।
(পরাজিত স্বপ্নচারী।)