মাটি থেকে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক!

Author Topic: মাটি থেকে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক!  (Read 1171 times)

Offline tnasrin

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 72
  • Test
    • View Profile
মাটির নমুনা থেকে ম্যালাসিডিনস নামের প্রাকৃতিক যৌগের সন্ধান পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা, যা নতুন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করবে।

নিউইয়র্কের রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা এই যৌগের সন্ধান পেয়েছেন। তাঁদের আশা, প্রাকৃতিক এই যৌগ ভবিষ্যতে কঠিন সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই যৌগ বিদ্যমান অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সুপারবাগ (ওষুধ প্রতিরোধী জীবাণু) এমআরএসএ-সহ (মেটিসিলিন-রেজিস্ট্যান্স স্টেফাইলোকক্কাস অরিয়াস) অন্যান্য বেশ কয়েকটি ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগের বিরুদ্ধে কাজ করে।

নতুন এই গবেষণা প্রতিবেদনটি সাময়িকী নেচার মাইক্রোবায়োলজিতে প্রকাশিত হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এই গবেষণা অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন আশা জাগাল।

বিশ্বব্যাপী চিকিৎসায় সবচেয়ে বড় হুমকি হলো ওষুধ-প্রতিরোধী জীবাণু (সুপারবাগ) বাহিত রোগ। এই রোগে প্রতিবছর প্রায় সাত লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। বর্তমান বিশ্বে এই সুপারবাগের বিরুদ্ধে নতুন চিকিৎসাপদ্ধতির আবিষ্কার জরুরি।

মাটিতে লাখ লাখ অণুজীব রয়েছে। তাই মাটিতে নতুন অ্যান্টিবায়োটিকসহ চিকিৎসায় ব্যবহারযোগ্য বিপুল পরিমাণ যৌগ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আর নিউইয়র্কের রকফেলার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন ব্র্যাডির নেতৃত্বাধীন দল সেটাই খুঁজে পেতে ব্যস্ত থেকেছে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে সংগৃহীত এক হাজারের বেশি মাটির নমুনা বিশ্লেষণে দলটি জিন সিক্যুয়েন্সিং পদ্ধতি ব্যবহার করে।

দলটি যখন অনেকগুলো নমুনাতে ম্যালাসিডিনস খুঁজে পায়, তখন তাদের কাছে মনে হয় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার। তারা ইঁদুরের মধ্যে ওষুধ প্রতিরোধী সুপারবাগ এমআরএসএর সংক্রমণ ঘটায় এবং পরে ওই ইঁদুরের ওপর ম্যালাসিডিনস যৌগের পরীক্ষা চালায়। তারা দেখতে পায়, ইঁদুরটি ওই সুপারবাগের সংক্রমণ থেকে মুক্ত হয়েছে।

মানুষের চিকিৎসায় ব্যবহার করার আশায় গবেষকেরা এখন এই ওষুধের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছেন। গবেষক ব্র্যাডি বলেন, ‘মানুষের চিকিৎসায় ম্যালাসিডিনসের মতো অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কবে নাগদা শুরু হতে পারে, তা বলা এখনই সম্ভব নয়। এটা নিতান্তই প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। প্রাথমিক এই আবিষ্কারের পর আমাদের আরও দুর্গম পথ পাড়ি দিতে হবে।’