জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী বিসিএসের ‘সোনার হরিণ’-এর পেছনে ছুটছেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেরই দ্বিতীয় কোনো পরিকল্পনা নেই। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে মনে হলো কোনো কোনো শিক্ষার্থী বিশ্বাস করেন, তাঁদের দ্বিতীয় কোনো পথও নেই। এই ‘বিশ্বাস’ একই সঙ্গে তাঁদের শক্তি ও দুর্বলতা। লক্ষ্যে অটল থাকছেন বলেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু শিক্ষার্থী বিসিএস ক্যাডার হচ্ছেন, আবার বিসিএস ক্যাডার হতে না পেরে অনেকেই ধরে নিচ্ছেন—সামনে এগোনোর বুঝি আর কোনো পথ নেই।
ইংরেজিতে একটা কথা আছে: ‘অলওয়েজ হ্যাভ আ প্ল্যান বি।’ অর্থাৎ সব সময় একটা বিকল্প পরিকল্পনা রেখো। বিশ্বখ্যাত টেনিস খেলোয়াড় সেরেনা উইলিয়ামস তো একবার এমনটাও বলেছিলেন, ‘যদি প্ল্যান “এ” কাজ না করে, আমার কাছে প্ল্যান বি, সি এমনকি ডি-ও আছে।’ অর্থাৎ এক নয়, একাধিক বিকল্প পরিকল্পনা থাকা উচিত। শুধু একটাই লক্ষ্য সামনে রেখে প্রস্তুতি নেওয়াটা অনেক সময় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। বিসিএসের প্রস্তুতির সঙ্গে আরেকটু চেষ্টা করলেই কিন্তু ব্যাংক কিংবা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির প্রস্তুতিটাও নেওয়া যায়। যত বেশি পথ তৈরি করা যায়, তত ভালো। ছোট-বড় সব ধরনের চাকরির জন্যই অন্তত চেষ্টা করতে পারেন, তাতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
আমরা টিমওয়ার্কে খুব ভালো নই। একেকটা মানুষের মধ্যে একেক দক্ষতা থাকে। কয়েকজনের দক্ষতা এক করে একটা উদ্যোগ নিতে পারেন, উদ্যোক্তা হতে পারেন। বিদেশে কিন্তু এই ব্যাপারটা এখন খুব প্রচলিত। আমরা সবকিছু একা একা করতে চাই। অনলাইনে এখন আলু, কলা থেকে শুরু করে কী না বিক্রি হচ্ছে? কত সুযোগ আছে সামনে! কিছু “সফট স্কিল” বা সাধারণ দক্ষতা নিজের মধ্যে গড়ে তুললেই কিন্তু অনেক সম্ভাবনার পথ তৈরি হয়। যেমন মানুষের সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলা, দলবদ্ধভাবে কাজ করার মানসিকতা গড়ে তোলা, এগুলোও একেকটা দক্ষতা।