হাড়ের কথা
মানবদেহ ২০৬ খানা হাড় দ্বারা গঠিত৷ হাড়সমূহ গিটের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে৷শরীরে দুধরনের হাড় পাওয়া যায়৷ সমতল হাড় এবং লম্বা হাড়৷ মাথার এবং মুখের হাড়সমূহ সমতল হাড় এবং হাত-পায়ের হাড়সমূহ লম্বা হাড়ের মধ্যে পরে৷দুই ধরনের কলা দিয়ে হাড় গঠিত৷স্পঞ্জের ন্যায় ভেতরের স্তরকে বলে জালীয় হাড় এবং বাইরের শক্ত অংশ বহিঃস্তরীয় হাড়৷রিমডেলিং বা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় হাড় সর্বদাই বদলাতে থাকে৷ অস্থিখাদক কোষের দ্বারা হাড় পরিবর্তিত হচ্ছে এবং পুনরায় গড়ে উঠছে অস্থিকোষ ৷
* বয়োসন্ধির সময় হরমোনের তারতম্যজনিত কারণে হাড়ের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়৷ এ কারণে বয়োসন্ধির আগে পর্যন্তই লম্বা হওয়া সম্ভব তারপর আর নয়৷
* রিমডেলিং বা পুনর্গঠন প্রক্রিয়া ভাঙা হাড় জোড়া লাগে৷
* স্থানভেদে ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগতে সাধারণত ৬-১২ সপ্তাহ সময় লাগে৷ বয়স্কদের ক্ষেত্রে সময় সাধারণত বেশি লাগে৷ হাড় দ্রুত জোড়া লাগার ক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাদ্যও একটা ফ্যাক্টর৷
* ভাঙাহাড় সবসময় জোড়া লাগে না৷
* হাড় জোড়া না লাগার কারণসমূহ :
* অধিক বয়স
* ঠিকমতো নাড়াচড়া না করা
* খাদ্যের অভাব, ভিটামিনের অভাব, ক্যালসিয়ামের অভাব
* অধিক শক্ত করে ভাঙা স্থান বাধার ফলে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে৷
কতিপয় অসুখ
বিভিন্ন ওষুধ যেমন - করটিকোস্টেরয়েড
রেডিয়েশন বা কেমোথেরাপি ইত্যাদি৷
হাড় এবং মাংসপেশীর কিছু সাধারণ রোগের নাম নিচে দেওয়া হলো-
১. হাড়ভাঙ্গা বা অস্থিভাঙ্গন
২. আর্থ্রাইটিস বা সন্ধিবাত
৩. কোমরে ব্যথা
৪. হা৺টুতে ব্যথা
৫. ঘাড়ে ব্যথা
৬. মাংসপেশীতে ব্যথা