[টনসিল অপারেশনে কি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে]
গলার পেছনে দু’পাশে দুটি টনসিল থাকে। এটি আমাদের জন্মের আগে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। জন্মের পর ক্রমান্বয়ে এর প্রয়োজনীয়তা কমে যেতে থাকে।
কারও যদি বারবার টনসিল প্রদাহ বা ইনফেকশন হয় তবে এ অঙ্গ জীবাণুর ঘাঁটি হয়ে যায়, তখন টনসিল রোগ প্রতিরোধের পরিবর্তে রোগ সৃষ্টিতে সাহায্য করে।
যদি কোনো বাচ্চা অসুখ-বিসুখে না ভুগে তা হলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এ অঙ্গ ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে যায়। টনসিলে বারবার রোগ হলে শিশুরা মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়ে।
টনসিলে ইনফেকশনের লক্ষণ : ঘনঘন গলা ব্যথা, সঙ্গে জ্বর এটি টনসিল ইনফেকশনের অন্যতম লক্ষণ। গলা ব্যথার কারণে শিশুরা খাবার গিলতে পারে না, বমি হয়। ফলে খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয় এবং দেহে পানি স্বল্পতা ও ক্যালরির অভাব দেখা দেয়।
টনসিলাইটিসে শ্বাস-প্রশ্বাসের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায় ফলে শিশু ঘুমের মধ্যে হাঁ করে ঘুমায়, শব্দ করে ও অনেক সময় দম বন্ধ হয়ে যায়। এটি শরীরের জন্য হুমকিস্বরূপ। কারণ এর ফলে শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়, রোগীরা খিটখিটে মেজাজের হয়।
টনসিলে কখন অপারেশন প্রয়োজন : অনেকে মনে করেন টনসিল বা এডেনয়েডে সমস্যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে যায়। এটি আংশিক সত্য। শিশু জীবনের প্রথমে এ ধরনের অসুস্থতায় বারবার ভুগলে চিকিৎসকের পরামর্শে অপারেশন করিয়ে নেয়া ভালো।