জামা‘আতে নামায পড়ার ফযীলত:-
(১) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাযি. থেকে বর্ণিত- নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, জামা‘আতের সাথে আদায়কৃত নামায একাকী নামাযের চেয়ে ২৭ গুন বেশী ফযীলতপূর্ণ। (বুখারী শরীফ হাদীস নং ৬৪৫)
(২) হযরত উসমান ইবনে আফ্ফান রাযি.-এর সূত্রে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম অন্যত্র ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ইশার নামায জামা‘আতের সাথে আদায় করল সে যেন অর্ধরাত দাঁড়িয়ে ইবাদত করল। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামা‘আতের সাথে আদায় করল, সে যেন সারারাত নামায পড়ল। (মুসলিম শরীফ হাদীস নং ৬৫৬)
(৩) হযরত আনাস রাযি.-এর সূত্রে অন্য এক হাদীসে বর্ণিত আছে, যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য লাগাতার ৪০ দিন ক্রমাগত তাকবীরে উলার সাথে জামা‘আতে নামায আদায় করবে, তার জন্য দুটি সনদ লিখে দেয়া হবে, ১টি হল তার জাহান্নাম থেকে মুক্তির। অপরটি হল মুনাফেকীর ফিরিস্তি থেকে মুক্তির। (তিরমিযী শরীফ হাদীস নং-২৪১)
(৪) হযরত আবু মূসা আশআরী রাযি. থেকে বর্ণিত- অপর এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি মসজিদ থেকে যতদূরে অবস্থান করে, সে দূর থেকে মসজিদে আসার দরুন ততবেশী সওয়ারে অধিকারী হবে। (বুখারী শরীফ হাদীস নং ৬৫১, মুসলিম শরীফ হাদীস নং ৬৬২)
(৫) হযরত আবু উমামা রাযি. থেকে বর্ণিত- অন্য এক হাদীসে আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঘর থেকে উযূ করে ফরয নামাযের উদ্দেশ্যে মসজিদ পানে রওনা হল, সে ইহরাম বেঁধে গমনকারীর প্রাপ্ত সওয়াবের পরিমাণ সওয়াবের অধিকারী হবে। (আবূ দাউদ শরীফ হাদিস নং ৫৫৮)