পৃথিবীটাকে দেখতে ইচ্ছা হয় পাখির মত আকাশ থেকে।
অনেক আকর্ষণ নিয়ে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা হয় - অনেকক্ষণ ধরে।
ঠিক সেই বৃদ্ধের মত আকর্ষণ নিয়ে। যে জানে আর মাত্র অল্প কয়দিন বাকি আছে।
দেখতে ইচ্ছা হয় ক্ষুধার্ত শ্রমজীবী মানুষের চোখে। হাস্পাতালে শুয়ে থাকা রুগীর চোখে।
কিংবা সেই দোকানি যে ক্রেতার অপেক্ষায় তার সম্ভার নিয়ে বসে আছে।
দেখতে ইচ্ছা করে সেই চোখে - বিদায় বেলায় যেভাবে তাকিয়ে থাকে প্রিয়জন।
দেখতে ইচ্ছা হয় সেই পরিস্কার চোখে। ঠিক যে রকম পরিস্কার হয় কালবৈশাখী ঝড়ের পরে।
চারিদিকে তৃষ্ণার্ত চাতক পাখির মত তাকিয়ে দেখি। কোথায় কখন ক্ষয়ে গেল এই পৃথিবী? বা তার রঙ গুলো।
ধূলায় ধূসরিত পৃথিবীটা দেখে চলি - এক্সরে ফিল্মে যেভাবে ছায়া ছায়া হাড় দেখা যায় - সেই রকম অস্পস্ট দৃশ্য ভেসে উঠে।
চারিপাশের দৃশ্যে মনের মাঝে নাই কোন আকর্ষণ - নাই কোন বিক্রিয়া। ঠিক যেভাবে সি সি ক্যামেরা তাকিয়ে থাকে সেই রকম তাকিয়ে থাকি পাথর চোখে। অপেক্ষা করি কখন রঙধনু রঙে হেসে উঠবে চারিদিক। বড়শি ফেলে মাছ শিকারী যেমন অপেক্ষা করে ঠিক সেই ভাবে।
আগে - যখন স্ফটিকের মত স্বচ্ছ দৃষ্টিতে দেখতাম চারিদিকের হাসি।
সুরের মূর্ছনাও যেন রঙিন ভাবে চোখে ধরা দিত।
ছিল সবুজ গাছ কখনো বা নীল আকাশ কিংবা বিশাল মাঠ। সব সময়ই ছিল চারিপাশে।
মনের মাঝে কষ্টের অনুভুতি জাগিয়ে তারা এখন হারিয়ে গেছে।
ঠিক যখন দেখতে চাইলাম পরিস্কার চোখে।
(পরাজিত স্বপ্নচারী।)
(আমার কবিতা লেখার প্রয়াস।)