রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি নিশ্চিত করেছেন যে, তার দেশ পুজেইদন বা স্ট্যাটাস-৬ নামে মনুষ্যবিহীন পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরি করছে। এটি সাবমেরিন হলেও বাস্তবে একটি পরমাণু বোমার মতো কাজ করে। আর সাগরের তলে এটি বিস্ফোরিত হলে তা ৩২০ ফুট উঁচু সুনামি তৈরি করতে পারে। যে সুনামি ও পারমাণবিক তেজস্ক্রীয়তা শুধু একটি দেশ নয়, সারা বিশ্বের জন্যই মারাত্মক বিপর্যয় নিয়ে আসতে পারে। পারমাণবিক সাবমেরিনটি পুতিনের পৃথিবী ধ্বংসের যন্ত্র নামেও পরিচিতি পেয়েছে। ১ মার্চ স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সাবমেরিন নির্মাণের কথা স্বীকার করেছিলেন। পানির নিচে নিঃশব্দে চলাচলকারী এই সাবমেরিনটি ৫০ মেগাটনের ভয়াবহ
পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৩২০ ফুটের বেশি উঁচু সুনামি বা জলোচ্ছ্বাস তৈরি করতে পারবে। ওই জলোচ্ছ্বাসে সমুদ্র উপকূলবর্তী শহরগুলো মুহূর্তেই পানির নিচে তলিয়ে যাবে; যা হবে ২০১১ সালের জাপানের সুনামির চেয়েও ভয়াবহ।
ঘণ্টায় ৫৬ নটিক্যাল মাইল গতিসম্পন্ন এই সাবমেরিনটি ছয় হাজার ২০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে সক্ষম। সাবমেরিনটির কার্যক্ষমতার বর্ণনা দিতে গিয়ে ১ মার্চ দেওয়া ভাষণে পুতিন বলেছিলেন, ‘উচ্চগতির এই ডুবোজাহাজ আন্তমহাদেশীয় হামলা চালাতে সক্ষম। এটি একদিকে যেমন পারমাণবিক অস্ত্র বহন করবে, অন্যদিকে সমুদ্রের গভীর থেকে অতি উচ্চ গতিতে যুদ্ধজাহাজসহ সমুদ্র উপকূলের যেকোনো স্থাপনায় হামলা চালিয়ে তা ধ্বংস করে দেবে, শত্রুরা তা বাধা দিতে পারবে না। এটা সত্যিই অসাধারণ।’ সম্প্রতি রাশিয়া বেশ কিছু মারাত্মক বিধ্বংসী অস্ত্র ও বোমা তৈরি করছে। এসব অস্ত্রের প্রতিটিই সারা বিশ্বের জন্য বিপজ্জনক বলে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।