Bangladesh > Positive Bangladesh

চার বছর আগেই শেষ হচ্ছে মেট্রোরেলের কাজ

(1/1)

hassan:
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরা তৃতীয় ফেজ হতে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে। আর ২০২০ সালের ডিসেম্বরে মেট্রোরেলের সম্পূর্ণ অংশের কাজ অর্থাৎ উত্তরা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হবে।

সোমবার (৩০ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে জাপানি প্রতিষ্ঠান জাইকা ও ঢাকা ম্যাস ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিসই অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেলের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘হলি আর্টিজানের ট্রাজেডির কারণে আমরা ৬ মাস পিছিয়ে পড়েছিলাম। ইতিমধ্যে আমরা পিছিয়ে পড়া সময়টা রি-কভার করেছি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ২০১২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও চার বছর আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরেই তা শেষ হচ্ছে।’ জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে চমৎকার অংশীদারিত্বমূলক সর্ম্পক থাকার কারণেই প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের চার বছর আগেই শেষ করা সম্ভব হচ্ছে বলে মত ওবায়দুল কাদেরের।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৬ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।

hassan:
উত্তরা তৃতীয় ফেজ হতে বাংলাদেশ ব্যাংক পর্যন্ত মেট্রোরেলের মোট দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার। এটি নির্মাণ কাজে খরচ হচ্ছে ২১ হাজার ৯শ ৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা। দেশের প্রথম নির্মিতব্য প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেট্রোরেলে মোট ১৬টি স্টেশন থাকবে। স্টেশনগুলো হলো, উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয়সরণী, ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় এবং মতিঝিল।

প্রকল্পটি চালু হলে প্রতিদিন ঘন্টায় উভয় দিক থেকে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে। মেট্রোরেলের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার।

মেট্রোরেলের মোট খরচের মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা দেবে জাপানের দাতা সংস্থা জাইকা। বাকি ৫ হাজার ৩৯০ কোটি ৪৮ লাখ টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। আর মেট্রারেল প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করেছে সরকার।

প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিঃ ৩০ এপ্রিল-২০১৮ পর্যন্ত মেট্রোরেলের মোট কাজের অগ্রগতিকে ৮টি প্যাকেজের আওতায় ভাগ করা হয়েছে। প্যাকেজ-১ এর আওতায় ডিপো এলাকার ভুমি উন্নয়নের কাজ চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারিতে শেষ হয়েছে। প্যাকেজ-২ ডিপো এলাকার পূর্ত কাজ ২০১৭ সালের ১ আগষ্ট শুরু হয়েছে এবং ২০১৯ সালের ৩০ জুন শেষ হবে। প্যাকেজ-৩ ও ৪ এ দুই প্যাকেজের আওতায় ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার উত্তরা থেকে আগারগাঁও ভায়াডাক্ট ও ৯টি স্টেশন নির্মাণ করা হবে। উভয় প্যাকেজের কাজ গত ১ আগষ্ট থেকে শুরু হয়েছে।

গত ২৫ এপ্রিল-২০১৮ পর্যন্ত নির্মিতব্য ৯টি টেস্ট পাইল এবং মোট ৩৮৩টি চেক বোরিং এর মধ্যে সব কয়টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। অন্যদিকে ২ হাজার ৩৭৮টি বাণিজ্যিক পাইলের মধ্যে ৯৯৪টির কাজ শেষ হয়েছে। ৭৬৬টি পাইল ক্যাপের মধ্যে ৮টির, ৭৩১টি পিয়ার এর মধ্যে ২টির এবং ৪ হাজার ৫৭৭টি প্রিকাষ্ট সেগমেন্ট এর মধ্যে ১৪টির নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

প্যাকেজ-৫ এর আওতায় আগারগাঁও কারওয়ানবাজার পর্যন্ত ৩.১৯৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও ৩টি ষ্টেশন নির্মাণ কাজের চুক্তি হয়েছে সোমবার (৩০ এপ্রিল-২০১৮)।

এতে খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। আর প্যাকেজ-৬ এর আওতায় কারওয়ানবাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৪.৯২ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট ও ৪টি ষ্টেশন নির্মাণ কাজের জন্য ৩০ এপ্রিল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই প্রকল্পে খরচ ধরা হয়েছে ২ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা।

অন্যদিকে, প্যাকেজ-৭ এর আওতায় ইলেকট্রিক্যাল এন্ড মেকানিক্যাল সিস্টেম এর জন্য দরপত্রের কারিগরি ও আর্থিক মূল্যায়ন শেষ হয়েছে। বর্তমানে দর কষাকষির কাজ চলছে। চলতি অর্থবছরের মধ্যেই চুক্তি শেষ হবে। মেট্রোরেল প্রকল্পের সর্বশেষ প্যাকেজ-৮ এর আওতায় রোলিং স্টক (রেল কোচ) ও ডিপো ইকুইপমেন্ট সংগ্রহের কাজ গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। বর্তমানে রোলিং স্টকের ডিজাইনের কাজ চলছে।

বাংলাদেশ সময়ঃ ১৭২৫ ঘণ্টা, ৩০ এপ্রিল, ২০১৮

Navigation

[0] Message Index

Go to full version