ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের নেপথ্যে: কীভাবে পাঠানো হয়েছিল মহাকাশের কক্ষপথে (3)

Author Topic: ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের নেপথ্যে: কীভাবে পাঠানো হয়েছিল মহাকাশের কক্ষপথে (3)  (Read 1182 times)

Offline S. M. Enamul Hoque Yousuf

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 106
  • Test
    • View Profile
কলম্বিয়া দুর্ঘটনা
১ ফেব্রুয়ারি, ২০০১। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে মিশন শেষ করে সাত জন ক্রু মেম্বার নিয়ে পৃথিবীতে ফেরত আসছে নাসার স্পেস শাটল প্রোগ্রামের মহাকাশযান কলম্বিয়া। নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারে চলছে ল্যান্ডিং প্রস্তুতি। কিন্তু পৃথিবীর কাছাকাছি আসার পর ল্যান্ডিংয়ের ১২ মিনিট পূর্বে হঠাৎ নাসার মিশন কন্ট্রোলের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো কলম্বিয়ার। মিশন কন্ট্রোলারদের মনে তখন একটাই ভয়, সবাই উদ্বিগ্ন আর চোখ বিশাল মনিটরের দিকে। মিশন কন্ট্রোলাররা চেষ্টা করে যাচ্ছেন যোগাযোগ স্থাপনের। সকাল ৯টা বাজার একটু আগে একজন মিশন কন্ট্রোলারের কাছে আসলো একটি ফোন কল। কলার জানালেন, টেলিভিশন নেটওয়ার্কে দেখা যাচ্ছে একটি বিধ্বস্ত মহাকাশযান ছুটে আসছে পৃথিবীর দিকে।

১৯৮৬ সালে স্পেস শাটল চ্যালেঞ্জার দুর্ঘটনায় সাত নভোচারীর মৃত্যুর প্রায় ১৭ বছর পর আবারো নাসার সেই স্পেস শাটল প্রোগ্রামেরই মহাকাশযান কলম্বিয়া বিধ্বস্ত হয় ২০০৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। ১৬ জানুয়ারি ২৮তম ও শেষবারের মত মহাকাশ যাত্রা করা কলম্বিয়া মহাকাশযানে থাকা ৭ জন ক্রু মেম্বারই মৃত্যুবরণ করেন। এরপরই নাসা শুরু করে ঘটনার তদন্ত। দুই বছরের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয় স্পেস শাটল পাঠানো। আর আইএসএস-এ রসদ পাঠানোর একমাত্র পথ তখন রাশিয়ার সয়ুজ।

ঘটনার তদন্তে জানা যায়, যাত্রা শুরুর সময় মহাকাশযানের রিফ্যাক্টরি ফোম খসে পড়ে আঘাত করে কলম্বিয়ার বাম পাখায়। আর এতেই ফিরে আসার সময় ঘটে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা। ২০১১ সালে নাসা তাদের স্পেস শাটল প্রোগ্রাম পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করে। কলম্বিয়া দুর্ঘটনার পুরো ঘটনাটি জানতে পড়ে আসতে পারেন রোর বাংলার এই লেখাটি।

আরো কিছু সংযোজন
ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে এতে যোগ করা হতে থাকে আরো কিছু প্রযুক্তি। এর মধ্যে দ্বিতীয় স্পেস ল্যাবরেটরি কলম্বাস পাঠায় ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি।যোগ করা হয় রেডিয়েটর, যেগুলো স্পেস স্টেশনে তৈরি তাপ বিকিরণের মাধ্যমে মহাকাশে ছেড়ে দিয়ে স্পেস স্টেশনের পুরো সিস্টেমটিকে ঠান্ডা রাখে।সোলার প্যানেলগুলো স্থাপনের কাজ সম্পন্ন করা হয় ২০০৯ সালে। ১১২ ফুট দৈর্ঘ্যের আর ৩৯ ফুট প্রস্থের এই সোলার প্যানেলগুলো ৫৫টি বাড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম।

আইএসএস এর ভবিষ্যত শঙ্কা
গত এক দশকে মহাকাশ গবেষণা আর মহাকাশের নানা অজানা দিক জানাতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন অবর্ণনীয় ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু সম্প্রতি জানা গেছে, এর ভবিষ্যত রয়েছে অনিশ্চয়তার মধ্যে।

২০২৪ সালের পর নাসা এই খাতে আর কোনো অর্থ ব্যয় করবে না। এখন পর্যন্ত ১৬০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে নাসা ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে এই প্রকল্পে।

ফান্ডিংয়ের সংকটের কারণে হয়তোবা ২০২৮ সালের পর শেষ হতে যাচ্ছে কালজয়ী এই স্পেস স্টেশন। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন এই প্রকল্প বন্ধ করার।

তবে কোনো প্রাইভেট কোম্পানী চাইলে এতে অর্থায়ন করে চালু রাখতে পারে এই প্রকল্প, কিন্তু নাসার উপস্থিতি থাকবে অনিশ্চিত।

যদি তা না হয়, তবে ২০২৮ সালের মধ্যে সমাপ্তি ঘোষণা করা হবে এই প্রকল্পের আর স্পেস স্টেশনটিকে আছড়ে ফেলা হবে প্রশান্ত মহাসাগরে।

মহাকাশের অন্যতম এই অংশে নারীদের অবদানও কম নয়। ২০১৬-১৭ এর এক মিশনে একটানা ২৮৯ দিনের স্পেসফ্লাইটের রেকর্ড করেছেন আমেরিকান নভোচারী পেগি হুইটসন। এর আগে ১৯৯ দিনের রেকর্ডটি ছিল সামান্থা ক্রিস্টোফারেটির।

স্পেসএক্স আর রাশিয়ান মহাকাশযান সয়ুজ প্রতিনিয়ত স্টেশনে রসদ আর মালামাল সরবরাহ করে চলেছে।

মানুষ উড়তে শেখার পর খুব একটা বেশি সময় নেয়নি মহাকাশে বসবাস শুরু করতে। আইএসএস তারই এক উজ্জ্বল উদাহরণ। অদূর ভবিষ্যতে মঙ্গল গ্রহে যাত্রার পূর্বপ্রস্তুতি বলা চলে একে। নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা আর আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত হচ্ছে আইএসএস এর। সামনে দিনগুলোতে কী অপেক্ষা করছে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

বলে রাখা ভালো, সব ক্ষেত্রেই আকাশে দেখা চলমান উজ্জ্বল বিন্দুটি যে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রই হবে এমনটা নয়। প্রায় ১০০এরও বেশি উপগ্রহ দেখা যায় পৃথিবী থেকে। তবে সেগুলো দেখার জন্য আপনাকে পাড়ি জমাতে হবে শহর থেকে অনেক দূরে প্রত্যন্ত কোনো এক গ্রামে যেখানে আলোর কৃত্রিমতার ছাপ নেই। তবে পৃথিবী থেকে দৃশ্যমান সবচেয়ে উজ্জ্বল বস্তুগুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে থাকায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনেরর দেখা পাবার সম্ভাবনাই বেশি। এর উজ্জ্বলতা শুক্র গ্রহের মতোই।


Offline mdashraful.eee

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 230
  • তুমি যদি দৃশ্যমান মানুষকে'ই ভালবাসতে না পারো তাহলে
    • View Profile
Kind Regards,

Md. Ashraful Haque
Assistant Professor
Department of (EEE)
Daffodil International University, (DIU)
Permanent Campus


Offline Nahid_EEE

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 140
  • Lecturer, Dept. of EEE
    • View Profile
M. Nahid Reza
Lecturer,
Dept. of EEE