৩০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া পুঁজিবাজারে দরপতন যেনো থামছেই না। ব্যাংক, বিমা ও অর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মসহ ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় এই দরপতন আরো দীর্ঘায়িত হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ কারণেই টানা ছয় কার্যদিবসের মতোই দিনভর সূচক পতনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহের পঞ্চম ও শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও (১০ মে) দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। দিনটিতে উভয় বাজারে সূচকের পাশাপাশি কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর ফলে টানা সাত কার্যদিবস পুঁজিবাজারে দরপতন হলো। তবে এর আগে ২৫ ও ২৬ এপ্রিল টানা দুই কার্যদিবস বাজারের উত্থান ঘটেছিল।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অতি ভয় ও আস্থাহীনতার মধ্য দিয়ে দিনের লেনদেন শেষ হয়েছে। এতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৪০ পয়েন্ট। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৬১ পয়েন্ট। এছাড়া এদিনটিতেও আগের দিনগুলোর মতোই ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দামও কমেছে। ফলে দরপতনও অব্যাহত রয়েছে বাজারের।
ডিএসই’র তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার ১৪ কোটি ৮৭ লাখ ৬২ হাজার ৯০৭টি সিকিউরিটিজের হাতবদল হয়েছে। এতে লেনদেন হয়েছে ৫৬২ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৬০ কোটি ৩৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এরও আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৭২ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা।
ডিএসই’র তিন সূচকের মধ্যে ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৪০ দশমিক ১১ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ৫৮৭ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ডিএস-৩০ মূল্যসূচক ১১ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট কমে দুই হাজার ৭৩ পয়েন্টে এবং শরিয়াহ সূচক তিন দশমিক দুই পয়েন্ট কমে এক হাজার ৩০৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৯টির, কমেছে ১৯৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৮টির।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ৬১ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪২৯ পয়েন্টে। দিনটিতে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৭ কোটি ৫১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৩৬লাখ টাকা।
সিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৯টির, কমেছে ১২০টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮