শারীরিক শক্তি এবং মানসিক শক্তির মাঝে দূরত্ব তেমন বেশি নয়। নতুন এক গবেষণায় জানানো হয়েছে, দৃঢ় করমর্দনের মাধ্যমে বোঝা যায় ওই ব্যক্তির মস্তিষ্ক কতটা সুস্থ রয়েছে।
২২ এপ্রিল, রবিবার সংবাদমাধ্যম
হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে ওই গবেষণার কথা জানানো হয়।
অস্ট্রেলিয়ার ওই গবেষণায় জানানো হয়, আমাদের শারীরিক শক্তির সঙ্গে মস্তিষ্কের গভীর যোগাযোগ রয়েছে। অর্থাৎ, শরীর ফিট থাকা মানে মস্তিষ্কও থাকবে ক্ষুরধার। অস্ট্রেলিয়ার ওয়েস্টার্ন সিডনি ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় দেখা যায়, যাদের শারীরিক শক্তি বেশি তারা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার পরীক্ষাগুলোতেও ভালো করেন। অন্যদিকে করমর্দনের শক্তি থেকেও পরিমাপ করা যায় মস্তিষ্ক কতটা সুস্থ রয়েছে। সিজোফ্রেনিয়া জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণার তথ্য।
গবেষণার সহ-লেখক জোসেফ ফার্থ বলেন, ‘আমাদের গবেষণা থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে শক্তিশালী মানুষদের মস্তিষ্কও বেশি কর্মক্ষম।’
গবেষণার জন্য
ইংল্যান্ডের প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। তাদের প্রতিক্রিয়ার গতি, সমস্যা সমাধান এবং স্মৃতিশক্তির পরীক্ষা নেওয়া হয়। এতে দেখা যায়, শারীরিকভাবে শক্তিশালী মানুষরা এসব পরীক্ষায় ভালো করেন।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষদের করমর্দন যত শক্তিশালী, তাদের মস্তিষ্কের সুস্থতার মাত্রাও তত বেশি।
গবেষক ফার্থ জানান, শারীরিকভাবে শক্তিশালী হয়ে ওঠার ব্যায়ামগুলো মস্তিষ্ককেও সুস্থ করে তোলে কি না—এ ব্যাপারে আরও গবেষণা প্রয়োজন। তাদের অতীতের গবেষণা দেখিয়েছে, খোলা বাতাসে ব্যায়াম করাটা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারে।