১৯৭৫ সালের ২৪ নভেম্বরে Physical Review Letters-এ একটি পেপার প্রকাশ করা হয় ‘Two-, Three- and Four- Atom Exchange Effects in bcc3 He’ নামে। সেই পেপারের লেখক ছিলেন দুজন, জে. এইচ. হেথারিংটন ও এফ. ডি. সি. উইলার্ড। হেথারিংটন ছিলেন মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক। পেপারটি বেশ মানসম্মত ছিল বলে আজও বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর রেফারেন্স দেয়া হয়। কিন্তু হেথারিংটন যখন এটি সাবমিট করতে গিয়েছিলেন, তখন বেধেছিলো এক উটকো ঝামেলা।
পুরো পেপারটির জন্য কাজ করেছিলেন হেথারিংটন একাই। নিজের কৃতিত্বের ভাগ তিনি অন্য কাউকে দিতে চাননি। কিন্তু পেপারে সব জায়গায় তিনি ‘আমি’র বদলে ‘আমরা’ ব্যবহার করেছিলেন। কাজ করেছিলেন তিনি একাই, কিন্তু পেপারটির ভাষা দেখে মনে হবে তিনি দলবদ্ধভাবে কাজ করেছিলেন। ওদিকে পেপারের লেখকের জায়গায় আবার শুধু তার নামই ছিলো, অন্য কারো না।
এখানেই বাঁধে বিপত্তি, কারণ জার্নালটিতে লেখা প্রকাশের নীতিমালায় বলেই দেয়া ছিলো যে, একাধিক লেখক না থাকলে ‘আমরা’ ব্যবহার করা যাবে না। এখন সমস্ত পেপার খুঁজে সব জায়গায় ‘আমরা’ কেটে আবার ‘আমি’ বসানোর কোনো ইচ্ছাও তার ছিল না। তাই চুপচাপ নিজের সেক্রেটারিকে ডেকে বলে দিলেন শুধু টাইটেল পেজ পরিবর্তন করে সেখানে লেখকের জায়গায় তার পোষা বিড়ালের নামটিও যোগ করে দেয়ার জন্য! এভাবেই আসলো পেপারটির সহ-লেখক ‘এফ. ডি. সি. উইলার্ড’-এর নাম, যার পূর্ণ রুপ Felis Domesticus Chester Willard।
হেথারিংটনের তার ১০ জন বন্ধুকে সেই পেপারটির সাইন করা কপি দিয়েছিলেন। এর বাম পাশে ছিলো তার নিজের সাইন, আর ডানদিকে ছিলো উইলার্ডের থাবার ছাপ! আর উইলার্ডের পরিচয়ও অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশ পেয়ে গিয়েছিল। একবার একজন এসে হেথারিংটনের সাথে দেখা করতে চেয়েছিলো। কিন্তু তাকে না পাওয়ায় সেই আগন্তুক এরপর উইলার্ডের সাথে দেখা করতে চান। এরপরই থলের ভেতর থেকে উইলার্ড নামক বেড়ালের উইয়ার্ড ঘটনাটি বেরিয়ে আসে।