পরিশ্রম করতেই হবে (সফলদের স্বপ্নগাথা)

Author Topic: পরিশ্রম করতেই হবে (সফলদের স্বপ্নগাথা)  (Read 1105 times)

Offline abdussatter

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 373
  • Test
    • View Profile
শুরুতে আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। আমি বোধ হয় কথা বলার জন্য পাঁচ থেকে ছয় মিনিট সময় পাব। চেষ্টা করব এই সময়টুকু কাজে লাগাতে। চারটি বিষয় নিয়ে বলব। এর কোনো কোনোটা শুনে মনে হতে পারে যেন আপনারা এগুলো আগেও শুনেছেন। তবে এসব কথা আবারও নতুন করে গুরুত্ব পাওয়ার দাবি রাখে।

প্রথম কথাটি হলো: আমাদের কাজ করতে হবে। তবে এই কাজের পরিমাণ নির্ভর করবে আমরা কতটা ভালো করতে চাই তার ওপর। আমরা যদি একটা প্রতিষ্ঠান শুরু করতে চাই সে ক্ষেত্রে বাড়তি পরিশ্রম দরকার। কিন্তু বাড়তি পরিশ্রম মানে কী? যেমন আমি আর আমার ভাই যখন আমাদের প্রথম প্রতিষ্ঠানটি চালু করি, সেই সময় একটা অ্যাপার্টমেন্ট নেওয়ার বদলে আমরা শুধু একটা ছোট্ট অফিস ভাড়া করেছিলাম। তখন ঘুমাতাম কাউচে এবং স্নান করতাম ওয়াইএমসিএতে। আমাদের পুঁজি এতই কম ছিল যে একটি মাত্র কম্পিউটার দিয়েই কাজ চালাতে হতো। ফলে দিনের বেলায় ওয়েবসাইটটি চালু থাকত আর রাতে সেই ওয়েবসাইটের জন্য আমি কোডিং করতাম। এভাবেই কাজ করেছি সপ্তাহে সাত দিন, দিনরাত।

প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে, বিশেষত আপনি নিজেই যদি একটা প্রতিষ্ঠান শুরু করতে চান। একটা সহজ হিসাব দিয়ে বুঝিয়ে বলি। অন্য একটা প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা যদি সপ্তাহে পঞ্চাশ ঘণ্টা কাজ করেন, তাহলে তাঁরা যেটুকু কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন, ১০০ ঘণ্টা কাজ করতে পারলে আমরা নিশ্চয়ই তাঁদের চেয়ে দ্বিগুণ কাজ শেষ করতে পারব।

আমার দ্বিতীয় কথা: নতুন কোম্পানি গড়ি কিংবা কোনো কোম্পানিতে যোগ দিই; উভয় ক্ষেত্রেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অসাধারণ সব লোক জোগাড় করা। কোথাও যোগ দিতে হলে সেরকম একটি ব্যতিক্রম দলেই আমার যাওয়া উচিত, যারা আমার সম্মান পাওয়ার যোগ্য। একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে এমন কিছু লোকের একটি দল, যারা এক জোট হয়েছে কোনো একটি পণ্য তৈরির বা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে। আর সেই দলের লোকজন কতটা প্রতিভাবান ও পরিশ্রমী এবং সঠিক পথে তারা কতটা সুন্দরভাবে এগোচ্ছে, এসবের ওপরেই নির্ভর করবে প্রতিষ্ঠানের সাফল্য। কাজেই প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে হলে অসাধারণ কিছু মানুষ পাওয়ার জন্য যা যা করার দরকার, সবই আমাদের করতে হবে।

তিন: আওয়াজ তোলার চেয়ে কাজের দিকে বেশি মনোযোগ দিন। অনেক প্রতিষ্ঠানই এই দুটি বিষয়কে গুলিয়ে ফেলে। তারা এমন সব ক্ষেত্রে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে যেগুলো তাদের পণ্যের মান উন্নয়নে আসলে কোনো কাজে আসে না। এখানে আমাদের কোম্পানি টেসলার উদাহরণ দেওয়া যায়। আমরা কখনোই বিজ্ঞাপনের পেছনে টাকা খরচ করি না। আমরা আমাদের সব পুঁজি খাটাই গবেষণা ও উন্নয়নের কাজে, উৎপাদন ও নকশার কাজে, যেন আমাদের পণ্যটা আরও ভালো করা যায়। আমি মনে করি এভাবেই এগোনো উচিত। যেকোনো প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেই এই প্রশ্নটি সব সময় সামনে রাখতে হবে, ‘এই যে এত উদ্যোগ, এত যে অর্থ ব্যয়, এসবের ফলে কি আমাদের পণ্য বা সেবার মান বাড়ছে?’ এই প্রশ্নের উত্তর যদি নেতিবাচক হয়, তাহলে এই সব উদ্যোগ বন্ধ করে দিতে হবে।

সবশেষের কথাটি হচ্ছে, কেবল গতানুগতিক পথ ধরে হাঁটতে থাকলেই চলবে না। আপনারা হয়তো আমাকে এই কথা বলতে শুনেছেন যে পদার্থবিদ্যার সূত্র অনুযায়ী চিন্তাভাবনা করাটা ভালো। প্রথম শর্ত হলো, অন্য কিছুর সঙ্গে তুলনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেয়ে যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উত্তম।

একদম গভীরে গিয়ে আগে সমস্যাটা বুঝুন। তারপর যুক্তি দিয়ে সিদ্ধান্ত নিন। আমার কাজ আসলেই অর্থবহ হলো নাকি অন্য সবাই যা করছে আমিও তা-ই করলাম, যাচাই করার এটি একটি ভালো পন্থা। অবশ্যই এ কথা ঠিক যে এভাবে চিন্তাভাবনা করা খুব কঠিন এবং সব ক্ষেত্রে সম্ভবও নয়। এর জন্য অনেক চেষ্টার দরকার। তবে আমি যদি নতুন কিছু করতে নামি তাহলে এটাই হবে চিন্তার সর্বোত্তম ধারা। পদার্থবিদেরা এই কাঠামোটা উদ্ভাবন করেছেন গতানুগতিকতার বাইরে বা ঊর্ধ্বে নতুন কিছু পাওয়ার জন্য। যেমন, কোয়ান্টাম পদ্ধতি। এটি খুবই শক্তিশালী একটি পদ্ধতি।

পরিশেষে, একটা বিষয়ে আপনাদের উৎসাহ দিতে চাই। ঝুঁকি নেওয়ার এটাই সময়। আপনাদের কারও ছেলেপুলে নেই, তেমন কোনো পিছুটান নেই। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনাদের দায়িত্বের পরিধিও বাড়তে থাকবে। যখন আপনাদের পরিবার হবে, তখনো অবশ্য আপনারা ঝুঁকি নেওয়া শুরু করতে পারেন। শুধু নিজের জন্য নয়, পরিবারের জন্যও। কিন্তু সেরকম পরিস্থিতিতে পরিকল্পনা ঠিকভাবে কাজ না করলে আপনি বিপদে পড়বেন। সে কারণেই ওই কাজগুলো করে ফেলার এখনই সময়, দায়দায়িত্বের বোঝা ঘাড়ে চাপার আগেই। আমি আপনাদের ঝুঁকি নেওয়ার এবং সাহসী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাব। বিশ্বাস রাখুন, পস্তাবেন না। ধন্যবাদ।

আমি জানি না কথাগুলো আপনাদের কোনো কাজে লাগল কি না।


ইংরেজি থেকে অনুবাদ: জেরীন মারযান

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের তৈরি ‘ফ্যালকন-৯’ রকেটে চড়ে মহাকাশে পৌঁছেছে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ)—বঙ্গবন্ধু ১। ইলন মাস্ক এই প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী। ২০১৪ সালে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার সমাবর্তনে তরুণদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তিনি। বলেছেন একটি সফল প্রতিষ্ঠান গড়ার সূত্র।

সূত্র: অনুষ্ঠানটির ভিডিও
(Md. Dara Abdus Satter)
Assistant Professor, EEE
Mobile: 01716795779,
Phone: 02-9138234 (EXT-285)
Room # 610

Offline Nahid_EEE

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 140
  • Lecturer, Dept. of EEE
    • View Profile
Thank you for your information.
M. Nahid Reza
Lecturer,
Dept. of EEE

Offline khyrul

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 138
  • Test
    • View Profile