« on: May 23, 2018, 10:58:25 AM »
২০০৪ সালে নিপা ভাইরাস থাবা বসায় বাংলাদেশে। সেবার ৩৩ জনের মৃত্যু হয় এর প্রভাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুসারে, এখনও পর্যন্ত নিপার প্রভাবে ৪৭৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৫২ জনের।
নিপা বা নিভ প্রধানত বাদুর জাতীয় পশুর থেকেই ছড়ায়। নিপা অপেক্ষাকৃত নতুন ভাইরাস যা অতি সহজেই বাদুর জাতীয় তৃণভোজী প্রাণীর থেকে মানুষের দেহে প্রবেশ করে। শুধুমাত্র বাদুর নয়, নিপা শুয়োরের বর্জ থেকেও ছড়ায়।
১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ার নিপাতে প্রথম এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়। সেখানে বাড়ির পোষ্য কুকুর, বেড়াল, ঘোড়া, ছাগলের দেহে এই ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। ওই অঞ্চলে প্রতিটি বাড়িতেই শুয়োর প্রতিপালন হয়।
গবেষণার পর দেখা যায়, সেই শুয়োরদের থেকেই নিপার প্রভাব ছড়িয়েছে পোষ্যদের দেহে। এরপর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
চিকিৎসকদের মতে, নিপা ভাইসারের আক্রমণে মৃত্যুর আশঙ্কা শতকরা ৭০ শতাংশ। সাধারণভাবে প্রথমে জ্বর এবং মাথা যন্ত্রণা ও ঝিমুনিই এই রোগের লক্ষণ। পরবর্তী পর্যায়ে জ্বর বাড়ে ও সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেন রোগী। এরপর ধীরে ধীরে কোমাতে চলে যায় সে। আর এরপর মৃত্যু অনিবার্য।
এখনও পর্যন্ত এই রোগের চিকিৎসা বা প্রতিষেধক বাজারে আসেনি। ফলে, এর প্রকোপ সেভাবে আটকানো সম্ভব হয় না। তবে, এই নিয়ে বিস্তর গবেষণা শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীরhttp://www.bd-pratidin.com/health-tips/2018/05/23/332325
Logged
........................................
Al Mozammel
Administrative officer
Office of the Dean
Faculty of Allied Health Sciences
Daffodil International University