নতুন বৈচিত্র্যময় সফটওয়্যার

Author Topic: নতুন বৈচিত্র্যময় সফটওয়্যার  (Read 1081 times)

Offline Mrs.Anjuara Khanom

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 474
  • Test
    • View Profile
 ব্যাংকিং সেবার সুবিধা বঞ্চিত বা ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা সাধারণ মানুষের আর্থিক অন্ত্মর্ভুক্তির লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরম্ন করে বিকাশ। দেশের অভ্যন্ত্মরে টাকা পাঠানোর পাশাপাশি আরও নানা সেবা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
গ্রাহকদের যে কোনো লেনদেন আরও সহজ, দ্রম্নত ও নিরাপদ করতে ব্র্যাক ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানটি চালু করেছে অ্যাপ। ২০১০ সালে বাংলাদেশে বিকাশ কার্যক্রম শুরম্ন করলেও ২০১১ সালে পুরোপুরি মাঠে নামে। দীর্ঘ ৭ বছর পর প্রযুক্তির হালের এই সংস্করণ অ্যাপকে ধরে ফেলেছে তারা।
সম্প্রতি রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এক অনুষ্ঠানে সেই সম্পর্কেই পরিচিতি তুলে ধরেন বিকাশের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানের শুরম্নতে বিকাশের যাত্রা থেকে বর্তমান সময় পথপাড়ি পর্যন্ত্ম তথ্য তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী (সিইও) কামাল কাদীর। এরপর অ্যাপ ও তার ব্যবহার নিয়ে তথ্য বিশেস্নষণ করেন প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মীর নওবত আলী।
প্রধান নির্বাহী এসময় বলেন, অ্যাপ আনতে আমরা সময় নিয়েছি। আমরা চাচ্ছিলাম- আগে সাধারণ মানুষের স্মার্টফোন সম্পর্কে ভালো ধারণা তৈরি হোক। আমরা যদি ২০১১ সালেই অ্যাপ আনতাম তাহলে হয়তো আমাদের সাধারণ মানুষকে অ্যাপ সম্পর্কে আগে পড়িয়ে নিতে হতো।
তিনি বলেন, সব ধরনের মানুষ সম্পর্কে গবেষণা করেই এই অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এখানের শিক্ষিত শ্রেণির মানুষের জন্য যেমন সুবিধা রাখা হয়েছে, তেমনি যারা কম অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন তাদের জন্য ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বাংলা ছাড়াও ইংরেজি ভাষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
'ছবি ও লেখা সমৃদ্ধ এই অ্যাপে ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্স বা মৌখিক নির্দেশনারও সুবিধা আছে। অর্থাৎ যে কোনো লেনদেনের ক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নিতে হবে তা সুনির্দিষ্ট ধাপে গ্রাহকের পছন্দ অনুযায়ী বাংলা বা ইংরেজি ভাষায় নির্দেশনা দেয় এই অ্যাপ।'
কামাল কাদীর বলেন, বিকাশে লেনদেনের ক্ষেত্রে এখন আর প্রাপকের নম্বর টাইপ করার দরকার নেই। বিকাশ অ্যাপে সেন্ড মানি, বাই এয়ারটাইম (মোবাইলে রিচার্জ) ও রিকোয়েস্ট মানি লেনদেনের সময় সরাসরি কন্ট্যাক্ট লিস্ট থেকে নম্বর নেয়া যাবে। ফলে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ভুল এড়াতে রাখা হয়েছে কিউআর কোড ব্যবস্থাও।
নতুন অ্যাপ ব্যবহারের কিছু ছাড় দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, আমরা প্রোমোশনের জন্য সার্ভিস কমিয়ে রেখেছি। যারা এই অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাশ আউট করবেন, তাদের প্রতি হাজারে ১৫ টাকা সার্ভিস চার্জ কাটা হবে। অ্যাপের বাইরে যেটা সাড়ে ১৮ টাকা নির্ধারিত আছে। অর্থাৎ হাজারে সাড়ে ৩ টাকা ছাড় দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা অ্যাপের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছি। এটার মাধ্যমে কোনো পার্সোনাল নম্বরে টাকা পাঠানো হলে কোনো চার্জ কাটা হবে না। অ্যাপের বাইরে যেটি ৫ টাকা বিদ্যমান আছে।
তাছাড়া এই অ্যাপের মাধ্যমে পবিত্র রমজান মাসে কেনাকাটার টাকা পরিশোধের ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যাবে। তবে সেটা নির্ধারিত আউটলেটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। গ্রাহকরা এ ক্ষেত্রে টাকা পরিশোধের পর ২৫ শতাংশ ক্যাশ-ব্যাক পাবেন।
কিন্তু অ্যাপ কীভাবে পাবেন? কামাল কাদীর বলেন, গুগলের অ্যাপ স্টোর থেকে বিকাশের অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে। এরপর সেটিকে ইনস্টল করে নিতে হবে। এটা স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
অনুষ্ঠানের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মীর নওবত আলী কীভাবে এই ব্যবহার করতে হবে- তার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্ত্মারিত তুলে ধরেন।
এরপর তিনি বলেন, আমরা এরইমধ্যে ভাড়া সাড়া পেয়েছি। প্রায় ১৮ দিনে ১৪ লাখ মানুষ এই অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন।
এসময় প্রতিষ্ঠানটির অন্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

Source:http://www.jaijaidinbd.com/
Mrs, Anjuara Khanom
Library Assistant Officer,
Daffodil International University
DSC Campus
02224441833/34