প্রথম ব্যক্তি হিসেবে সাঁতরে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিয়ে ইতিহাস গড়তে জাপান থেকে রওনা হয়েছেন ফরাসী সাঁতারু বেন লখামতে।
জাপানের উপকূল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে পৌঁছাতে ৫১ বছর বয়সী লখামতের প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে ছয় মাসেরও বেশি সময় সাঁতরাতে হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
পথে তাকে মোকাবেলা করতে হবে হাঙর, ঝড়, জেলিফিশের ঝাঁক ও পানির অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রার বিপদকে।
লখামতের আশা, তার সাড়ে নয় হাজার কিলোমিটার সমুদ্রযাত্রা জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ নিয়ে সতর্কতা বাড়াবে।
এ সময়ে গবেষকদের একটি দল সমুদ্রে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ, শরীরকে চরমভাবে খাটানোয় মানুষের হৃদপিণ্ডে কী ধরনের প্রভাব ফেলে এবং ফুকুশিমার পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞ সমুদ্রের কী ক্ষতি করেছে তা নিয়ে অনুসন্ধান চালাবে।
১৯৯৮ সালে তিনিই প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৭৩ দিনে ৬,৪০০ কিলোমিটার সাঁতার কেটে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়েছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের উপকূল থেকে ফ্রান্সের শুষ্ক ভূমিতে পৌঁছানোর পর তার প্রথম কথাই ছিল, “আর কখনোই নয়।”
যদিও কয়েকদিন পর থেকেই নতুন চ্যালেঞ্জ খোঁজার কাজ শুরু করেন অদম্য এ সাঁতারু।
“সিদ্ধান্ত বদলাতে বেশি সময় লাগেনি আমার। তিন-চার মাসের মধ্যেই পরবর্তী দুঃসাহসিক অভিযান ও একই ধরনের কাজের বিষয় নিয়ে চিন্তা শুরু করি আমি,” মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনপিআরকে এমনটাই বলেছেন লখামতে।
প্রশান্ত মহাসাগর জয় করতে দিনের পর দিন কয়েক ঘণ্টা করে উন্মুক্ত জলাশয়ে অনুশীলন করেছেন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক লখামতে। মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে চালিয়েছেন ‘প্রত্যক্ষকরণ ও পৃথকীকরণের’ অনুশীলন।
লখামতে বলেন, “শারীরিক সক্ষমতার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মানসিক সক্ষমতা। সবসময় ইতিবাচক কিছু চিন্তা করতে পারছেন কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে আপনাকে। যখন মনকে দখলে রাখতে পারবেন না আপনি, তখনই সেটি আঁকাবাঁকা পথে ধাবিত হবে, সমস্যার শুরুটাও আদতে তখন থেকেই হয়।”
প্রশান্ত মহাসাগরের অভিযান শুরুর আগে ছয় বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছেন এ ফরাসি; যদিও লক্ষ্য ঠিক করেছিলেন আরও অনেকদিন আগে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম