ইন্টারনেট আসক্তি কাটাতে
ইন্টারনেট ছাড়া এখনকার পড়াশোনার কথা ভাবাই যায় না। প্রায়ই এটা-ওটা সার্চ দিতে হয়। তবে অতিরিক্ত ইন্টারনেট ব্যবহারের কারণে নষ্ট হচ্ছে সময়, ফলাফল হচ্ছে খারাপ। লাইফহ্যাকঅর্গ অবলম্বনে ওই আসক্তি কাটানোর উপায় বলছেন তাহমিদ-উল-ইসলাম
ইন্টারনেট আসক্তি কাটাতে
কী করে বুঝবে
যেকোনো সমস্যা সমাধানের জন্য দরকার আগে সমস্যার মূল শনাক্ত করা। যদি দেখা যায়, ইন্টারনেট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের কারণে তুমি পারিবারিক কাজে সময় দিতে পারছ না।
পুরনো বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ কমে যাচ্ছে। স্মার্টফোনটা ভুল করে বাসায় ফেলে আসায় অস্বস্তি লাগছে খুব। গ্যাজেট ছাড়া এক মুহূর্তও চিন্তা করতে পারছ না, তবে তুমি ইন্টারনেট আসক্তিতে ভুগছ।
সময় বাঁধা
সমস্যাটি শনাক্ত করার পর প্রথম কাজ হলো দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বের করা, যখন তোমার চৌহদ্দিতে কোনো ধরনের গ্যাজেট থাকবে না। এ সময় বই পড়ে বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কিংবা শুধু বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে কাটাবে। ফোনটা এ সময় বন্ধ রাখলেই ভালো।
নিজেকে পর্যবেক্ষণ
নিজের ইন্টারনেট ব্যবহার পর্যবেক্ষণের জন্য স্মার্টফোনে ব্যবহার করা যেতে পারে স্টে ফোকাসড। পিসির জন্যও রয়েছে এ ধরনের ব্রাউজার এক্সটেনশন, যা নির্দিষ্ট সময়ে কোনো একটি সাইটে সময় কাটানোর পর সেটি ব্লক করে দেয়। আমরা সাধারণত আমাদের এসব যন্ত্রনির্ভরতা নিয়ে খুব একটা ভাবতে চাই না। দিনে কী পরিমাণ কোন সাইটে সময় যাচ্ছে, সেটা ভাবার চেষ্টা করো। হিসাব করে দেখো যে এক দিনে যদি শুধু অহেতুক চ্যাট করে এক ঘণ্টা সময় যায়, তবে এক মাসে কিন্তু ৩০ ঘণ্টা অর্থাত্ প্রায় দেড় দিনের কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। পর্যবেক্ষণের প্রক্রিয়াটা চালু থাকলেও দেখবে কম্পিউটার বা স্মার্টফোন ব্যবহারে তুমি ধীরে ধীরে বেশ পরিমিত হয়ে উঠছ।
খেলায় খেলায়
ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে না কমেছে, সেটা বিবেচনা করে ব্যবস্থা নাও। রুটিনেও আনা দরকার পরিবর্তন। দিনের একটা বড় সময় ইন্টারনেট থেকে সরে আসার পর নিজেকে একটা করে পয়েন্ট দিতে পারো পুরস্কার হিসেবে। ধরে নাও এটাও একটা গেম, যে খেলায় তোমাকে সেরা হতে হবে। দেখবে গ্যাজেট থেকে দূরে থাকলেও তোমার অস্বস্তি ভাবটা আর থাকবে না।