এদিকে আমাদের শিক্ষার্থীরা স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষে চাকরি খুঁজছেন। তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেরই চাকরি দরকার। অধিকাংশই চাকরি পাচ্ছেন না। এ জন্য অন্যতম দায় আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার। তাই বিশ্বায়নের এই যুগে প্রতিযোগিতায় আমরা হেরে যাচ্ছি।
এক বিচিত্র নিয়ম আমাদের পরীক্ষার! পরীক্ষা আসছে তো ইংরেজি গ্রামার, প্যারাগ্রাফ, ডায়ালগ, লেটার—এসব মুখস্থ করো। পরীক্ষায় লিখে দাও। পাস ঠেকায় কে। এবার সনদ নিয়ে ঘুরতে থাকো। কিন্তু এ সনদে চাকরি পাওয়া খুবই কঠিন। দেখা যাচ্ছে, এই সনদধারীদের একটি বড় অংশ ভালো করে ইংরেজিতে একটি চিঠি লিখতে পারে না। ই-মেইল করতে পারে না। ইংরেজিতে কথা বলতে পার না। অধিকাংশই বিদেশি বায়ারসহ বিভিন্ন ব্যক্তির সামনে একটি প্রেজেন্টেশন দিতে পারে না। কারণ, শিক্ষাব্যবস্থায় ব্যবহারিক চর্চা নেই বললেই চলে।
আবার অনেক প্রকৌশলীর অবস্থাও একই। লেখাপড়া শেষ করছেন। হাতেকলমে শিখছেন না। এ কারণে চাকরিজীবনে ঠিকভাবে কাজ করতে পারেন না।