দক্ষিণ এশিয়ার খুবই জনপ্রিয় একটি খাবারের নাম পান। অনেকেরই খাবার খাওয়ার পর পান না খেলে শতকরা একশ’ ভাগ তৃপ্তি পান না। কিন্তু শুধু মশলা, সুপারি, জর্দা ব্যবহারে খাওয়ার মধ্যেই পান পাতার উপকারিতা শেষ নয়। পানের রয়েছে কিছু বিস্ময়কর উপকারিতা। হেলথ ও লাইফস্টাইল বিষয়ক ভারতীয় ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের এক প্রতিবেদনে পানের উপকারিতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গলার সমস্যায় পান খুব উপকারী। আওয়াজ পরিষ্কার করতে পান সাহায্য করে। এটি রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি খেলে মুখের স্বাদ ফিরে আসে ও পেট পরিষ্কার হয়। সর্দি কাশি হলে পানের রসের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। পানের সঙ্গে গোলমরিচ, লবঙ্গ মিশিয়ে খেলে কাশি কমে যায়।
মুখে ঘা হলে পানের মধ্যে কর্পুর দিয়ে চিবিয়ে খেয়ে বার বার পিক ফেললে লাভ পাওয়া যায়। পানের রস হজমশক্তি বৃদ্ধি করে এবং অতিরিক্ত পানি, বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়। শুধু তাই নয় এটি মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে থাকে। এর ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে থাকে। আর এই সবকিছু ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে।
পান পাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এর অক্সিডেটিভ উপাদান ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তোলে। ক্ষত স্থানে কিছু পরিমাণ পান পাতার রস লাগিয়ে নিন। এরপর ব্যান্ডেজ করে বেঁধে রাখুন। ২-৩ দিন পর দেখবেন ক্ষত সেরে গেছে।
তবে পান খাওয়ার সময় কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। জর্দা মিশিয়ে খেলে পানের সব গুণ নষ্ট হয়ে যায়। সব সময় খাওয়ার পরে পান খাওয়া উচিত। খালি পেটে পান খাওয়া উচিত নয়।
তবে বেশি পান খেলে মুখ ও চোখের রোগ হতে পারে। পানের সঙ্গে বেশি সুপারি খাবেন না। পানের সঙ্গে বেশি খয়ের খেলে ফুসফুসে ইনফেকশান হয়। পানে বেশিমাত্রায় চুন খেলে দাঁতের ক্ষতি হয়। যারা জ্বর এবং দাঁতের সমস্যায় ভোগেন তাদের পান খাওয়া বন্ধ করে দেয়া উচিত। পান উষ্ণ এবং পিত্তকারক। শিশু এবং অন্তঃস্বত্ত্বা মহিলাদের পান খাওয়া উচিত নয়।
Source:https://www.manobkantha.com/