আমার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী সব মানুষেরই কোন না কোন একটি ধরণ বা ধাচ আছে। কিছু মানুষ থাকে যারা সব কিছুতেই মনে করে সব কিছুর পিছনে কোন ফাকি বা দুই নাম্বারি আছে। আবার কেউ কেউ সব কিছুর ভিতরেই সুন্দর কোন ব্যাখ্যা বের করে ফেলেন। কারো কারো নীতি থাকে আত্মকেন্দ্রিক। নিজে ভাল থাকলে আর যাই ঘটুক তার আর কিছু যায় আসে না। এমনও দেখেছি কেউ কেউ সিনেমার হিরোর থেকে ভিলেনকে পছন্দ করে। তাদের কাছে পৃথিবীর ক্ষমতাবান ও অর্থশালীরাই জীবনে সার্থক। আবার কেউ থাকে যারা ভাবে পৃথিবীটাই চলতেছে চাপাবাজির ও চালাকির উপরে।
মানুষের সব সমস্যার মূল হল তার এই মৌলিক ধরণ। পেশা, সামাজিক মর্যাদা বা আর্থিক অবস্থা যাই হোক না কেন - এই মৌলিক ধ্যান ধারণার বাইরে মানুষ খুব কম যেতে পারে। মানুষের সামনে অনেক উদাহরণ থাকলেও সে তার এই মৌলিক ধাচ অনুযায়ী সব কিছুর ব্যাখ্যা ভেবে নেয়। এই মৌলিক ধরণ বা ধাচ অনেকটা রঙিন কাঁচের চশমার মত। যার চোখে নীল কাঁচের চশমা - সে পৃথিবীর সব কিছু নীল দেখে। যার চোখে হলুদ - সে সব কিছু হলুদ দেখে। এই রকম।
ভাবতেছিলাম মানুষ কখন মন দিয়ে কথা শুনে? নিজের গন্ডির বাইরে আসে? কখন সে তার মৌলিক চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন করে?
যখন সে মন দিয়ে নতুন কিছু অনুধাবন করে।
মানুষকে প্রভাবিত করে তার বাবা-মা, তার শিক্ষক, বিখ্যাত তারকারা, রাজনৈতিক নেতারা - এরা।
সব কালেই বাবা-মা ও শিক্ষকেরা মানুষকে সঠিক জ্ঞান দিয়েছেন বা দিতে চেষ্টা করেন। কথা হল যখন কোন মানুষ পরিবার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে আসে তখন সে তার পূর্ববর্তী শিক্ষার সাথে মিলাতে পারে না।
আমাদের পৃথিবীর বর্তমানের ট্রাজেডি হল আমাদের মনে আন্দোলন তৈরি করার মত কোন তারকা বা নেতা নাই। যাকে প্রশ্নাতীত ভাবে অনুসরণ করা যায়। যারা আমাদের মনে ধাক্কা তৈরি করে সঠিক পথে নিয়ে আসবেন।
এখন আর মানুষ খাদ্যের অভাবে থাকে না। তার পরিধেয় নিয়ে দুশ্চিন্তা আর নাই। তার অভাব হল মানসিক। দিকদর্শী লিডারের।