কাশির চিকিৎসায় কার্যকর মধু

Author Topic: কাশির চিকিৎসায় কার্যকর মধু  (Read 1036 times)

Offline Mrs.Anjuara Khanom

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 474
  • Test
    • View Profile
কাশির চিকিত্সায় এতদিন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের পরামর্শ দিতেন চিকিত্সকরা। তবে এবার কাশির চিকিত্সায় অ্যান্টিবায়োটিকের ওপর নির্ভরতা কমানোর কথা চিন্তা করছেন চিকিত্সকরা। এর পরিবর্তে প্রাকৃতিক উপায় খুঁজছেন তারা। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় বলা হচ্ছে, কাশির চিকিত্সায় সবচেয়ে বড় সহায়ক হয়ে উঠতে পারে মধু। যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট ফর হেলথ অ্যান্ড কেয়ার এক্সিলেন্স (এনআইসিই) এবং পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ড সমপ্রতি এ সংক্রান্ত নতুন একটি প্রস্তাবিত নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।
 
গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, কাশির চিকিত্সার জন্য অনেক সময়ই অ্যান্টিবায়োটিক ভালো কাজ করে না। এসব ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে প্রাকৃতিক মধু। তাদের মতে, বেশিরভাগ সময়ই কাশি দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নিজের থেকে ঠিক হয়ে যায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের  এই পরামর্শ অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সমস্যা মোকাবিলায় ভালো ভূমিকা রাখবে। কেননা অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ ব্যবহারের ফলে মানুষের শরীর ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে পড়ে। ফলে অনেক ধরনের ইনফেকশন সারিয়ে তোলা কঠিন হয়ে পড়ে।
 
কাশি সারাতে মধুর ব্যবহার বিধান সম্পর্কে বলা হয়েছে, গরম পানিতে সামান্য মধু, লেবুর রস আর আদার রসের মিশ্রণ হিসেবে ব্যবহার করলে তা কফ এবং গলা ব্যথা নিরাময়ের জন্য দারুণ কাজ করে। কফের সমস্যা পুরোপুরি সারিয়ে তোলার ব্যাপারে সীমিত কিছু প্রমাণ পাওয়া গেছে যেটা অনেকের কাজে আসতে পারে। যেসব কফ মেডিসিনে পেলারগোনিয়াম, গুয়াইযফেনেসিন বা ডিক্সট্রোমেথরফ্যান উপাদান রয়েছে সেটা বেশ উপকারী হতে পারে। রোগীদের ঘরোয়া পানীয় তৈরির পাশাপাশি এ ধরনের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাদের মতে, কাশি হলে চিকিত্সকের কাছে যাওয়ার আগে নিজে নিজে রোগ সেরে ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভালো। মধু এক্ষেত্রে আদর্শ ওষুধ হলেও এক বছর বয়সের নিচে শিশুদের মধু খাওয়াতে নিষেধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কেননা মধুতে অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে যেটা খেলে শিশুর পেট খারাপের ঝুঁকি থাকে।
 
পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের উপ-পরিচালক ডা. সুজান হপকিন্স বলেছেন, মানুষের শরীর যদি অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে পড়ে তাহলে সেটা বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে আমাদের এখন থেকেই পদক্ষেপ নিতে হবে।
 
ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিক্যাল কর্মকর্তা প্রফেসর ডেইম স্যালি ডেভিস ইতোমধ্যে অ্যান্টিবায়োটিকের পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, যদি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কাজ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে রোগের চিকিত্সা করা আরও জটিল হয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে সাধারণ চিকিত্সা পদ্ধতি যেমন ক্যান্সার এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপনের চিকিত্সা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।
 
ইত্তেফাক/ইউবি
Mrs, Anjuara Khanom
Library Assistant Officer,
Daffodil International University
DSC Campus
02224441833/34