Faculty of Engineering > Research & Publication

দেশেই অ্যান্টিভেনম, ৫ সাপ নিয়ে বিষ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু

(1/1)

abdussatter:
পাঁচটি বিষধর সাপ নিয়ে শুরু হয়েছে সাপের কামড়ের ওষুধ অ্যান্টিভেনম তৈরির প্রথম পর্যায়ের কাজ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রাথমিকভাবে পাঁচটি সাপকে লালন-পালন করা হচ্ছে। এ সাপগুলোর বৃদ্ধি, সুস্থতাসহ অন্যান্য বিষয় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিষ বা ভেনম সংগ্রহের উপযোগী হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন গবেষকেরা। আট কোটি টাকা ব্যয়ে দেশে প্রথমবারের মতো অ্যান্টিভেনম তৈরির লক্ষ্যে এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

আমাদের দেশে প্রতিবছরই অনেক মানুষ মারা যায়। এ ব্যাপারে মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হলেও বিভিন্ন গবেষণায় ভিন্ন পরিসংখ্যান পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দেশে সাপের কামড়ে বছরে মারা যায় ৬ হাজার ৪১ জন। সাপ কামড়ানোর পর ৮৬ শতাংশ মানুষ ওঝার কাছে যায়। চিকিৎসকের কাছে যায় মাত্র ৩ শতাংশ। দেশে সাপের কামড়ের চিকিৎসায় এখন যেসব অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করা হয়, তা ভারত থেকে আসে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষামূলক অ্যান্টিভেনম তৈরির জন্য ভেনম সংগ্রহে ১০০টি সাপ নিয়ে গবেষণা করার প্রাথমিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেগুলো হলো ২০টি কমন ক্রেইট বা কেউটে (bungaruscaeruleus), ২০টি ওয়ালস ক্রেইট (bungaruswalli), ১০টি গ্রেটার ব্ল্যাক ক্রেইট (bungarus niger), ৫টি ব্র্যান্ডেড ক্রেইট (bungarus fasciatus), ৫টি লেসার ব্ল্যাক ক্রেইট (bungaruslividus), ২০টি মনোক্লেড কোবরা (najakaouthia) ও ২০টি স্পেকটেকলড কোবরা বা চশমা গোখরো (najanaja)। এখন পর্যন্ত পাঁচটি সাপ সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে বিষ বা ভেনম সংগ্রহ এখনো শুরু হয়নি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আর্থিক সহায়তায় পাঁচ বছর মেয়াদি অ্যান্টিভেনম তৈরির প্রকল্পটিতে যুক্ত রয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ, টক্সিকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ এবং জার্মানির গ্যোটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা। জার্মানি থেকে জীববিজ্ঞানীরা এসে নিজেকে নিরাপদ রেখে বিষধর সাপ ধরা ও সাপগুলোকে খাইয়ে সুস্থ অবস্থায় বাঁচিয়ে রাখার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়ে গেছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুসারে, সাপের কামড়ের রোগীর চিকিৎসার জন্য স্থানীয় সাপ থেকে অ্যান্টিভেনম তৈরি হলে তা সবচেয়ে কার্যকর হয়। কারণ, একেক দেশের সাপের প্রকৃতি একেক রকম। ভারতে যেসব সাপ থেকে ভেনম সংগ্রহ করা হয়, সেগুলোর ২০ শতাংশ মাত্র বাংলাদেশের সাপের সঙ্গে মেলে। অথচ বছরের পর বছর ধরে ভারতের অ্যান্টিভেনম দিয়েই বাংলাদেশের সাপের কামড়ের রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।

তিনভাবে সাপের বিষ শরীরে প্রভাব ফেলে। হেমোটক্সিন হয় বা রক্তকে দূষিত করে, মায়োটক্সিন বা মাংসপেশিকে অকার্যকর করে দেয় এবং নিউরোটক্সিন অর্থাৎ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন-কমিউনেকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মো. রাজীব আল-আমিন প্রথম আলোকে জানান, পরীক্ষামূলকভাবে অ্যান্টিভেনম তৈরির লক্ষ্যে পাঁচ বছরের এই প্রকল্পের জন্য আট কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ রয়েছে। গত বছরের জুলাই মাস থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। সাপ সংগ্রহসহ অন্যান্য কাজে ইতিমধ্যে ৯৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি বলেন, সাপের কামড়ের বিষয়টিকে দেশে অবহেলিত জনস্বাস্থ্য হিসেবে ধরা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বছরে ছয় হাজার অ্যান্টিভেনম ডব্লিউএইচওর কাছ থেকে পেয়ে থাকে। সিভিল সার্জনের কাছ থেকে চাহিদা পাওয়ার ভিত্তিতে জেলা সদরে অ্যান্টভেনম সরবরাহ করা হয়। সাপ কামড়ানোর পর একেকজন রোগীকে ১০টি করে অ্যান্টিভেনম দিতে হয়।

সূত্রমতে, চাহিদার তুলনায় সরকারিভাবে অ্যান্টিভেনমের সরবরাহ অপ্রতুল। সরকারি হাসপাতালে অনেক রোগী বিনা মূল্যে তা পান না। তাঁদের হাসপাতালের বাইরে থেকে চড়া দামে কিনে নিতে হয়।

গাজীপুরে সদর উপজেলার পুবাইল ইউনিয়নের খোরাইদ গ্রামের বাসিন্দা মো. খোকন (৪৫) গত ২৭ মে গোখরো সাপের কামড় খেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। প্রথম আলোকে তিনি জানান, হাসপাতাল থেকে তাঁকে অ্যান্টিভেনম বিনা মূল্যে দেওয়ার কথা অথচ তাঁকে ১০টি ইনজেকশন ১১ হাজার টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে।

যেভাবে বিষ সংগ্রহ হবে
অ্যান্টিভেনম তৈরি প্রকল্পের মূল দায়িত্বে থাকা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তত্ত্বাবধানে বিষ সংগ্রহের জন্য মোট পাঁচটি বিষধর সাপ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কোবরা, একটি কেউটে এবং একটি সবুজ পিট ভাইপার (সবুজ সাপের একটি প্রজাতি)। বিষ সংগ্রহের উপযোগী করে তোলার জন্য এই সাপগুলোকে পালন করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ভেনম স্ট্যান্ডার্ডের জন্য ভেনম সংগ্রহ, ভেনম ক্যারেকটারাইজেশন অর্থাৎ প্রাপ্ত ভেনমে কী কী ধরনের প্রোটিন উপাদান আছে, তা নির্ণয় করা ও যেসব অ্যান্টিভেনম দেশে আছে, সেগুলোকে সংগৃহীত ভেনম কতটা নিউট্রলাইজ করতে পারে বা কার্যকরী হয়, তা পরীক্ষা করা। এসব প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে শেষ করে পরীক্ষামূলক অ্যান্টিভেনম তৈরি করে তা বিভিন্ন প্রাণীর ওপর প্রয়োগ করা হবে। সেটায় সফলতা পেলেই মানবদেহে প্রয়োগ করা হবে।

অনিরুদ্ধ ঘোষ জানান, ডব্লিউএইচওর নির্দেশনা হচ্ছে যে দেশে যে ধরনের সাপ আছে, সেই সাপের বিষ থেকে অ্যান্টিভেনম তৈরি করা। এতে সাপের কামড়ের রোগীর ক্ষেত্রে ওই ওষুধ শতভাগ কাজ করবে। অন্য দেশের অ্যান্টিভেনম এই দেশে শতভাগ কার্যকর নাও হতে পারে। তিনি জানান, সাপুড়ের কাছ থেকে নয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রশিক্ষিত শিক্ষার্থীরা বিষধর সাপ নিজেরাই ধরে দেখভাল করছেন। সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বিষ সংগ্রহ করা হবে। যে পাঁচটি সাপ এখন লালন-পালন করা হচ্ছে, বিষ সংগ্রহের জন্য সেগুলো এখনো উপযোগী হয়নি। বিষ সংগ্রহের জন্য সাপের নির্দিষ্ট কোনো বয়স লাগে কি না, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো বয়সের প্রয়োজন হয় না। তবে ছোট সাপ থেকে বিষ সংগ্রহ না করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। বিষ সংগ্রহের জন্যও কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়।’

এ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত অধ্যাপক ডা. এম আবুল ফয়েজ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশে যে অ্যান্টিভেনম রয়েছে, তা ভারত থেকে আসে। ভারতে ছয়টি প্রতিষ্ঠান অ্যান্টিভেনম তৈরি করে। দক্ষিণ ভারতের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বাল্ক ভেনম আমদানি করে প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন বিক্রি করে দেশের একটি ওষুধ প্রতিষ্ঠান। ভারতে গোখরো, কেউটে, চন্দ্রবোড়া ও স স্কেলড (একধরনের আঁশযুক্ত সাপ) এই চার ধরনের সাপ থেকে ভেনম সংগ্রহ করা হয়। এই সাপগুলোর কোনো কোনোটা বাংলাদেশে নেই। আবার কোনো কোনো প্রজাতির সাপ ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে বেশি রয়েছে।

এম আবুল ফয়েজ জানান, ভারতে এক প্রজাতির গোখরো (যেগুলো ফণা তুললে পেছনে দুটো বলয় দেখা যায়, এগুলোকে স্পেকটেকলড কোবরা বা চশমা গোখরাও বলা হয়) সাপ পাওয়া যায়। এটিসহ বাংলাদেশে আরেক ধরনের গোখরো সাপও রয়েছে। এই ধরনের গোখরো সাপগুলো ফণা তুললে পেছনে একটি বলয় দেখা যায়। ভারতে একধরনের কেউটে সাপ রয়েছে। আর বাংলাদেশে কেউটে সাপ রয়েছে চার ধরনের। চন্দ্রবোড়া সাপ ভারতে বেশি হলেও বাংলাদেশে কম। আর স স্কেলড সাপ বাংলাদেশে একেবারেই নেই।

এতে অ্যান্টিভেনম তৈরির জন্য ভারত থেকে আসা সব বিষই বাংলাদেশের জন্য কার্যকর নয়। অথচ যখন ভেনম আসে, তখন তা আলাদা আলাদাভাবে নয়, সম্মিলিতভাবে আসে। কিছু ভেনম বাংলাদেশের জন্য অপ্রয়োজনীয়। তিনি বলেন, অ্যান্টিভেনম তৈরির কাজটি এখন একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এটা দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। প্রথম ধাপে ভেনম স্ট্যান্ডার্ড নিশ্চিত করা হবে। কারণ, অ্যান্টিভেনম তৈরির আগে ভেনম স্ট্যান্ডার্ড তৈরি আবশ্যক। পাঁচ বছরে পরীক্ষামূলক অ্যান্টিভেনম তৈরি করা গেলে পরে বিদেশি প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত করে বাণিজ্যিকভাবেই দেশে অ্যান্টিভেনম তৈরি করা সম্ভব হবে।

সাপের কামড়ের ওপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থিসিস করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. রোবেদ আমিন। এ ব্যাপারে তাঁর অভিজ্ঞতা থেকে প্রথম আলোকে বলেন, সাপের কামড়ে আক্রান্ত রোগীরা এলে প্রথমেই তাঁকে কোন ধরনের সাপ কামড়েছে, তা নিশ্চিত হতে হয়। সাপের ছবি দেখিয়ে কখনো কখনো রোগীর কাছ থেকে নিশ্চিত হতে হয়। এ ছাড়া রোগীর ওপর বিষ কেমন প্রভাব ফেলছে, সেটাও লক্ষ করা হয়। যেমন: গোখরো সাপ কামড় দিলে স্থানটি ফুলে যায়, নিউরোটক্সিন হয়। রোগীর চোখ বন্ধ হয়ে যেতে থাকে। সবুজ সাপ কামড়ালে স্থানটি ফুলে যায় ও রক্ত ঝরে। চন্দ্রবোড়া কামড়ালে এসব লক্ষণের পাশাপাশি প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। আর কেউটে কামড়ালে নিউরোটক্সিন হয়।

রোবেদ আমিন জানান, সাপের কামড়ের রোগীদের ক্ষেত্রে একটা প্রবণতা দেখা যায়, সাপ কামড় দেওয়ার পরপর তাঁদের হাত বা পা শক্ত করে বেঁধে ফেলা হয়। অনেকে এতই শক্ত করে বাঁধেন যে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে কারও কারও গ্যাংগ্রিনও হয়ে যায়। এত শক্ত করে বাঁধার কোনো প্রয়োজন নেই। আক্রান্ত হাত বা পা যেন নড়াচড়া করা না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখলেই হবে। সে ক্ষেত্রে সতর্কতা হিসেবে হাত বা পায়ের দুই পাশে কাঠের টুকরো দিয়ে কাপড় দিয়ে আলতো করে বেঁধে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসতে হবে।

রোবেদ আমিন জানান, দেশে ৮২ প্রজাতির সাপ রয়েছে। কারও কারও মতে, সাপের প্রজাতির সংখ্যা ১০০। এর মধ্যে ছয় ধরনের সাপ বিষধর। বাকি সাপগুলো কামড় দিলেও কিছু হয় না। এই সুযোগটাই নেন ওঝারা। দেশে সাপের কামড়ের রোগীদের স্বজনেরা চিকিৎসকের কাছে না এনে ওঝার কাছে নেন। বিষধর সাপ না হলে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই ওই রোগীরা সুস্থ হয়ে যান। আর স্বজনেরা ভাবেন, ওঝার ঝাড়ফুঁকে ভালো হয়ে গেছে। বিপদটা তখনই হয়, যখন বিষধর সাপ কামড়ায়। ওঝার কাছে নেওয়ার কারণে সময় নষ্ট হয়। পরে চিকিৎসকের কাছে আনা হলেও রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।

৮৬ শতাংশ চিকিৎসা নেয় ওঝার কাছে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানা গেছে, গত বছর বন্যার সময় সাপের কামড়ে ২৩ জন মারা গেছেন। সাপের কামড়ের বিষয়ে নিয়মিতভাবে তথ্য সংগৃহীত হয় না সরকারিভাবে। সাধারণত বন্যার সময় উপকূলীয় এলাকায় সাপের কামড় বেড়ে যায়, সেই সময়ের কিছু তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সাপের কামড়ে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলে তথ্য পাওয়া যায়। এর বাইরে সাপের কামড় খেয়ে অনেকে চিকিৎসকের কাছে না এসে ওঝার দ্বারস্থ হন। সেই তথ্য লিপিবদ্ধ হয় না।

দেশে সাপের কাপড়ের ওপর সাম্প্রতিক কোনো সরকারি গবেষণাও নেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রিদওয়ানুর রহমান, এম আবুল ফয়েজ, শাহজাদা সেলিম, বায়েজিদুর রহমান, আরিফুল বাশার, মোয়াজ্জেম হোসেন, জিয়াউল ইসলাম, হাবিব আহমেদ, আবুল হাসনাত মিলটন এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যালিসন জোনস ও ক্যাথেরিন ডি’এস্তে—দেশি-বিদেশি একদল চিকিৎসক ২০১০ সালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে সাপের কামড়ের ওপর এক গবেষণা করেন। এতেও দেশের পুরো চিত্র উঠে আসেনি। ওই গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশে বছরে গড়ে এক লাখ মানুষের মধ্যে ৬২৩ দশমিক ৪ জন সাপের কামড়ের শিকার হয়। বছরে মারা যায় ৬ হাজার ৪১ জন। সাপে কামড়ানোর পর ৮৬ শতাংশ মানুষ ওঝার কাছে যায়। চিকিৎসকের কাছে যায় মাত্র ৩ শতাংশ।

সাপের কামড়ের ওপর দেশে ২০১৬ সালে প্রকাশিত পৃথক এক গবেষণায় বলা হয়, দেশে প্রতিবছর গড়ে এক লাখ মানুষের মধ্যে ১০ দশমিক ৯৮ জন মানুষ সাপের কামড়ের শিকার হন। মারা যান এক লাখে ১ দশমিক ২২ জন। বছরে গড়ে ১৫ হাজার ৩৭২টি সাপের কামড়ের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে মারা যান ১ হাজার ৭০৯ জন। ‘স্নেক বাইট এপিডেমিওলজি ইন বাংলাদেশ—এ ‘ন্যাশনাল কমিউনিটি বেজড হেলথ অ্যান্ড ইনজুরি সার্ভে’ শীর্ষক গবেষণাটি যৌথভাবে করেছিল সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) ও সুইডেনের ওরেব্রো ইউনিভার্সিটি।

Source: Prothom-alo

Raisa:
nice

akhi:
Nice post

Navigation

[0] Message Index

Go to full version