ব্যাঙকে সাধারণত নিরীহ উভচর প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এসব নিরীহ ব্যাঙের মাঝে এমন কিছু প্রজাতির ব্যাঙ আছে যেগুলো অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ও বিষাক্ত। এসব প্রজাতির ব্যাঙের কাছ থেকে সব সময়ই সাবধান থাকে অন্যান্য পশু-পাখি। এসব বিষাক্ত ব্যাঙের শরীর থেকে এক ধরনের উজ্জ্বল আলো বের হয়, যা নিয়ন বাতির মতো। সেই আলো দেখেই সতর্ক হয়ে যায় অন্যান্য জীবজন্তু।
এসব বিষাক্ত ব্যাঙের মধ্যে পশ্চিম কলম্বিয়ায় নিম্নভূমিতে দেখতে পাওয়া যায় হলুদ রঙের ফিলোবেটস টেরিবিলস। এসব ব্যাঙের কোনো কোনোটির আকার বিশাল আবার কোনোটি দু-থেকে তিন ইঞ্চি। এরা মাঝে মাঝে বিষাক্ত বিষ ছুঁড়ে বিশাল আকৃতির প্রাণীদের হত্যা করে। এই প্রজাতির ব্যাঙের বিষ যেকোনো মরফিন হতে প্রায় ২০০ গুণ বেশি শক্তিশালী।
ইকুয়েডরের জঙ্গলে দেখা যায় বিষাক্ত ব্যাঙের অপর একটি প্রজাতি। এদের নাম_ এপি পেজেবেটস ট্রাইকালার। এসব ব্যাঙের সারা গায়ে আঁকা থাকে বিচিত্র ধরনের ও রঙের নকশা। এসব ব্যাঙের বিষ শিকারিরা শিকারে ব্যবহার করে। এদের শরীর থেকে বিষ সংগ্রহ করে তীরের ফলায় মাখিয়ে শিকারিরা খরগোশ, কাঠবিড়ালী প্রজাতির খুদে জীবজন্তু শিকার করে। এছাড়াও এই ব্যাঙের বিষ জীবজন্তুকে অচেতন করতেও ব্যবহার করা হয়।
বিষাক্ত ব্যাঙের অন্য একটি প্রজাতি ড্রেনডাবেটস আরাটাস। এদের দেখা যায় মধ্য ও উত্তর-দক্ষিণ আমেরিকায়। এই ব্যাঙের বিষ দ্বারা বর্তমানে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওষুধ তৈরি করা হচ্ছে, যা দিয়ে অনেক জটিল রোগ নিরাময় করা সম্ভব। এমনিভাবে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য বিষাক্ত প্রজাতির ব্যাঙ, যারা নানাভাবে মানব জাতির উপকার করছে।