হার্ট ব্লক যাবে চেনা যদি থাকে এনজিনা

Author Topic: হার্ট ব্লক যাবে চেনা যদি থাকে এনজিনা  (Read 1622 times)

Offline Mrs.Anjuara Khanom

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 474
  • Test
    • View Profile
হৃৎপিণ্ড বা হার্টের রক্তনালিতে চর্বি জাতীয় পদার্থ জমে ব্লকের সৃষ্টি করে। সাধারণভাবে এটাকেই হার্ট ব্লক বলা হয়। হার্টের রক্তনালিতে ব্লক থাকার ফলে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। এ অবস্থায় হৃৎপিণ্ড তার চাহিদামতো রক্ত সরবরাহ না পাওয়ায় হার্টের কার্যক্রম দারুণভাবে ব্যাহত হতে থাকে। হার্ট ব্লকের প্রাথমিক অবস্থায় ব্লক থাকা সত্ত্বেও  বিশ্রামকালীন রক্ত সরবরাহ চাহিদা মোতাবেক পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকায় রোগী বিশ্রামকালীন কোনোরূপ অসুবিধায় পতিত হয় না। যেসব ব্যক্তি সব সময় গাড়িতে চলাফেরা করেন, লিফটে উপরে উঠেন, তারা এ পর্যায়ে একদম স্বাভাবিক থাকে মানে তাদের শরীরে হার্ট ব্লকের কোনো লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় না। তবে যেসব ব্যক্তি কিছুটা কায়িকশ্রম সম্পাদন করে থাকেন তারা পরিশ্রমকালীন বুকব্যথা, বুকে চাপ অনুভব, বুক ধড়ফড় ও অত্যধিক পেরেশান হয়ে পড়েন। এসব উপসর্গকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এনজিনা বলা হয়। পরিশ্রম মানে হাঁটা, সিঁড়িতে উপরে ওঠা, তাড়াহুড়া করে কাজ করা, বৈরী আবহাওয়ায় কাজ করা ইত্যাদি বোঝানো হয়। অনেকে বলে থাকেন একই ধরনের পরিশ্রম কখনো এনজিনায় আক্রান্ত হয়, আবার কখনো তা হয় না। এর কারণ হিসেবে বেশ কিছু অবস্থাকে দায়ী করা হয়। ব্যক্তি যদি টেনশনে থাকেন, পেট ভরে খাওয়ার পর পরিশ্রম করতে যান বা বৈরী আবহাওয়ায় কাজ করতে যান, তবে খুব তাড়াতাড়ি এনজিনা আক্রান্ত হবেন এটাই স্বাভাবিক। খালি পেটে, ফুরফুরে মেজাজে, অনুকূলে আবহাওয়ায় কাজ করার সময় বেশ দেরিতে এনজিনায় আক্রান্ত হবেন—এটাও স্বাভাবিক। এনজিনার ব্যথা খুব তাড়াতাড়ি নিরাময় হওয়ার ফলে অনেকে এটাকে খুব বেশি গুরুত্ব দিতে চান না। তবে মনে রাখা উচিত, এনজিনার ব্যথা হওয়ার প্রধান এবং একমাত্র কারণ কিন্তু হার্ট ব্লক। যা একটি মারাত্মক হৃদরোগ এবং কারও এনজিনা হতে থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি। কারণ হার্ট ব্লক থেকে হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে। যার ফলে মানুষ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। অনেকে এনজিনার ব্যথাকে গ্যাসের ব্যথা ভেবে গ্যাসের ওষুধ গ্রহণ করে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করে এবং তা থেকে পরিত্রাণও পেয়ে থাকেন। আগেই আলোচনা করেছি, এনজিনার ব্যথায় বিশ্রাম গ্রহণ খুব তাড়াতাড়ি প্রশমন হয়ে যায় এবং তারা এ সময় গ্যাসের ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন বলে এটাকে গ্যাসের সমস্যা ভাবার যথেষ্ট যুক্তি আছে। উক্ত আলোচনা থেকে এটা বোঝা যায়, যদি কেউ এনজিনায় আক্রান্ত হতে থাকে তবে বুঝতে হবে, তার হার্টের রক্তনালিতে ব্লক দেখা দিয়েছে এটা নিশ্চিত। এছাড়া কয়টা ব্লক আছে, ব্লকগুলো কোথায় অবস্থিত এবং এর কোনটা কত পার্সেন্ট ব্লক তা বোঝার জন্য এনজিওগ্রাম টেস্ট অবশ্যই করতে হবে। তবে বর্তমান সময়ে সিটি এনজিওগ্রামের মাধ্যমেও ব্লক নির্ণয় করা যায়। কেউ এনজিনায় আক্রান্ত হলে তার হার্টে ব্লক আছে এটা নিশ্চিত। তাই এ অবস্থায় একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ বা কার্ডিওলজিস্টের শরণাপন্ন হতে হবে। তা না হলে পরিস্থিতি আরও জটিলতর হতে পারে। তাই এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে।

ডা. এম শমশের আলী (কার্ডিওলজিস্ট)

সিনিয়র কনসালটেন্ট (প্রা.), ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা।
Mrs, Anjuara Khanom
Library Assistant Officer,
Daffodil International University
DSC Campus
02224441833/34