বিকালের ছায়াটা একদিকে কাত হয়ে এলেই মনে হয় তুমি এসে দাঁড়িয়ে আছো দরজার ওপাশে। রণক্ষেত্র হবে আজ।
কুরুক্ষেত্র হবে। পেঁপে গাছের ছায়াটাকে মনে হয় অবিকল ঝগড়াটে তুমি।
ভাবতে পারো, ঝগড়া আর তোমাকে আলাদা করলে আর কী থাকে?
ঝগড়া নাই মানেই কেঁপে কেঁপে উঠবে না সমুদ্র, তোমার হাত সরে যাবে কোমর থেকে, চুল ঢুকে যাবে খোঁপায়।
পাড়ার ঘাড়ে শ্বাস ফেলবে দমবন্ধ রাত। স্কুলবাড়ির ছেলেরা শিস বাজাবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেমে গেলো বলে।
ঝগড়া নাই এর পৃথিবীতে তোমাকে ছোট জোনাকি পোকার মতো উড়ে যেতে দেখবো দাদার কবরের কাছে।
দাদা আমি আসার আগেই ফুটে গেছেন ওপারে। তবু শার্লকের বাচ্চাটা তোমাকে চিনতে পারবে ঠিকই।
চিৎকারের বদলে ওই নরম আলো কত ভয়ংকর বুঝে বলবেন শান্ত হও। আমার নিরুপায় আতংক
পাখির মতো উড়ে গিয়ে কাজ জুটিয়ে নিবে কোন উঁচু গাছের ডালে।
এরচেয়ে ভালো এসো ঝগড়া করি চুরমার, উঠানে দাঁড়াও চুল খুলে।
যুদ্ধের শঙ্খে ত্রস্ত হোক দিগ্বিদিক। আরেকটা বোতাম ছিঁড়ে যাক জীবনের।
(ঝগড়া – রুম্মান মাহমুদ)