গাছের নাম অলস্পাইস। বাংলা নাম নেই। গাছে কোনো ফুল নেই, ফল নেই। কেবল পাতা আর পাতা।অলস্পাইসের পাতা কিছুটা পুরু, চকচকে ও সুঘ্রাণযুক্ত। চিরসবুজ এ গাছের বাকল ও ডালপালা দেখতে অনেকটা পেয়ারা ও লবঙ্গগাছের মতো, বাকল মসৃণ ও ধূসর বাদামি। কচি ডালের রং সবুজ ও নরম।জায়ফল, জয়ত্রী, লবঙ্গ, দারুচিনি ও গোলমরিচ—সব ঘ্রাণ একসঙ্গে! এ কারণেই হয়তো এর নাম রাখা হয়েছে অলস্পাইস।এর পাতা ছায়ায় শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখা হয়। সেই গুঁড়ো রান্নায় ব্যবহার করা হয়। বিদেশে একে বলা হয় কারি পাউডার। বাঙালির রান্নাকে সুস্বাদু করতে এ পাতা ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে।এর ইংরেজি নাম পিমেন্টা বা জ্যামাইকান পিমেন্টা। একে মির্টেল পেপার নামেও ডাকা হয়।অলস্পাইসের উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম pimenta dioica। পরিবার মির্টেসি। গাছ মাঝারি আকারের। দক্ষিণ মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকা এর আদিনিবাস। এখন বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বেশ কয়েক বছর আগে বগুড়ায় মসলা গবেষণা কেন্দ্রে এ গাছের একটি মাতৃবাগান গড়ে তোলা হয়। গবেষণাও চলছে এ গাছ নিয়ে। কল্যাণপুর হর্টিকালচার সেন্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জেও অলস্পাইসগাছ রয়েছে।
অলস্পাইসগাছে ফুল ফোটা শুরু হয় মে থেকে, ফল পাওয়া যায় আগস্ট পর্যন্ত। থোকা ধরে প্রচুর ফল হয়। ফল বুটের দানার মতো গোলাকার; কাঁচা ফলের রং সবুজ, পাকলে কালো হয়। সাধারণত এর কাঁচা ফল সংগ্রহ করা হয়। কাঁচা ফল রোদে শুকিয়ে বাদামি করা হয়। কাঁচা পাতা রোদে শুকিয়ে তেজপাতার মতো ব্যবহার করা যায়।
Source: Google