ভাল করে ভাবলে আমরা বুঝতে পারবো পৃথিবীতে সব মানুষকে কেবলমাত্র দুইটি ভাগ করা যায়। স্বার্থপর আর নিঃস্বার্থ।
যত কথাই থাক তার মাত্র দুইটা ভাগ করা চলে। সত্য আর মিথ্যা এই দুইভাগে।
মিথ্যা বলার শাস্তি কি? মিথ্যা বলার জন্য কেউ মারা গেছেন তা জানি না।
কিন্তু কালে কালে সত্যি কথা বলার জন্য বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এইটা স্বতঃসিদ্ধ ভাবে বলা যায় যে মিথ্যা বলার জন্য যতজন মারা গেছে তার থেকে বহুগুণ মানুষ মারা গেছে সত্য বলার জন্য।
তার পরও নি ঃস্বার্থ মানুষেরা যুগে যুগে সত্য কথা বলে গেছেন।
কি অদ্ভুত এই আমাদের মানুষের মন। সে সব সময় উপরি খুঁজে। যা তার ন্যায় ভাবে প্রাপ্য তাতে তার কোন আগ্রহ নাই। কতটুকু উপরি পাবে সে তাতেই তার যত আগ্রহ পড়ে থাকে। শুধু সত্য বললে কেবল মাত্র তার প্রাপ্য টুকুই সে পাবে। উপরি পাওয়ার জন্যই তার মিথ্যার সাহায্য নেয়া।
লোভ, ঈর্ষা, ক্ষোভ, রাগ, এইগুলো থেকেই মানুষ মিথ্যার আশ্রয় নেয়। এই রিপু গুলোর কারনেই মানুষ মিথ্যা বলে বলে পৃথিবীকে দুর্বিষহ করে তুলে।
আমাদের বইয়ে আমরা পড়েছি সদা সত্য কথা বলিবে। পরিবারে বাবা মাও সবাইকে সত্য বলা শেখান। মিথ্যা বললে শাস্তি দেন।
আমাদের সত্য কথা বলা শেখানোর এতো জন ও আয়োজন থাকে। আমরা সত্য বলা শিখি পরিবারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে - সব জায়গায়। কোথাও সরাসরি মিথ্যা কথা বলা শেখানো হয় এইটা কেউ বলতে পারবেন না।
কোন আয়োজন না থাকলেও কি আশ্চর্যজনক ভাবে আমরা মিথ্যা বলা শিখে যাই। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কেউ কেউ এই মিথ্যাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে যায়। মানুষকে যেমন কেবল মাত্র কাজ শেখানো হয়। কিন্তু কিভাবে যেন সে কাজ শেখার আগেই কিভাবে ফাঁকি দিতে হয় সেটি শিখে যায়। নেগেটিভ জিনিষ শেখাতে হয় না। আপনি আপনি সবাই শিখে যায়। কে শেখায় আমাদের এই মিথ্যা বলা? - তাই ভাবতেছি।