আমরা যখন স্কুলের স্টুডেন্ট ছিলাম তখন হাত ঘড়ি জিনিসটা এতো সহজ লভ্য ছিল না।কেবলমাত্র বড়দের হাতেই তা থাকতো। আমাদের কলেজের নিয়ম অনুযায়ী ক্লাস টেনের আগে হাত ঘড়ি পড়া যেত না। যখন ক্লাস নাইনে উঠলাম আমার বাবা আমাকে একটি ক্যাসিও ঘড়ি কিনে দেন। মনে আছে প্রথম দিন আমি রাতে হাত ঘড়ি পাশে নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। এখনকার জেনারেশন আর হাতঘড়ি পড়ে না। তাদের মোবাইলেই সব থাকে। আমি নিশ্চিত আমার সেই প্রথম ক্যাসিও হাতঘড়ি দেখলে এখন অনেকেই হেসে কুল পাবে না। এমনকি আমিও হেসে উঠতে পারি। কিন্তু স্পস্ট মনে আছে তখন সেই হাতঘড়ি নিয়ে মনের মাঝে ম্যাজিকের মত ভাললাগা কাজ করতেছিল। খেয়াল করে দেখেছি নতুন অনেক জিনিষ নিয়ে আমাদের অনেকের মনেই কি এক ম্যাজিক ভাললাগা কাজ করে। অনেক সময় অন্য মানুষের সাথে নতুন বন্ধুত্ব বা পরিচয়েও আমাদের মাঝে সেই ম্যাজিক জেগে উঠে। এছাড়াও সন্তানের জন্মের সাথে বাবা মায়ের মনেও কি এক স্নেহের ম্যাজিক জাগ্রত হয়।
আবার সেই নতুন জিনিসটাই যখন পুরানো হয়ে যায় তখন সেই ভাল লাগার ম্যাজিক আর কাজ করে না। সেই একই মানুষ আর ভাল লাগা সেই একই জিনিষ। কিন্তু কোথায় যেন সুর কেটে যায়। ভাললাগা শেষ হয়ে গেলে সেই ম্যাজিকও আর থাকে না।
যতক্ষণ এই ম্যাজিক কাজ করে যায় - ততক্ষন কি এক অদ্ভুত সময় কাটে। আর ম্যাজিক চলে গেলে মনে হয় - কি এক পাগলামির সময় পার করা হয়ে গেল। ঠোঁটের কোণায় ফুটে উঠে এক চিলতে স্মিত হাসি।