Art of Living (AoL) > Art of Living - Doers' Den

ভালো থাকুন

(1/1)

Jasia.bba:
জীবনকে উপভোগ করুন, বাড়িয়ে তুলুন নিজের কর্মক্ষমতা, ঝেড়ে ফেলুন দুঃশ্চিন্তা। কীভাবে সম্ভব? সত্যি বলতে, সম্পূর্ণ বিষয়টিই নির্ভর করছে আপনার উপর। তারপরও প্রতিদিন এই দশটি কাজ করে দেখতে পারেন, আখেরে লাভ আপনারই হবে-

১. প্রকৃতির সান্নিধ্য

ছকে কষা ব্যস্ততার মধ্য থেকে একটু সময় বের করুন। প্রকৃতির কাছে যান, একাকী কিছুক্ষণ প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান। গবেষকদের দাবি, এতে করে আপনার দুশ্চিন্তার মাত্রা কমবে, স্মৃতিশক্তি বাড়বে এবং নতুন কিছু ভাবার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

২. শরীরচর্চা

শরীরচর্চার গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা সবাই কম বা বেশি জানি। কিন্তু ঠিক করা হয়ে ওঠে না। হার্ভার্ড গবেষকদের মতে, শরীরচর্চার অব্যাস আপনাকে একইসঙ্গে সুস্থ এবং হাশিখুশি থাকতে সাহায্য করবে। এ ছাড়াও আপনার দৈনন্দিন ঘুমের ক্ষেত্রেও এটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

৩. বন্ধু ও পরিবারকে সময়

হার্ভার্ড গবেষক ড্যানিয়েল গিলবার্ট এই বিষয়টিকে সুখী হওয়ার অন্যতম পথ বলে উল্লেখ করেছেন। ব্যস্ততা থাকবেই। এর মধ্যেই বন্ধু ও পরিবারের জন্য সময় বের করে নিন। প্রতিদিন কিছুক্ষণ তাদের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করুন।

৪. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

প্রতিদিন চেষ্টা করুন আশেপাশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার। এটি আপনাকে সুখী রাখা থেকে শুরু করে মানুষের সঙ্গে আপনার সম্পর্কও ভালো রাখবে এবং আপনিও প্রশান্তি অনুভব করবেন।

৫. মেডিটেশনের চেষ্টা

মেডিটেশনের মাধ্যমে রাগ, ক্ষোভ, দুঃখ ইত্যাদি নেতিবাচক অনুভূতির হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। আর যে ধর্মাবলম্বীই হোন না কেন, চেষ্টা করুন প্রার্থনা করার। মানসিক স্বাস্থ্যে বিষয়টি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা।

৬. পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম

ঘুমের সঙ্গে আপনার দৈনন্দিন আচরণের সম্পর্ক রয়েছে, সুস্বাস্থ্যের সম্পর্ক রয়েছে। চেষ্টা করুন পর্যাপ্ত সময় ঘুমানোর। কারণ স্বল্প ঘুম শুধু মেজাজ খিটখিটে নয়, আরও অনেক আচরণের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে, এমনকি আপনার সততার ক্ষেত্রেও এর প্রভাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

৭. নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতা

নিজের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামুন। নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন। এটিও আপনার ভালো থাকার ক্ষেত্রে ভূমিকাপ রাখবে। নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতেও সহযোগিতা করবে।

৮. হাসুন

খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। চেষ্টা করুন হাসার, অন্যকে হাসানোর। এটি শুধু আপনার শরীরের ক্ষেত্রে নয়, মনের ক্ষেত্রেও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে। গবেষকরা জানিয়েছেন, যাদের মধ্যে এই গুণটি রয়েছে, তাদের মধ্যে রোগব্যধি সহজে বাসা বাধতে পারে না এমনটাই দেখা গেছে।

৯. ছুঁয়ে দিন আপনজনকে

আপনজনকে ছোঁয়ার অভ্যাসটি গড়ে তুলুন। এটি দুঃশ্চিন্তার মাত্রা কমাতে ভূমিকা রাখে বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা। এ ছাড়াও শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও এই অভ্যাসটি বেশ কার্যকর।

১০. ইতিবাচক চিন্তা

ইতিবাচক চিন্তার অব্যাস গড়ে তুলুন। এটি আপনার সুস্থতা, সুখানুভূতি এবং দীর্ঘায়ুর ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। সামরিক বাহিনীতে কিন্তু এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কারণ এটি মানসিক দৃঢ়তা বাড়াতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে।

সূত্র: টাইম ম্যাগাজিন।

Navigation

[0] Message Index

Go to full version