ছোটবেলায় বি টি ভি তে একটি ধারাবাহিক ইংরেজি ছায়াছবি দেখাতো। নাম ছিলো ওয়াল্টন্স। যতটুকু মনে আছে একটি আমেরিকান পরিবারের দৈনন্দিন জীবন যাপনের কাহিনী ছিলো সেটা। সেই পরিবারের বড় ছেলে তাদের পরিবারের প্রতিদিনের ঘটনা ও দিন লিপি লিখে রাখে প্রতিদিন। সেই লেখা থেকেই এই ওয়াল্টন্স ধারাবাহিক মুভির জন্ম। ইংরেজিতে ছিলো দেখে তখন প্রায় কিছুই বুঝতাম না। যত টুকু শুধু ছবি দেখে বোঝা সম্ভব – ততটুকুই বুঝতাম। আর মনে পড়ে যে প্রতি এপিসোডের শেষে পরিবারের সবাই গুডনাইট বলতেছে আর তাদের বাড়ির লাইট এক এক করে নিভে যাচ্ছে। প্রতি এপিসোড শেষে এইটাই ছিলো এন্ডিং সিন।
ভাবতেছি – যাদের লেখার ক্ষমতা ছিলো – তাদের কাহিনী আমরা সবাই দেখতেছি। কিন্তু এর বাইরের কোটি কোটি কাহিনী লেখা হয় নাই। এই পৃথিবীতে এই পর্যন্ত মোট কতজন মানুষ জন্মেছে? বর্তমানের ৭০০ কোটির সাথে অতীতের মানুষের সংখ্যা যোগ করলে কত হবে? ঠিক ততগুলোই জীবন কাহিনী নয় কি? কত কোটি কোটি সংগ্রাম দুঃখ-কষ্ট মায়া-মমতা আনন্দ-বেদনার কাহিনী ঘটে গেছে এই পৃথিবীতে।
এক এক জন মানুষের জীবন অবসানে হারিয়ে যায় কত না লেখা মহাকাব্য। আরেকজন আসে – শুরু হয় তার জীবন কাহিনী। হয়ত জীবন কাহিনীর পুনরাবৃত্তি ঘটে। কিন্তু আমরা কেউ তা জানিনা। নতুন করে শিখি আমরা যা পুরানোরা অনেক আগেই তা হাজার বার করে গেছে। আমাদের কাছে যা নতুন অনুভুতি, নতুন ভালোলাগা, নতুন আবেগ – খুজলে হাজার বছরের কালের গর্ভে হয়ত তা লক্ষ-নিযুত বার পাওয়া যাবে।