Success Consciousness > Success
ফোর্বসের সেরা তালিকায় বাংলাদেশি দুই তরুণ
(1/1)
nafees_research:
ফোর্বসের সেরা তালিকায় বাংলাদেশি দুই তরুণ
বিশ্বখ্যাত সাময়িকী ফোর্বস-এর ত্রিশের নিচে ত্রিশ (৩০ আন্ডার ৩০) দুটি বিভাগে দুজন বাংলাদেশি তরুণ এবার স্থান পেয়েছেন। সদ্য প্রকাশিত ফোর্বস-এর ৩০ আন্ডার ৩০: ২০১৯ তালিকার শক্তি (এনার্জি) বিভাগে স্থান পেয়েছেন ভার্ড টু গোর প্রতিষ্ঠাতা ২৮ বছর বয়সী সানি সানওয়ার এবং বিজ্ঞান বিভাগে রয়েছেন ২৯ বছর বয়সী বিজ্ঞানী জি এম মাহমুদ আরিফ পাভেল।
সানি সানওয়ার লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি প্যাক তৈরি করে সেটি বাণিজ্যিকভাবে সরবরাহ করেন তাঁর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ভার্ড টু গোর মাধ্যমে। কার্বন নিঃসরণ না করে বড় আকারের বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করা যায় সানির এই উদ্ভাবনী প্রকল্প থেকে। জি এম মাহমুদ আরিফ পাভেল গবেষণা করেন মানবদেহের আয়ন চ্যানেল নিয়ে। এই আয়ন চ্যানেলে সমস্যা হলে কিডনিতেও সমস্যা হয়। পাভেলের গবেষণা এ সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখবে।
২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কেনেডি-লুগার এক্সচেঞ্জ স্টুডেন্ট কর্মসূচির মাধ্যমে সানি সানওয়ার যখন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসাস সিটিতে যান তখন তাঁর বয়স ছিল ১৫। বাংলাদেশে তখন তিনি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়তেন। যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ পেলেন। তাই মাত্র ১৯ বছর বয়সে যন্ত্র প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন সানি। ২২ বছর বয়সে তিনি লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি প্যাক তৈরি করেন। দ্রুতই এই ব্যাটারি প্যাকের বিদ্যুৎ উৎপাদন ১ কিলোওয়াট থেকে ১ মেগাওয়াটে উন্নীত করেন। ২০১৬ সালে ২০ লাখ মার্কিন ডলারে সানির এই ব্যাটারি উদ্যোগ কিনে নেয় এভারগোনিক্স।
যোগাযোগ করা হলে সানি সানওয়ার ই-মেইলে প্রথম আলোকে জানান, এই বিভাগে সাধারণত ৩০ বছরের কম বয়সী উদ্ভাবক, আবিষ্কারক বা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতাকে স্থান দেন, যাঁরা কমপক্ষে ১ মিলিয়ন ডলারের তহবিল সংগ্রহ করতে পারেন।
এর আগে এই তালিকায় ফেসবুকের মার্ক জাকারবার্গ, স্ন্যাপচ্যাটের ইভান স্পিগেলের মতো বিশ্বখ্যাত উদ্যোক্তারা স্থান পেয়েছেন। নিজের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সানি বলেন, ‘ভার্ড টু গোর মূল লক্ষ্যই হলো কার্বন নিঃসরণকারী বিদ্যুৎ শক্তির ব্যবহার কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার প্রতিষ্ঠা করা। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু শহরে লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। ঢাকায় নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ নিয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনাও শুরু করেছি।’
সানি সানওয়ার ক্যানসাস সিটির মিজৌরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যবসায় উদ্যোগ ও উদ্ভাবন বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সানির জন্ম ঢাকায় হলেও তাঁদের বাড়ি রাজশাহীতে। তাঁর বাবা সারওয়ার আজমও একজন যন্ত্র প্রকৌশলী। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে কর্নেল হিসেবে অবসর নেন। নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুন নাহার সানির মা। সানি সানওয়ার এখন মিজৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতাও করছেন। সানি ২০১৬ সালে এসিএস হেইঞ্জ ভন ফোয়েস্টার পুরস্কার অর্জন করেছেন।
ফোর্বস তালিকার বিজ্ঞানে স্থান পাওয়া জি এম মাহমুদ আরিফ পাভেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিনবিজ্ঞানে স্নাতক হওয়ার পর বৃত্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করতে যান। নিউইয়র্কের সেন্ট জন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। পাভেল এখন যুক্তরাষ্ট্রের স্ক্রিপস রিসার্চে পোস্ট ডক্টরাল সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন যুক্তরাষ্ট্রে।
বংশগত কিডনি রোগের তেমন কোনো চিকিৎসা নেই। তবে পাভেলদের গবেষণায় দেখা গেছে, মানবদেহের আয়ন চ্যানেলের বৈশিষ্ট্যে যদি সঠিকভাবে পরিবর্তন আনা যায়, তবে এ রকম কিডনি রোগের চিকিৎসায় সুফল পাওয়া যেতে পারে। এই আয়ন চ্যানেলকে ‘জীবনের মৌলিক সেন্সর’ বলছেন এই বিজ্ঞানীরা। পাভেলের গবেষণা কিডনি রোগ এবং অস্ত্রোপচারের সময় অবেদন (অ্যানেসথেসিয়া) প্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জি এম মাহমুদ আরিফ পাভেল যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার জুপিটার থেকে ই-মেইলে প্রথম আলোকে জানান, ‘আমার চেয়েও অনেক মেধাবী বাংলাদেশি বিজ্ঞানী রয়েছেন। আমার বয়স ৩০ বছরের কম বলে এ তালিকায় স্থান পেয়েছি। বিশ্বখ্যাত দুই বিজ্ঞানী ইয়ং য়ু এবং স্কট হ্যানসেনের সঙ্গে এই গবেষণা করেছি, এটাই বড় পাওয়া।’
Source: https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1566497/%E0%A6%AB%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%BF-%E0%A6%A6%E0%A7%81%E0%A6%87-%E0%A6%A4%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%A3?fbclid=IwAR0yJ5xuuQclk4IOED11MAsHglMkHX7RLkHbIjemZUFy9Z4VpFZEcQoExtw
tokiyeasir:
iNFORMATIVE
Shahrear.ns:
Good To know
Navigation
[0] Message Index
Go to full version