অস্ট্রেলিয়ায় ফেসবুক-গুগলের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনের সুপারিশ

Author Topic: অস্ট্রেলিয়ায় ফেসবুক-গুগলের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনের সুপারিশ  (Read 851 times)

Offline nafees_research

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 344
  • Servant of ALLAH
    • View Profile
অস্ট্রেলিয়ায় ফেসবুক-গুগলের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠনের সুপারিশ

ক্তিগত গোপনীয়তা থেকে সংবাদ প্রচার সর্বত্রই টেক জায়ান্টদের আধিপত্য বাড়ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের লাগাম টেনে ধরতে সোচ্চার বিভিন্ন দেশের আইনপ্রণেতারা। এরই ধারাবাহিকতায় এবার অস্ট্রেলিয়ার অনলাইন বিজ্ঞাপন ও সংবাদ বাজারে ফেসবুক ও গুগলের আধিপত্য নিয়ন্ত্রণে একটি নতুন নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্থাপনের সুপারিশ এসেছে। গতকাল অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশনের (এসিসিসি) প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করা হয়। খবর রয়টার্স।

অস্ট্রেলিয়ার প্রতিযোগিতা-বিষয়ক ওয়াচডগটির এ প্রতিবেদন সবার কাছেই আগ্রহের বিষয়। মিডিয়া পুনর্গঠনের বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এক বছর আগে দেশটির সরকার এসিসিসিকে এ প্রতিবেদন তৈরির নির্দেশ দেয়। ওই সময়ে জানানো হয়, ২০১৯ সালের জুনে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়া যেতে পারে।

প্রাইভেট ইউজারদের তথ্যে পুলিশকে প্রবেশাধিকার দিতে টেক কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ায় আইন পাসের কিছুদিন পরই এ সুপারিশের কথা জানা গেল। এ আইন প্রণয়নের আরেকটি কারণ হলো, টেক জায়ান্টদের ব্যবসায়িক আচরণ এবং তথাকথিত ফেক নিউজ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ।

সিডনিতে এসিসিসি চেয়ারম্যান রড সিমস সাংবাদিকদের বলেন, আপনি যখন একটি নির্দিষ্ট ধাপে উঠে আসবেন এবং বাজারে আপনার প্রভাব থাকবে, যা গুগল ও ফেসবুক উভয়েরই আছে, তখন বিশেষ দায়িত্ব পালন ও অতিরিক্ত নজরদারির প্রয়োজন হয়।

তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ওয়েব সার্চ বাজারে গুগলের অংশীদারিত্ব ৯৪ শতাংশ। বাজারে বিরাট অংশীদারিত্ব ও বিজ্ঞাপনের ক্রম নির্ধারণে অস্বচ্ছ পদ্ধতির সুবাদে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞাপনদাতাদের ওপর তাদের ব্যবসাকে অগ্রাধিকার দেয়ার সুযোগ ও ক্ষমতা লাভ করে।

তিনি আরো বলেন, সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রেও গুগল ও ফেসবুকের প্রভাব বিশাল। প্রস্তাবিত নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাজ হবে সবসময় নজর রাখা এবং সক্রিয়ভাবে কিছু স্বচ্ছতা আনা। এসিসিসি টেক কোম্পানিগুলো কীভাবে বিজ্ঞাপন ও সংবাদের ক্রম সাজায়, তার অনুসন্ধানের ক্ষমতা নতুন নিয়ন্ত্রকের কাছে হস্তান্তরেরও প্রস্তাব দিয়েছে।

সিমস জানান, এ রিপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে তারা অস্ট্রেলিয়ায় ভোক্তা বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের সম্ভাব্য পাঁচটি তদন্তের বিষয়ে আগ্রহী হয়েছেন। তবে তিনি এর সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচয় প্রকাশ করেননি।

এসিসিসির সুপারিশের বিষয়ে পৃথক বিবৃতিতে ফেসবুক ও গুগল জানায়, তারা এসিসিসির সঙ্গে কাজ করা অব্যাহত রাখবে। এরই মধ্যে তারা ফেক নিউজের বিস্তার ঠেকাতে আরো পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, বিজ্ঞাপনদাতাদের সস্তা পদ্ধতিতে বিরাট শ্রোতার কাছে পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি ইউজারদের বৈশ্বিক সংবাদ প্রবেশাধিকার দেয়া হচ্ছে।

অনলাইন প্রতিযোগীদের চাপের মুখে থাকা নাইন এন্টারটেইনমেন্ট এবং নিউজ করপোরেশনের স্থানীয় শাখার মতো অস্ট্রেলিয়ার প্রথাগত মিডিয়া কোম্পানিগুলো পৃথক বিবৃতিতে এসিসিসির এ সুপারিশকে স্বাগত জানিয়েছে।

সিডনির মোনাশ ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক মার্গারেট সিমন্স বলেন, এর মাধ্যমে টেক কোম্পানিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর মধ্যে আনা যাবে।

Source: http://bonikbarta.net/bangla/news/2018-12-11/179767/%E0%A6%85%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A7%9F-%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%95-%E0%A6%97%E0%A7%81%E0%A6%97%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%97%E0%A6%A0%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A7%81%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B6/
Nafees Imtiaz Islam
Deputy Director, IQAC, DIU and
Ph.D. Candidate in International Trade
University of Dhaka

Tel.:  65324 (DSC-IP)
e-mail address:
nafees-research@daffodilvarsity.edu.bd  and
iqac-office@daffodilvarsity.edu.bd