কিউবা বিপ্লবের ৬০ বছর: বাংলাদেশে এর প্রাসঙ্গিকতা
আবু তাহের খান
২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি, কিউবা বিপ্লবের ৬০ বছর পূর্ণ হলো। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের এক যুগ আগে সাধিত এ বিপ্লবের (২৬ জুলাই-১ জানুয়ারি ১৯৫৯) সাফল্য শুধু কিউবার জনগণকেই নতুন জীবনের আস্বাদন জোগায়নি, বিশ্বের অন্যান্য বহু দেশের সাধারণ মানুষের জীবনের দাবি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকেও এগিয়ে নিয়ে যেতে অনেকখানি সহায়তা করেছে। আর বাংলাদেশের অর্থনীতি, সমাজ, রাজনীতিতে এ বিপ্লবের প্রভাব ও প্রাসঙ্গিকতা এতটাই নিবিড় যে, এক্ষেত্রে বিষয়টি স্বতন্ত্র গবেষণার দাবি রাখে। তাই সীমিত পরিসরের এ আলোচনায় এখানে শুধু বিপ্লবের মূল চেতনা, বৈশিষ্ট্য ও অভিজ্ঞতাগুলোকে স্মরণ করার চেষ্টা করা হলো, যেগুলোকে কেন্দ্র করে সামনের দিনগুলোয় আরো নানামাত্রিক আলোচনা বহুদূর পর্যন্ত এগিয়ে যেতে পারে।
যোজন দূরত্বের ভৌগোলিক অবস্থান ও সমাজকাঠামোর মধ্যকার নানা বৈসাদৃশ্য থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও কিউবা বিপ্লবের পটভূমির মধ্যে ব্যাপক মিল ও সাদৃশ্য রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমিক কারণগুলোর অন্যতম ছিল শোষণ, বৈষম্য ও সে ধারায় সম্পদের চরম মেরুকরণ। কিউবা বিপ্লবের পটভূমিতেও ছিল তাই। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও নিপীড়ন, পশ্চিম পাকিস্তানি উঠতি পুঁজিপতিদের দ্বারা সম্পদের একচ্ছত্র কুক্ষিগতকরণ (বহুল আলোচিত ২২ পরিবারের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য) এবং পাকিস্তানি সামরিক শাসকদের ছত্রচ্ছায়ায় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসন। অন্যদিকে কিউবার ক্ষেত্রে ছিল মার্কিন সমর্থনপুষ্ট স্বৈরাচারী বাতিস্তুতার একনায়কতন্ত্র, আখ উৎপাদনসহ (কিউবার অন্যতম অর্থকরী ফসল হচ্ছে আখ ও তদজাত চিনি) কিউবান অর্থনীতির ওপর মার্কিন কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ (কিউবার ৭৫ শতাংশ কৃষিজমির মালিকানা ছিল মার্কিনিদের হাতে) এবং মার্কিন অঙ্গুলি হেলনে রাষ্ট্রনীতি পরিচালনা। এর বাইরে কিউবার ক্ষেত্রে একটি অতিরিক্ত উপসর্গ ছিল অর্থনীতির ওপর মাফিয়া চক্রের প্রবল নিয়ন্ত্রণ এবং মার্কিন কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি দেশের সম্পদের ওপর তাদেরও বড় ধরনের ভাগীদারিত্ব।
উপরোল্লিখিত প্রেক্ষাপটকে পেছনে রেখে ১৯৫৯ সালের ১ জানুয়ারিতে যাত্রা শুরু করা কিউবাকেও একেবারে প্রথম দিন থেকেই প্রচণ্ড অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বৈরিতা মোকাবেলা করে যাত্রা শুরু করতে হয়, যেমনটি শুরু করতে হয়েছিল বাংলাদেশকেও। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বৈরিতা ছিল পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর এ দেশীয় সমর্থক পরাজিত শক্তির দিক থেকে, যেটি কিউবার ক্ষেত্রে ছিল মাফিয়াচক্র ও সে দেশের ধনিক শ্রেণী। অন্যদিকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বৈরিতা ছিল পাকিস্তান, সৌদি আরবসহ রাজপরিবারশাসিত মধ্যপ্রাচ্যের কতিপয় দেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে। এবং এ বৈরিতার পথ ধরেই ১৯৭২-৭৩ সালে বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য সহায়তা বন্ধ করে দেয়া এবং সিআইএর প্রত্যক্ষ মদদে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা। আর কিউবার ক্ষেত্রেও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছিল। তবে এর মাত্রা ও ফলাফল ছিল ভিন্নতর। অর্থনৈতিক বৈরিতার ক্ষেত্রে কিউবার অবস্থা ছিল বাংলাদেশের চেয়েও ভয়াবহ। বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধু খাদ্য সহায়তা বন্ধ রেখেছিল। কিন্তু ১৯৬০ সালে কিউবার ওপর তারা আরোপ করেছিল স্থায়ী অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা, যা এখনো পুরোপুরি উঠে যায়নি। তাছাড়া একই সময়ে তারা যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সব কিউবান সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে, কিউবার সঙ্গে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। আর এর দেখাদেখি বেশ কয়েকটি মার্কিন মিত্র দেশও প্রায় একই পথ অনুসরণ করে চলে। এতসব বৈরিতা উপেক্ষা করেও কিউবা পরম ধৈর্য, সাহস ও বিচক্ষণতার সঙ্গে এগিয়ে যায়, যার ফলে সেখানে এখন সাক্ষরতার হার শতভাগ, জনগণের আয়ুষ্কাল ৮০ বছর ও শিশুমৃত্যুর হার হাজারে ৪ দশমিক ৭৬ জন। আর এ সবক’টি ক্ষেত্রেই কিউবা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশ এক্ষেত্রে কিউবার মতো অতটা সাহস দেখাতে না পারলেও এসব ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলংকার পরেই দেশটির অবস্থান, যেখানে পাকিস্তানের অবস্থান আরো অনেক পরে।
অন্যদিকে মার্কিন রোষানল থেকে নিজেদের রাষ্ট্রনায়ককে বাঁচিয়ে রাখার ক্ষেত্রেও কিউবানরা অনেক বেশি সাহসের পরিচয় দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর পাশাপাশি কিউবান নেতা ফিদেল কাস্ত্রোকেও সিআইএ বারবার হত্যা করতে চেয়েছে। কিন্তু তারা তা পারেনি, যা বাঙালি নামের কতিপয় কুলাঙ্গারের কারণে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সিআইএ পেরেছে। বলা হয়ে থাকে, ফিদেল কাস্ত্রো ছাড়া পৃথিবীর আর কাউকে হত্যার জন্য সিআইএ এত বেশিবার উদ্যোগ নেয়নি। কিন্তু কাস্ত্রো ও তার জনগণের কৌশলের কাছে তারা প্রতিবারই হেরে গেছে; যে কৌশল কাস্ত্রো আয়ত্ত করেছিলেন, তার দীর্ঘকালীন গেরিলা যুদ্ধের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। উল্লেখ্য, কিউবান বিপ্লবের যুদ্ধকালীন পর্বের পুরোটাই ছিল বস্তুত গেরিলা যুদ্ধের ইতিহাস, যেটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে মিলে যায়।
কিউবান বিপ্লব ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং এ দুই দেশের গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে ব্যাপক সাদৃশ্য ও আদর্শিক মিল থাকা সত্ত্বেও উভয়ের মধ্যে বৈসাদৃশ্যও কিন্তু যথেষ্ট রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্ণ হতে যাওয়ার প্রাক্কালে বিষয়গুলোর প্রতি পর্যালোচনামূলক দৃষ্টি দেয়া উচিত বলে মনে করি। বিপ্লব-পরবর্তী প্রথম সিদ্ধান্তেই ফিদেল কাস্ত্রো কিউবায় যা যা করেছিলেন, বঙ্গবন্ধুও বাংলাদেশে অনেকটা সে ধরনের সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন। কিন্তু কিউবায় সেগুলো বাস্তবায়িত হলেও বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বাংলাদেশে সেগুলো আর বাস্তবায়িত হয়নি। কাস্ত্রোর প্রথম সিদ্ধান্তগুলোর অন্যতম ছিল সমাজ থেকে বৈষম্য নিরসন ও সমতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ব্যাপকভিত্তিক ভূমি সংস্কার, অবৈধ পন্থায় আহরিত সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে জব্দকরণ, বেসরকারি খাতে বিদ্যালয় স্থাপন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধকরণ ইত্যাদি। ভূমি সংস্কার উদ্যোগের আওতায় যাদের বেশি পরিমাণ জমি ছিল, সে জমি রাষ্ট্রের অনুকূলে অধিগ্রহণ করা হয়, যার আওতায় ফিদেল কাস্ত্রো তার পৈতৃক সম্পত্তিও ছেড়ে দিয়েছিলেন। আর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারভিত্তিক অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল যোগাযোগ অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়ন। আর এসবেরই কারণে সর্বোচ্চ পর্যায়ের মাথাপিছু আয়ের দেশ না হয়েও অধিকাংশ মানব উন্নয়ন সূচকের নিরিখে কিউবা এখন বিশ্বের সর্বোচ্চ সারির দেশগুলোর একটি। আর মাথাপিছু আয়ও নেহায়েত কম নয়— ৭ হাজার ৩৯১ ডলার, বাংলাদেশের তুলনায় প্রায় সাড়ে ৪ গুণ।
কিউবার মতো প্রায় একই আঙ্গিকের আদর্শ ও কর্মসূচি নিয়ে বাংলাদেশ তার যাত্রা শুরু করলেও ১৯৭৫ সালে রক্তক্ষয়ী সামরিক অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আরোহণকারী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ক্রীড়নকেরা তার সবই প্রায় ধ্বংস করে দেয়। কিন্তু এখন যেহেতু স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী দল ক্ষমতায়, তাই ১৯৭২-এর সেই গণমুখী কর্মসূচিগুলোর দিকে আবার ফিরে তাকানো যায় কিনা? বিশেষত ক্রমবর্ধমান বৈষম্য যখন ক্ষণে ক্ষণে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের মৌল চেতনাকে অনেকটাই ফ্যাকাশে করে দিচ্ছে, তখন এ তাকানোর বিষয়টি আরো জরুরি হয়ে পড়েছে বৈকি! বিশেষ করে কিউবার অনুকরণে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষাকে পুরোপুরি সরকারি বিদ্যালয়ের অধীন করা যায় কিনা, তা ভেবে দেখা যেতে পারে।
এ প্রসঙ্গে এখানে শুধু এটুকু বলতে চাই শিল্প, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গৃহায়ণ ইত্যাদি প্রতিটি রাষ্ট্রীয় নীতিমালার আওতাতেই এমন কিছু অনুষঙ্গ রয়েছে, যেগুলো সম্পদের বৈষম্য ও মেরুকরণকেই শুধু ত্বরান্বিত করছে না, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের আয় উপার্জন বৃদ্ধি সত্ত্বেও একই সঙ্গে তা তাদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তুষ্টির মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে কিউবা বিপ্লব থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে বলে মনে করি। একমাত্র বারাক ওবামা ছাড়া প্রত্যেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট (এমনকি জন এফ. কেনেডিও: ১৯৬১-৬৩) ফিদেল কাস্ত্রো ও কিউবাকে এত বেশি যন্ত্রণা ও কষ্ট দিয়েছেন, আর কোনো দেশের প্রতিই মার্কিন নিগ্রহের মাত্রা এতটা উগ্ররূপ ধারণ করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না। তার পরও কিউবা যেভাবে নিঃশ্বাস দূরত্বে অবস্থান করে মার্কিন প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে শুধু টিকে থাকা নয় দাপটের সঙ্গে এগিয়ে গেছে, তা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে। এ প্রসঙ্গে নিজেদের একটি সাহসের প্রশংসা অবশ্যই উল্লেখ করতে হয়, সেটি হচ্ছে শেখ হাসিনা কর্তৃক পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতা প্রত্যাখ্যান করা।
কিউবান বিপ্লবের প্রথম প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগী নিঃসন্দেহে সে দেশের জনগণ। কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য বহু দেশের লক্ষ-কোটি মেহনতি মানুষও কি এর সুফল কম-বেশি ভোগ করেনি? নেলসন ম্যান্ডেলা ১৯৯০-এর দশকে দক্ষিণ আফ্রিকায় কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে যে মেলবন্ধন গড়ে তুলেছিলেন, তার প্রায় সাড়ে তিন দশক আগে ১৯৫৯ সালেই ফিদেল কাস্ত্রো ঘোষণা করেছিলেন। তা ছিল আফ্রিকান বংশোদ্ভূত কৃষ্ণাঙ্গ কিউবানদের সঙ্গে মিলে শ্বেতাঙ্গ কিউবানদের একসঙ্গে দেশ গড়ার প্রত্যয়। এখন থেকে ৬০ বছর আগে ঘোষিত সে প্রত্যয়ের ধারাতেই যে বর্ণবৈষম্যবিরোধী চেতনা আজ বিশ্ব মানবাধিকারের অন্যতম মানদণ্ড। অন্যদিকে লাতিন আমেরিকার অধিকাংশ দেশই যে আজ মার্কিন কর্তৃত্বের বাইরে গিয়ে তাদের জনগণের জীবনমানের উন্নয়ন ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক আদর্শকে সীমিত পরিসরে হলেও ধরে রেখেছে, সেটি কিউবান বিপ্লবেরই ফসল। অতএব, ফিদেল কাস্ত্রোর নেতৃত্বাধীন কিউবার বিপ্লব সে দেশের জনগণের মুক্তি, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণের প্রতীক হলেও একই সঙ্গে তা পৃথিবীর সব মুক্তিকামী মানুষেরই বিপ্লব।
১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ফিদেল কাস্ত্রো ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেখানে অনুষ্ঠিত পারস্পরিক সাক্ষাতে ফিদেল কাস্ত্রো সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি।’ ইতিহাসের এ অমোঘ উক্তি শুধু শেখ মুজিবের মহত্ত্ব ও বিরাটত্বের মহিমাকেই তুলে ধরেনি, একই সঙ্গে তা পৃথিবীর দেশে দেশে প্রগতিশীল মানুষের সংগ্রাম ও আকাঙ্ক্ষার প্রতি ফিদেল কাস্ত্রোর অঙ্গীকার ও দায়বদ্ধতার উপলব্ধিকেও তুলে ধরেছিল। এবং বস্তুত সেটিই ছিল কিউবান বিপ্লবের মূল চেতনা এবং তা বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের চেতনাও বৈকি!
লেখক: পরিচালক (সিডিসি)
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
atkhan56@gmail.com
Source: Daily Bonikbarta, 01 January 2019