চীনারা ছিল অনেক দরিদ্র। খাবার জুটতো অনেক কম। তাই তারা খাবার রান্নার সময় তরকারীর খোসা গুলো সিদ্ধ করতো। খাওয়া শুরু করার আগে তারা সেই তরকারীর খোসার সিদ্ধ পানি খেয়ে নিত। যাতে ক্ষুধা কমে যায় ও আসল খাবার কম খেতে হয়।
চীনারা আগে অনেক দরিদ্র ছিল। তখন তাদের খাবারের ট্র্যাডিশন ছিল আসল খাবার শুরু করার আগে স্যুপ খাওয়া। এখন আমরা চাইনিজ খাবার খাওয়ার আগে যে স্যুপ খাই - তার এই পিছনের আসল কারণটা পেয়েছিলাম একটি বইয়ে। সেটাই উপরের বর্ণনায় আছে।
এখনকার চীন বা চায়নার সাথে কত পার্থক্য। তারা এখন পৃথিবীর অর্থনীতির নিয়ন্ত্রক। সব কিছুর এতো বেশী প্রডাকশন করে যে আগের অনেক মূল্যবান সামগ্রী আমরা এখন ভ্যান গাড়িতে বিক্রি হতে দেখি। আমাদের দেশের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষদের দেখি। তারা যেসব শ্রম-নির্ভর কাজ করে তা অন্য শ্রেণীর মানুষেরা মারা গেলও করবে না বা পারবেও না। এদের কখনো টেনশন করতে দেখি নাই। নিজেকে যদি ভাবি যে আজকে কাজ না পেলে না খেয়ে থাকতে হবে। তাহলে আমাদের অবস্থা কি হবে? তাদের মত প্রান্তিক জীবন যাপন আমাদের করতে হয় না। বাড়ি গাড়ী ব্যাংক ব্যালেন্স সব কিছু থাকার পরও আমরা শান্তিতে খেতেও পারি না - ঘুমাতেও পারি না। তারা কত শান্তিতে তাদের খাবার গুলো খায় আর কি নিশ্চিন্তে ঘুমায়। তারা না থাকলে আমাদের দেশের অর্থনীতি স্থবির হয়ে যেত।
আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশ থেকে ইমিগ্রান্ট নেয় উন্নত দেশ গুলো। ইমিগ্রান্ট্রাই সচল রাখে তাদের অর্থনীতি।
আমার মতে আমাদের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলোতে সুশাসন বিরাজ করলে বেশীর ভাগ মানুষ দেশ ত্যাগ করতেন না। তাহলে উন্নত বিশ্বের দেশ গুলো সাধারণ কাজ করার মানুষ পেত না। তাদের অর্থনীতি ধসে পড়ত। তাই তৃতীয় বিশ্বের অশান্তির পিছনে তাদের ভূমিকা থাকা অসম্ভব কিছু নয়।