ফেসবুক আর মাদকে একই ঝুঁকি

Author Topic: ফেসবুক আর মাদকে একই ঝুঁকি  (Read 1932 times)

Offline mosfiqur.ns

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 297
  • Test
    • View Profile

https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1574612/%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%95-%E0%A6%86%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%95%E0%A6%87-%E0%A6%9D%E0%A7%81%E0%A6%81%E0%A6%95%E0%A6%BF
ফেসবুক আর মাদকে একই ঝুঁকি
• সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি মাদকাসক্তির মতোই বলছে গবেষণা
• এ ঝুঁকি কাটাতে পরিবারের সজাগ নজরদারি চাই
• মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ করেন

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীটি ইদানীং দুপুর পার করে ঘুম থেকে উঠছেন। কথাটা যাচাই করতে গত শনিবার বেলা একটায় এই প্রতিবেদক তাঁর মুঠোফোনে কল দেন। ফোন বন্ধ ছিল।

বেলা দুইটায়ও একই ঘটনা। পরে জানা যায়, সেদিন ছাত্রীটির ঘুম ভেঙেছিল বেলা তিনটার দিকে। কারণ, আগের রাতে তিনি ঘুমিয়েছিলেন ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে। অবশেষে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে তাঁর নাগাল পাওয়া যায়। তিনি বলেন, ঘুমাতে গেছেন সকাল সাড়ে ছয়টায়। ঘুম ভেঙেছে বেলা আড়াইটায়।

সারা রাত সামাজিক যোগাযোগ করে সারা দিন ঘুম—মেয়েটি এই রুটিনে চলছেন কয়েক মাস হলো। তাঁর এক বন্ধু প্রথম আলোকে বলেছেন, মেয়েটি নিয়মিত ক্লাসে আসছেন না। এমনকি পরীক্ষা বাদ পড়ছে। লেখাপড়ায় পিছিয়ে যাচ্ছেন। বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে পারছেন না। মেজাজ খিটখিটে। বন্ধুটি বলেন, ‘আমার সঙ্গেও খারাপ মেজাজ দেখায়।’

মোবাইল ফোনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বুঁদ হয়ে থাকা ছাত্রীটি এই প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি বিষয়টি নেশার মতো হয়ে গেছে। ছাড়তে পারছি না। আমি পিছিয়ে পড়ছি। আমার এখন পড়ার কথা ছিল চতুর্থ বর্ষে।’

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক জার্মানির একট বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ জন শিক্ষার্থীর ফেসবুক ব্যবহারের ওপর গবেষণা করেছেন। তাঁরা সবাই ফেসবুকে প্রচুর সময় কাটান। গবেষকদের সিদ্ধান্ত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অতিমাত্রায় বিচরণ মাদকাসক্তির মতোই খারাপ।

১০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত জার্নাল অব বিহেভিয়ারাল অ্যাডিকশন সাময়িকীতে গবেষণাটি নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন বেরিয়েছে। গবেষকেরা লিখেছেন, মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ করেন, ভুল বা বাজে সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা দেখেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্ত শিক্ষার্থীরাও ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত বেশি নেন।

ঢাকায় মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ মোহিত কামাল প্রথম আলোকে বলেন, এ দুটি আসক্তির মধ্যে অনেক সাদৃশ্য আছে। তিনি দীর্ঘদিন হলো মাদকাসক্তির চিকিৎসা করছেন। বেশ কিছুদিন হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্ত ছেলেমেয়েদের নিয়েও অভিভাবকেরা নিয়মিত তাঁর ব্যক্তিগত চেম্বারে আসছেন।

মোহিত কামাল বলেন, মাদকাসক্তির পেছনে তিনটি বিষয় কাজ করে—উৎসাহ, আকাঙ্ক্ষা ও চাহিদা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তির ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এমনই। এখন চিকিৎসাবিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তিকে মানসিক রোগ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মনোরোগ চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন ওয়ার্ল্ড সাইকিয়াট্রিস্ট অ্যাসোসিয়েশন যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তিকে রোগ হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য একটি খসড়া নীতিমালাও তৈরি করেছে।

গবেষণার তথ্য
গবেষকেরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ২৫০ কোটি মানুষ নিয়মিত ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম আর টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে। ইন্টারনেটের বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঢুকছে। ২০১৬ সালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছিল, একজন ব্যবহারকারী দৈনিক গড়ে ৫০ মিনিট সময় ফেসবুকে কাটায়।

এই গবেষকেরা যে শিক্ষার্থীদের বেছে নিয়েছিলেন, তাঁরা মানসিকভাবে ফেসবুকের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। এ নির্ভরশীলতা আসক্তির সমতুল্য। প্রাথমিকভাবে গবেষকেরা শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ফেসবুক ব্যবহার করতে না পারলে তাঁদের কেমন লাগে, তাঁরা কখনো এ অভ্যাস ছাড়তে চেয়েছেন কি না এবং তাঁদের কাজ বা পড়াশোনার ওপর অভ্যাসটি কী প্রভাব ফেলেছে।

গবেষণার শেষ পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য বিচারের জন্য আইওয়া গ্যামব্লিং টাস্ক নামে পরিচিত একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের প্রতিটি দানের হারজিত বিচার করে ভালো তাস বেছে নিতে হয়। মানুষের সিদ্ধান্ত গ্রহণপ্রক্রিয়া বোঝার জন্য এটি একটি স্বীকৃত পদ্ধতি।

গবেষকেরা দেখেছেন, ফেসবুকে সবচেয়ে আসক্ত শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে খারাপ তাস বেছে নিয়েছিলেন। ফেসবুকে তুলনামূলকভাবে কম যুক্ত শিক্ষার্থীরা অপেক্ষাকৃত ভালো তাস বাছেন। সাধারণভাবে এ পরীক্ষায় কোকেন, গাঁজা বা অন্য কোনো মাদকে আসক্ত ব্যক্তিকেও একই ধারার ক্ষতিকর বা ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়।

প্রতিকার কী
যুক্তরাষ্ট্রের এ গবেষকেরা বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের সুফল ব্যাপক। কিন্তু এর খারাপ দিকটি হচ্ছে, এতে আসক্তির ঝুঁকি।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে, বাংলাদেশে ৯ কোটির বেশি ইন্টারনেট সংযোগ আছে। আর সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের হিসাবে, দেশে ফেসবুক ব্যবহার করে প্রায় ৩ কোটি মানুষ। ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যবহার দ্রুত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আসক্তির আশঙ্কাও বাড়ছে।

মোহিত কামাল বলেন, অনেক কিশোর ও তরুণ সামাজিক যোগাযোগে ব্যতিব্যস্ত থেকে দিনের একটা বড় সময় নষ্ট করছে। অনেকেরই এটা বদ অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে। এতে পড়াশোনা আর রোজকার কাজের ক্ষতি হচ্ছে।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মেখলা সরকার বলেন, বাবা–মা বা অভিভাবককে ছেলেমেয়ের মুঠোফোন ও ল্যাপটপ ব্যবহারের ওপর নিবিড় নজর রাখতে হবে। কোথায় বসে কতক্ষণ সন্তান এগুলো ব্যবহার করবে, সেটাও ঠিক করে দেওয়া যেতে পারে।

এই মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘অল্প বয়সীরা যদি বাস্তবজীবনে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর বা খেলাধুলার নির্মল পরিবেশ পায়, তাহলে মুঠোফোন ও ল্যাপটপের আসক্তি তাদের হবে না। সেই পরিবেশ তাদের জন্য নিশ্চিত করতে হবে।’
Md. Mosfiqur Rahman
Sr.Lecturer in Mathematics
Dept. of GED

Offline tariq

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 81
    • View Profile
Re: ফেসবুক আর মাদকে একই ঝুঁকি
« Reply #1 on: January 16, 2019, 04:49:43 PM »
Social media is really becoming a scary problem day by day. Not only addiction, but also fake news, lack of empathy, liquefying the strength of relationship and many more types of problem are becoming visible. But unfortunately no remedy is available currently. Though the author said a good environment, sports opportunity can be a solution, but all of these are very available in advanced countries. And they are also suffering form the problem.   
Tariq Mahbub
Senior Lecturer
Dept. of Textile Engineering
Daffodil International University

Offline masudur

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 164
  • I love teaching.
    • View Profile
    • Visit my website
Re: ফেসবুক আর মাদকে একই ঝুঁকি
« Reply #2 on: January 17, 2019, 06:42:22 PM »
Good Post. Need concern.
Mohammad Masudur Rahman,
Lecturer,
Department of Computer Science and Engineering,
Faculty of Science and Information Technology,
Daffodil International University,
Daffodil Tower,
4/2, Sobhanbag, Mirpur Road,
Dhanmondi, Dhaka-1207.

Offline Abdus Sattar

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 483
  • Only the brave teach.
    • View Profile
    • https://sites.google.com/diu.edu.bd/abdussattar/
Re: ফেসবুক আর মাদকে একই ঝুঁকি
« Reply #3 on: January 22, 2019, 07:07:07 PM »
Excellent thoughts.
Abdus Sattar
Assistant Professor
Department of CSE
Daffodil International University(DIU)
Mobile: 01818392800
Email: abdus.cse@diu.edu.bd
Personal Site: https://sites.google.com/diu.edu.bd/abdussattar/
Google Scholar: https://scholar.google.com/citations?user=DL9nSW4AAAAJ&hl=en

Offline nusratjahan

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 148
  • Nusrat Jahan(NJ)
    • View Profile
Re: ফেসবুক আর মাদকে একই ঝুঁকি
« Reply #4 on: February 11, 2019, 02:34:24 PM »
informative sharing
Nusrat Jahan
Senior Lecturer
Dept. of CSE
Daffodil International University

Offline Sharmin Jahan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 266
    • View Profile
Re: ফেসবুক আর মাদকে একই ঝুঁকি
« Reply #5 on: March 27, 2019, 01:39:32 PM »
Good post.

Offline shan_chydiu

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 276
  • Test
    • View Profile
Re: ফেসবুক আর মাদকে একই ঝুঁকি
« Reply #6 on: March 27, 2019, 01:40:38 PM »
Thanks for sharing.
Shanjida Chowdhury

Offline rayhanul.bba

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 219
  • Test
    • View Profile
Re: ফেসবুক আর মাদকে একই ঝুঁকি
« Reply #7 on: March 28, 2019, 01:14:48 AM »
We should increase awareness. Thanks for sharing.
Md. Rayhanul Islam
Senior Lecturer
Department of Real Estate
Facuty of Business & Entrepreneurship
Daffodil International University