বাবা, আজ তোমাকে অনেক বেশি মনে পরতেছে। তোমাকে নিয়ে, স্মৃতিচারণ করার মত বেশি স্মৃতি আমার ঝুলিতে নেই। তবে তোমার মুখভর্তি সাদা দারি যুক্ত হাসিমাখা মুখ খানি অনেক মনে আছে। মনে আছে, সেইদিনের রাগ, যেদিন আমি যেতে চাইনি জামালপুর। কত পরিমান রাগ থাকতে পারে তা স্বচক্ষে না দেখেলে কেউই বুজতে পারবে না। আমি সেদিন দেখেছিলাম তোমার চোখে আমার জন্য উদ্ধিগ্নতা, যেদিন আমি পানিতে পরে গিয়ে হাবু-ডুবু খাচ্ছিলাম আর সেদিনই আমি পেয়েছিলাম তোমার আসল ভালবাসা। সত্যি বলতে কি, সেই ভালবাসাটা আমি খুবই উপভোগ করেছিলাম।
পৃথিবীর বাস্তবতা বুঝতে পারার আগেই তুমি আমায় রেখে কোন অদুরে চলে গেলে? অনেক কষ্ট পেয়েছিলাম কিন্তু কি হারিয়েছে ওই মুহুর্তে বুঝতে পারিনি। আজ ঠিক তা হাড়ে হাড়ে বুজতেছি।
জানো বাবা!! মাঝে মাঝে খুবই কষ্ট হয় যখন দেখি সাথের কোন বন্ধুর বাবা তার ছেলেকে নাম ধরে ডাক দিয়ে কথা বলে। ওই কষ্টটা কোন সময় যে আমার চোখটাকে ভারি করে দেয় তা বুঝতেই পারি নাহ।
তোমার চলে যাওয়ার ঠিক ৩ দিন পর, ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০০৬, বাড়ির কেউ একজন বলাবলি করছিল যে ছেলেটা এতিম হয়ে গেল। কথাটা আমার কোনভাবেই ভাল লাগেনি কিন্ত আজ ঠিকই মনে হচ্ছে, আমি এতিম! আমি এতিম!! আমি এতিম!!! তুমি নেই, তাই আমি অনেক কিছু ছুয়েও ছুতে পারিনি। আমি গ্যারান্টি দিয়া বলতে পারি, তুমি থাকলে আমি সব কিছুই ছুতে পারতাম। প্রত্যেকটা কাজে আমি তোমার অভাব পাই। যেই অভাব কোন ভাবেই পুরন করার নয়।
মজার আরেকটি কথা কি জান!!! তোমার সবগুলি গুনাবলি আমার মধ্যে আছে (সবাই বলে) যেমনঃ রাগ করলে চুপ করে থাকা, মুখ গম্ভির করে রাখা, কথা কম বলা, লজ্জায় মানুষকে কিছু বলতে না পারা, কষ্ট নিজের মধ্যে লুকিয়ে রাখা আরও হয়তো অজানা অনেক কিছু।
বাবা, ওপার থেকে তুমি আমায় সাহস দিও, যা বেচে থাকলে দিতে। তোমায় অনেক অনেক মনে পরে😥😥😥। ভাল থেকো বাবা আর আমায় সব সময় দূর থেকে সাহস দিও।।।
তোমারই একমাত্র বাবাহারা ছেলে!!!