আল্লাহর জন্য ভালোবাসা

Author Topic: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা  (Read 33252 times)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #30 on: April 02, 2016, 03:13:43 PM »
 নামাজের ১১ টি উপকারিতা

১/ নামাজে যখন সিজদা করা হয় তখন আমাদের মস্তিস্কে রক্ত দ্রুত প্রবাহিত হয়। ফলে আমাদের স্মৃতি শক্তি অনেকবৃদ্ধি পায়।

২/ নামাজের যখন আমরা দাড়াই তখন আমাদের চোখ জায় নামাজের সামনের ঠিক একটি কেন্দ্রে স্থির অবস্থানে থাকে ফলে মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।

৩/ নামাজের মাধ্যমের আমাদের শরীরের একটি ব্যায়াম সাধিত হয়। এটি এমন একটি ব্যায়াম যা ছোট বড় সবাই করতে পারে।

৪/ নামাজের মাধ্যমে আমাদের মনের অসাধারন পরিবর্তন আসে। ৫ নামাজ সকল মানুষের দেহের কাঠামো বজায় রাখে।
ফলে শারীরিক বিকলঙ্গতা লোপ পায়।

৬/ নামাজ মানুষের ত্বক পরিষ্কার রাখে যেমন ওজুর সময় আমাদের দেহের মূল্যবান অংশগুলো পরিষ্কার করা হয় এর ফলে বিভিন্ন প্রকার জীবানু হতে আমরা সুরক্ষিত থাকি।

৭/ নামাজে ওজুর সময় মুখমন্ডল ৩বার ধৌত করার ফল আমাদের মুখের ত্বক উজ্জল হয় এবং মুখের দাগ কম দেখা যায়।

৮/ ওজুর সময় মুখমন্ডল যেভাবে পরিস্কার করা হয় তাতে আমাদের মুখে একপ্রকার মেসেস তৈরি হয় ফলে আমাদের মুখের
রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং বলিরেখা কমে যায়।

৯/ কিশোর বয়সে নামাজ আদায় করলে মন পবিত্র থাকে এর ফলে নানা প্রকার অসামাজিক কাজ সে বিরত থাকে।

১০/ নামাজ আদায় করলে মানুষের জীবনি শক্তি বৃদ্ধি পায়।

১১/ কেবল মাত্র নামাজের মাধ্যমেই চোখের নিয়ম মত যত নেওয়া হয় ফলে অধিকাংশ নামাজ আদায় কারী মানুষের দৃষ্টি শক্তি বজায় থাকে।

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #31 on: April 13, 2016, 04:18:08 PM »
ইসলাম নারীদের কেমন চোখে দেখে ?
১)একটা নারীর যখন জন্ম হয়, ইসলাম বলে:
"যার ঘরে প্রথমে কন্যা সন্তান হয় সেইঘর বরকতময়"।
২)নারী যখন যুবতী হয়, ইসলাম ঘোষনা দেয় যে "তার মেয়েকে সঠিকভাবে লালন পালন করে ভালপাত্র দেখে বিয়ে দেয় তার জন্য
জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।"
৩) নারী যখন বিবাহিত, ইসলাম বলে "সেই পুরুষই সর্বোত্তম যে তার স্ত্রীর কাছে উত্তম"।
৪) নারী যখন সংসারী, ইসলাম বলে "স্ত্রীর দিকে দয়ার দৃষ্টিতে তাকানো সওয়াবের কাজ। এমনকি স্ত্রীকে আদর করে মূখে এক লোকমা
খাবার তুলে দেয়াও"।
৫) নারী যখন গর্ভবতী, ইসলাম বলে
"গর্ভাবস্থায় যে নারী মারা যায় সে
শহীদের মর্যাদাপায়"।
৬) নারী যখন মা, ইসলাম বলে "মায়ের পদ তলে সন্তানের বেহেশত"।
তবুও নারীকে ইসলাম সন্মান দেয় না যারা বলেন, তারা কি টিক বলেন?

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #32 on: April 16, 2016, 09:08:44 AM »
هجر الأقارب وتقطيع الأرحام
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং নিকট আত্মীয়দের পরিত্যাগ করা।
আল্লাহ বলেন-
فَهَلْ عَسَيْتُمْ إِنْ تَوَلَّيْتُمْ أَنْ تُفْسِدُوا فِي الْأَرْضِ وَتُقَطِّعُوا أَرْحَامَكُمْ
(محمد: ২২-২৩)
‘‘ক্ষমতা লাভের পর স্মভবত: তোমরা পৃথিবীতে ফাসাদ করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। এদের প্রতিই আল্লাহ অভিস্মপাত করেন, অতঃপর তাদেরকে বধির ও দৃষ্টিহীন করেন।’’ (মুহাম্মদ:২২-২৩)
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন-
لايدخل الجنة قاطع رحم. . (رواه المسلم:৪৬৩৩)
‘‘আত্মীয়তার ছিন্নকারী বেহেশতে প্রবেশ করবে না।’’ ( মুসলিম:৪৬৩৩)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #33 on: April 16, 2016, 09:16:09 AM »
হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী, আর আল্লাহকে ভয় কর, যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচনা করে থাক এবং আত্মীয়- জ্ঞাতীদের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন কর। নিশ্চই আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন।’’ (নিসা:১)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #34 on: April 26, 2016, 10:04:21 AM »
১:- মন ভাল রাখে নামাজ।
২:- টেনশন দুর করে নামাজ।
৩:- মন পবিত্র করে নামাজ।
৪:- মনোসত্ববোধ শেখায় নামাজ। ৫:- ভাতৃত্ববোধ দৃঢ় করে নামাজ। ৬:- কল্যান বয়ে আনে নামাজ।
৭:- প্রশান্তি বয়ে আনে নামাজ। ৮:- সময়ের সদ্ব ব্যবহার শেখায় নামাজ। ৯:- আনুগত্য শেখায় নামাজ। ১০:- আল্লাহর প্রতি বান্দাকে অগ্রসর করে নামাজ।
১১:- খারাপ কাজ থেকে
দূরে রাখে নামাজ।
১২:- সবচেয়ে ভাল বন্ধু নামাজ। .
এর পরেও কি আমরা সজ্ঞানে অবহেলায় নামায ছেড়ে দিব...!!

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #35 on: April 28, 2016, 12:07:49 PM »
আল্লাহ্ সুবহানাহু তাআলা গোটা বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা ও রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে প্রেরণ করেন। আল-কোরআনের ২১নং সূরা আম্বিয়ার ১০৭ আয়াতে মহান আল্লাহ্ ঘোষণা করেনঃ “আমি আপনাকে প্রেরণ করেছি সমগ্র বিশ্ববাসীর জন্য রহমত (আশীর্বাদ) স্বরূপ।”

তিনি আরো বলেছেন-“(হে নবী) আমি আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্য (জান্নাতের) সুসংবাদদাতা ও (জাহান্নামের) সতর্ককারীরূপে পাঠিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না।” (সূরা সাবা, আয়াত-২৮)

রাসূল (সাঃ) তাঁর কথা, কাজ ও অনুমোদনের মাধ্যমে অর্থাৎ হাদিসের মাধ্যমে আমাদের ইসলাম পালন করার যেসব নিয়ম-কানুন, বিধি-বিধান, আচার-আচরণ ও রীতি পদ্ধতি জানিয়ে ও শিখিয়ে দিয়ে গেছেন তার নাম হলো ‘সুন্নাতে রসূল’ বা ‘রাসূলের সুন্নাহ্।’

মহান আল্লাহ্ নির্দেশ দিয়েছেন- “রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তোমরা তা গ্রহণ কর আর যা থেকে তোমাদেরকে বারণ করেন, তা থেকে তোমরা বিরত থাক।” (সূরা হাশর : ৭)

বিদায় হজ্বের ঐতিহাসিক ভাষণে মহানবী (সাঃ) বলে গেছেন- “আমি তোমাদের মধ্যে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি। যতদিন তোমরা তা শক্তভাবে ধারণ করবে, ততদিন তোমরা কিছুতেই পথভ্রষ্ট বা বিভ্রান্ত হবে না; সে দুটি জিনিস হলো “আল্লাহ্র কিতাব” ও তাঁর “রাসূলের সুন্নাহ্।”

“আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসি” একথা শুধু মুখে দাবি করলেই চলবেনা, কর্মের মাধ্যমে তার প্রমাণ দিতে হবে। তবেই মহান আল্লাহ্র দীদার লাভ করার আশা করা যেতে পারে। মহান আল্লাহ্ স্পষ্টভাবে বলেছেন-
‘(হে মুহাম্মদ) আপনি বলে দিন যদি তোমরা আল্লাহর ভালবাসা পেতে চাও তবে আমাকে অনুসরণ কর। আল্লাহ্ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ্ সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর আল্লাহ মহাক্ষমাশীল ও পরম করুণাময়।” (সূরা আলে ইমরান-৩১)

অসীম দয়াময়, প্রেমময় প্রভু আল্লাহ্ তাআলা আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন, ইহকাল ও পরকালে মহা-সাফল্য অর্জন করার তৌফিক দান করুন। আমীন।

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #36 on: May 19, 2016, 06:09:32 PM »
হযরত বুরায়দা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, "বিচারক তিন শ্রেণীর, তার মধ্যে দু'শ্রেণীর বিচারক জাহান্নামী এবং এক শ্রেণীর বিচারক
হবে জান্নাতী।
১.প্রথম প্রকার বিচারক তাঁরা, যারা সত্যকে জানে এবং সত্যের সাথেই বিচার
ফায়সালা করে, তাঁরা জান্নাতী।
২.দ্বিতীয় প্রকার সেসব বিচারক, যারা সত্যকে জানে কিন্তু তদানুযায়ী বিচার-ফায়সালা করে না বরং জুলুম করে, তারা জাহান্নামী।
৩.তৃতীয় প্রকার বিচারক তারা, যারা সত্যকে জানেও না এবং সে অজ্ঞতা নিয়েই
মানুষের বিচার-ফায়সালা করে, তারা জাহান্নামী।"

(সুনানে আবু দাউদ; বুলুগুল মারাম, হাদীস নং-১৪০১)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #37 on: May 19, 2016, 06:11:42 PM »
পবিত্র আল- কুরআনে মহান আল্লাহর ঘোষণা-

مِنْ أَجْلِ ذَٰلِكَ كَتَبْنَا عَلَىٰ بَنِي إِسْرَائِيلَ أَنَّهُ مَن قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ أَوْ فَسَادٍ فِي الْأَرْضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِيعًا وَمَنْ أَحْيَاهَا فَكَأَنَّمَا أَحْيَا النَّاسَ جَمِيعًا ۚ وَلَقَدْ جَاءَتْهُمْ رُسُلُنَا بِالْبَيِّنَاتِ ثُمَّ إِنَّ كَثِيرًا مِّنْهُم بَعْدَ ذَٰلِكَ فِي الْأَرْضِ لَمُسْرِفُونَ﴾
এ কারণেই বনী ইসরাঈলের জন্য আমি এ ফরমান লিখে দিয়েছিলাম, নরহত্যা অথবা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করা ছাড়া অন্য কোন কারণে যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করলো সে যেন দুনিয়ার সমস্ত মানুষকে হত্যা করলো৷ আর যে ব্যক্তি কারো জীবন রক্ষা করলো সে যেন দুনিয়ার সমস্ত মানুষের জীবন রক্ষা করলো। কিন্তু তাদের অবস্থা হচ্ছে এই যে, রসূলগণ একের পর এক সুস্পষ্ট হেদায়াত নিয়ে তাদের কাছে এলো, তারপরও তাদের বিপুল সংখ্যক লোক পৃথিবীতে সীমালংঘনকারীই থেকে গেলো৷

(সূরা মায়েদাঃ ৩২)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #38 on: May 30, 2016, 08:32:32 PM »
কে কে প্রবেশ করতে চান "রাইয়ান" দিয়ে ??
.
.
রোযা জান্নাত লাভের পথঃ
.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,

«إِنَّ فِى الْجَنَّةِ بَابًا يُقَالُ لَهُ الرَّيَّانُ يَدْخُلُ مِنْهُ الصَّائِمُونَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لاَ يَدْخُلُ مَعَهُمْ أَحَدٌ غَيْرُهُمْ يُقَالُ أَيْنَ الصَّائِمُونَ فَيَدْخُلُونَ مِنْهُ فَإِذَا دَخَلَ آخِرُهُمْ أُغْلِقَ فَلَمْ يَدْخُلْ مِنْهُ أَحَدٌ»

‘‘জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে যাকে বলা হয় ‘রাইয়ান’ - কিয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে রোযাদারগণ প্রবেশ করবে। অন্য কেউ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না..... রোযাদারগণ প্রবেশ করলে এ দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে আর কেউ সেখান দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।’’

-সহীহ বুখারী, হাদীস নং ১৭৯৭ ও সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৬৬

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #39 on: June 08, 2016, 09:23:08 AM »
হযরত মুসলিম তামিমি (রা) বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বলেছেন- ''যখন তুমি মাগরিবের নামায শেষ কর তখন কারো সাথে কথা বলার আগেই এই দু'আ সাত বার পাঠ করো- ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﺟِﺮْﻧِﻲ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ
''আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান নার''
অর্থ :হে আল্লাহ্! তুমি আমাকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করো।

যদি তুমি তা পড়, আর ঐ রাতেই তোমার মৃত্যু হয়ে যায়, তবে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে "মুক্তি" লেখে দেওয়া হবে। ফজরের নামাজের পরও যদি অনুরূপ (কারো সাথে কথা বলার আগেই) এই দু'আ পড়, আর ঐ দিনই তোমার মৃত্যু হয়ে যায়, তবে তোমার জন্য জাহান্নাম থেকে 'মুক্তি' লেখে দেওয়া হয়।

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #40 on: June 12, 2016, 09:14:44 AM »
নামাযে সূরা ফাতিহা পড়ার সময় আল্লাহ তায়ালার জবাবঃ

হযরত আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেলনঃ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : ”আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি নামাযকে আমার ও আমার বান্দাহর মধ্যে দুভাগে ভাগ করেছি। আর আমার বান্দাহ আমার নিকট যা চায় তাই পাবে।

বান্দাহ যখন বলে, ‘‘আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন।”
অর্থ :যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
তখন আল্লাহ বলেন, “আমার বান্দাহ আমার প্রশংসা করল।”

যখন বান্দাহ বলে “আর রাহমানির রাহীম”।
অর্থ :যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
তখন আল্লাহ বলেন “আমার বান্দাহ আমার গুণ গাইল”।

যখন বান্দাহ বলে “মালিকি ইয়াওমিদ্দীন ”
অর্থ :যিনি বিচার দিনের মালিক।
তখন আল্লাহ বলেন “আমার বান্দাহ আমার গৌরব বর্ণনা করল”

যখন বান্দাহ বলে, “ইয়্যাকা না বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাঈন
অর্থ :আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি। তখন আল্লাহ বলেন “এ বিষয়টা আমার ও আমার বান্দাহর মাঝেই রইল। আর আমার বান্দাহর জন্য তাই যা সে চাইল (অর্থাৎ আমার ও আমার বান্দাহর মধ্যে এ চুক্তি হলো যে সে আমার কাছে চাইবে, আর আমি তাকে দেব)।

যখন বান্দাহ বলে “ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম সিরাতাল্লাযীনা আন আমতা আলাইহিম, গাইরিল মাগদূবি আলাইহিম ওয়ালাদ দোয়াললীন”
অর্থ: আমাদেরকে সরল পথ দেখাও, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।" তখন আল্লাহ বলেনঃ “এটা আমার বান্দাহর জন্যই রইল আর আমার বান্দাহর জন্য তা ই যা সে চাইল।”

সুবহানাল্লাহ।

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #41 on: June 15, 2016, 03:39:29 PM »
কখন কি বলবেন ?

১. ভালো কোন কিছু খাওয়া বা পান করার সময়, কোন কিছু লেখা বা পড়ার সময়, কোন কাজ শুরু করার সময় 'বিসমিল্লাহ' বলে শুরু করে । -(বুখারীঃ ৫৩৭৬)

২. ভালো কিছু খাওয়া বা পান করা শেষে, কোন শোভ সংবাদ শোনা হলে, কেউ কেমন আছো জিজ্ঞেস করলে- তার জবাবে 'আলহামদুলিল্লাহ' বলা । -(ইবনে মাজাহঃ ৩৮০৫)

৩. কারো হাঁচি আসলে ''আলহামদু লিল্লাহী 'আলা কুল্লী হা-ল'' বলা । -(আত তিরমিযীঃ ২৭৪১)

৪. কোন হাঁচি দাতা 'আলহামদুলিল্লাহ' বলতে শুনলে- 'ইয়ারহামুকাল্লাহ' বলা । -(বুখারীঃ ৬২২৪)

৫. আল্লাহ তা'আলার শ্রেষ্ঠত্ব, মহত্ব বা বড়ত্বের কোন কৃতিত্ব দেখলে কিংবা শুনলে 'আল্লাহু আকবর' বলা । স্বাভাবিকের মধ্যে কোন ব্যতিক্রম দেখলে কিংবা আশ্চর্য ধরণের কোন কথা শুনলে 'সুবহানাল্লাহ' বলা । -(বুখারীঃ ৬২১৮)

৬. ভালো যে কোন কিছু বেশি বা ব্যতিক্রম দেখলে 'মা-শা আল্লাহ' বলা । -(মুসলিমঃ ৩৫০৮)

৭. ভবিষ্যতে কোন কিছু করবে বললে 'ইন শা আল্লাহ' বলা । -(আল কাহাফঃ ২৩-২৪)

৮. কোন বাজে কথা শুনলে কিংবা আল্লাহর আজাব ও গজবের কথা শুনলে বা মনে পড়লে "না'উজু বিল্লাহ" বলা । -(বুখারীঃ ৬৩৬২)

৯. কোন বিপদের কথা শুনলে কিংবা কোন খারাপ বা অশুভ সংবাদ শুনলে, কোন কিছু হারিয়ে গেলে, কোন কিছু চুরি হয়ে গেলে, কোন কষ্ট পেলে 'ইন্না লিল্লাহ' বলা । --(মুসলিমঃ ২১২৬)

১০. কথা প্রসঙ্গে কোন গুনাহর কথা বলে ফেললে, 'আস্তাগফিরুল্লাহ' বলা । -(সূরা মুহাম্মদঃ ১৯)

১১. উপরে উঠার সময় 'আল্লাহু আকবার' বলা এবং নিচে নামার সময় 'সুবহানাল্লাহ' বলা । -(বুখারীঃ ২৯৯৩)

১২. নিশ্চিতভাবে না জেনে কোন বিষয়ে কিছু বললে, কথা শেষে 'ওয়াল্লাহু আলুম' বলা । -(বুখারীঃ ৫৫৭০)

১৩. কেউ কিছু দিলে কিংবা কারো মাধ্যমে কোন কাজ হলে তার বদলে 'জাযাকাল্লাহু খাইরান' বলা । -(বুখারীঃ ৩৩৬)

Offline tnasrin

  • Jr. Member
  • **
  • Posts: 72
  • Test
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #42 on: June 19, 2016, 11:06:49 AM »
‘উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকেবর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি নাবী সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এস বলল , এই হতভাগা
স্ত্রী সহবাস করেছে রমজানে। তিনি বললেনঃ তুমি কিএকটি গোলাম আজাদ করতে পারবে? লোকটি বলল, না।তিনি বললেনঃ তুমি কি ক্রমাগত দু’মাস সিয়াম পালন
করতে পারবে? লোকটি বলল , না। তিনি বললেন :তুমি কিষাটজন মিসকীন খাওয়াতে পারবে? সে বলল, না।এমতাবস্থায় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
এর নিকট এক ‘আরাক অর্থাৎ এক ঝুড়ি খেজুর এল। নাবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : এগুলোতোমার তরফ থেকে লোকদেরকে আহার করাও। লোকটি
বলল , ! আমার চাইতেও বেশী অবাবগ্রস্থ কে? অথচমদিনার উভয় লাবার অর্থাৎ হররার মধ্যবর্তী স্থলে আমারপরিবারের চাইতে অধিক অভাবগ্রস্থ কেউ নেই। নাবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃতাহলেতোমার পরিবারকেই খাওয়াও।    সহীহ বুখারী (ইফাঃ) অদ্যায় ২৩/ হাদিস নম্বর ১৮১৩,

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #43 on: June 21, 2016, 09:53:36 AM »
কাউকে কষ্ট দিলে তার কাছ থেকেই ক্ষমা চেয়ে নিতে হবেঃ
======================================
একবার রাসুলূল্লাহ (সাঃ) তাঁর পাশে উপবিষ্ট সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) কে বললেন- তোমরা কি জানো, প্রকৃত পক্ষে আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে গরীব কে ?
_______________
সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) বললেন-আমাদের মধ্যে তো গরীব তাদেরকে বলা হয়,যাদের কাছে ধন-সম্পদ,টাকা-পয়সা না থাকে। তখন রাসুলূল্লাহ (সাঃ)বললেন-"প্রকৃত পক্ষে আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে গরীব সে,যে কিয়ামতের দিন নামায, রোযা, যাকাত, সবকিছু নিয়ে উঠবে,কিন্তু
_______________
তার এ কর্ম গুলো থাকবে যে,সে দুনিয়াতে কারো সাথে মন্দ আচরন করেছে,কারো নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে,কারো সম্পদ আত্মসাৎ করেছে,কাউকে আঘাত করেছে,কাউকে খুন করেছে ইত্যাদি,
_______________
তাই এর বিনিময়ে কিয়ামতের দিন তার কিছু নেকী একে দিবে,কিছু নেকী ওকে দিবে। এভাবে দিতে দিতে বান্দার হক আদায়ের পূর্বে যদি তার নেকী শেষ হয়ে যায়,তাহলে এই হকদারদের গুনাহ তার উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।এরপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।"(মুসলিম শরীফ)
_______________
আল্লাহ আরো বলেন-
• যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে। (সূরা আহযাব: 58)
_______________
অর্থাৎ কোন মানুষকে যেকোন ভাবে কষ্ট দিলে তা আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। ক্ষমা কেবল সেই ব্যক্তিই করতে পারবেন।
_______________
এখন এই বান্দার হক নষ্ট করলে তা হতে ক্ষমা চাওয়ার উপায়?
যার হক নষ্ট করেছি তার কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে।
_______________
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাই এর উপর যুলুম করেছে সে যেন তার কাছ থেকে ক্ষমা নিয়ে নেয়, তার ভাই এর পক্ষে তার নিকট হতে পূণ্য কেটে নেওয়ার আগেই।
_______________
কারণ সেখানে কোনো দীনার বা দিরহাম পাওয়া যাবে না। তার কাছে যদি পূণ্য না থাকে তবে তার (মযলুম) ভাই এর গুনাহ এনে তার উপর চাপিয়ে নেয়া হবে। [বোখারী ৬৫৩৪

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #44 on: July 13, 2016, 04:42:08 PM »
 ★ তিনি নবী-রাসূলদের মধ্যে সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “কিয়ামতের দিন আমিই হব নবীগণের ইমাম (নেতা), তাঁদের মুখপত্র এবং তাঁদের সুপারিশ কারী, এতে কোন অহংকার নেই। (বুখারী ও মুসলিম)

★ তিনি সর্বপ্রথম পুনরুত্থিত হবেন। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “সকলের আগে আমিই কবর থেকে উত্থিত হব। অতঃপর আমাকে জান্নাতের একজোড়া পোশাক পরানো হবে। যখন সকল মানুষ আল্লাহর দরবারে একত্রিত হবে, তখন আমি তাদের ব্যাপারে বক্তব্য পেশ করব। তারা যখন নিরাশ ও হতাশা গ্রস্থ হবে তখন আমিই তাদেরকে সুসংবাদ প্রদানকারী হব। সেদিন প্রশংসার পতাকা আমার হাতেই থাকবে। (তিরমিযী)