আল্লাহর জন্য ভালোবাসা

Author Topic: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা  (Read 33317 times)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #75 on: August 08, 2018, 07:44:23 PM »
এই উম্মাহর শ্রেষ্ঠ প্রজন্ম আল্লাহর রাসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাম্মের সঙ্গী সাথী তথা সাহাবায় কিরাম রাদিয়াল্লাহুম আজমাঈন। যাঁদের মধ্যে অনেকে দুনিয়াতেই জান্নাতের সুসংবাদ পেয়েছেন। কিন্তু তাই বলে তাঁরা আরামে দিনাতিপাত করেন নাই। নিশ্চিত হয়ে আত্মতৃপ্তিতে ভুগেন নাই, জান্নাত তো আমারই, এত আমলের কী দরকার! এই উম্মাহর শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি-আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু সালাতে দাঁড়িয়ে এত পরিমান কাঁদতেন যে পেছন থেকে শোনা কষ্টকর হত উনি কি পড়ছেন। উনি প্রায় আফসোস করে বলতেনঃ হায়! আমি যদি গাছ পালা, তৃণলতা হতাম, আমি যদি ঘাস হতাম! হায় আমার যদি জন্মই না হতো! অথচ এই উম্মাহর মধ্যে আবু বকরই সর্বপ্রথম জান্নাতে প্রবেশ করবেন, রাদিয়াল্লাহু আনহু।
উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর মত সাহাবী কবরের কাছে গিয়ে এত পরিমান কাঁদতেন উনার দাড়ি ভিজে যেত চোখের পানিতে।
.
দুনিয়ার সামান্য কোন নিয়ামত পেলে সাহাবীরা ভয়ে শংকিত হতেন। তাঁরা মনে করতেন, দুনিয়াতে যে টুকু ভালো কাজ করেছি দুনিয়াতে তার প্রতিদান দিয়ে দেওয়া হচ্ছে না তো? সাহাবীদের কেউ কেউ প্রশংসা শুনলে কেঁদে ফেলতেন। আল্লাহর কাছে দু'আ করতেন, ইয়া আল্লাহ! আমাকে এরা যা ভাবে তার জন্য তুমি পাকড়াও করোনা'।

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #76 on: August 27, 2018, 06:04:50 PM »
#ফজরের_নামাজ_পড়ার_১০টি_ফজিলত....

হাদিসের আলোকে আমরা ফজরের নামাজের কয়েকটি ফজিলত লক্ষ করা যায়। চলুন জেনে নেই,

১, ফজরের নামাজ মুনাফিকদের জন্য কঠিন হয় ও ঈমানদারদের জন্য সহজ হয়। তাই ফজরের নামাজে উপস্থিত হওয়াটা ঈমানদারের লক্ষণ।

২, ফজরের নামাজ পড়লে সেই ব্যক্তি সারাটাদিন আল্লাহের হেফাজতে কাটায়, তার সারাদিনের দায়িত্ব আল্লাহ সুবানাওতালা নিজে নেন।

৩, ফজরের নামাজ পড়লে ফেরেশতাগণ আল্লাহের কাছে গিয়ে ওই ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করে, বলে যে অমুক ব্যাক্তি ভালো কাজ করছে, নামাজ আদায় করছে।

৪, ফজরের নামাজ জামায়াতের সাথে পড়লে আল্লাহ তায়ালা তাকে সারারাত নফল নামাজ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার সওয়াব দান করেন।

৫, ফজরের নামাজ যে নিয়মিত পরে, আল্লাহ তায়ালা তাকে কিয়ামতের দিন আলোর ব্যাবস্থা করে দিবেন।

৬, নিয়মিত ফজরের নামাজ জামায়াতের সাথে পড়া ব্যাক্তি কিয়ামতের দিন আল্লাহ সুবানাওতালা কে পূর্ণিমার চাঁদের মতো স্পষ্ট দেখতে পাবে, কোনো অসুবিধা হবেনা।

৭, যে ব্যাক্তি ফজরের নামাজ জামায়াতের সাথে আদায় করবে সে জাহান্নাম থেকে মুক্তির ঘোষণা পেয়ে যাবে।
এক হাদিসে এসেছে রাসূলুল্লাহ(স:) বলেছেন, তোমরা ফজর ও আসরের নামাজ জামায়াতের সাথে পড়ার চেষ্টা করো, কারণ তা হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তির পথ।

৮, এই ফজরের টাইমে রাসূলুল্লাহ(স:) বরকতের দোয়া করেছেন। তাই কেউ যদি এই ফজরের টাইমে উঠে নামাজ পড়ে, তাহলে বরকতের রাস্তা বের হয়ে যায়।

৯, ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ দুনিয়া ও দুনিয়ার মাঝে যা কিছু আছে তার থেকে উত্তম।

১০, ফজরের নামাজ পড়লে মন ভালো থাকে, মন ফ্রেস হয়ে যায়, মনে উত্তেজনা থাকে। তাই ফজরের নামাজ মন ভালো রাখার এক উত্তম উপায়।

👆👆👆ওপরিক্ত ফজিলত গুলি ছাড়াও একটা extra ফজিলত হলো, আপনারা দেখবেন যারা ফজরের নামাজ পড়ে তারা শরীর স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে খুব ভালো। তাদের কোনো অসুখ বিশুক কম হয়।।।
আল্লাহ আমাদের ফজরের নামাজের গুরুত্ব বুঝে তা নিয়মিত পালন করার তৌফিক দান করেন। আমিন।।

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #77 on: September 03, 2018, 02:17:27 PM »
রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন:

‘‘আমি কি তোমাদেরকে এমন কাজ বলে দেব না, যার দ্বারা আল্লাহ তা‘আলা পাপসমূহকে নিশ্চিহ্ন করে দেন এবং মর্যাদা বর্ধন করেন?’’ সাহাবীগণ বললেন, ‘অবশ্যই বলুন, হে আল্লাহর রাসূল!’ তিনি বললেন, ‘‘কষ্টের সময় পূর্ণরূপে ওযূ করা, মসজিদের দিকে বেশী বেশী পদক্ষেপ করা (অর্থাৎ দূর থেকে আসা) এবং এক নামাযের পর দ্বিতীয় নামাযের অপেক্ষা করা। সুতরাং এই হল (নেকী ও সওয়াবে) সীমান্ত পাহারা দেওয়ার মত।’’

(রিয়াযুস সলিহীন, হাদিস নং ১৩৩)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #78 on: September 12, 2018, 08:05:08 PM »
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা তোমাদের দেহ এবং তোমাদের আকৃতি দেখেন না, বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমল দেখেন।

[সহীহ মুসলিমঃ৬৭০৭]

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #79 on: September 27, 2018, 05:17:15 PM »
রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন........

‘বাবা-মার অবাধ্য, সদকাহ করে কৃপা প্রকাশকারী, মদ্যপায়ী এবং তকদীরকে অবিশ্বাসকারী জান্নাতে প্রবেশ লাভ করবে না।’

(মুসনাদ আহমাদ -৬/৪৪১, আল মাজমা‘উয যাওয়ায়িদ-৭/২০২, সুনান ইবনু মাজাহ-২/১১২০/৩৩৭৬)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #80 on: October 21, 2018, 10:55:40 AM »
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

💥আযান শেষ হলে মহানবী (সাঃ) এর উপর দরুদ পাঠ করে নিম্নের দুআ পড়লে কিয়ামতে তাঁর সুপারিশ নসীব হবে;

اَللّهُمَّ رَبَّ هذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ، وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ، آتِ مُحَمَّداً الْوَسِيْلَةَ وَالْفَضِيْلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَاماً مَّحْمُوْداً الَّذِيْ وَعَدْتَّهُ।

💥 “আল্লাহুম্মা রাব্বাহা-যিহিদ দা’ওয়াতিত তা-ম্মাতি অসসালা-তিল ক্বা-ইমাহ্‌, আ-তি মুহাম্মাদানিল অসীলাতা অলফাযীলাহ্‌, অবআসহু মাক্বা-মাম মাহ্‌মূদানিল্লাযী অআত্তাহ্‌।”

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! হে এই পরিপূর্ণ আহবান ও প্রতিষ্ঠালাভকারী নামাযের প্রভু! তুমি মুহাম্মাদ (সাঃ) কে অসীলাহ্‌ (জান্নাতের সুউচ্চ স্থান) এবং মর্যাদা দান কর। আর তাঁকে সেই মাক্বামে মাহ্‌মূদ (প্রশংসিত স্থানে) প্রেরণ করো যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দান করেছ।

📖✒ (বুখারী ৬১৪নং, আবূদাঊদ, সুনান, তিরমিযী, সুনান, নাসাঈ, সুনান, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান)

Offline fahad.faisal

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 734
  • Believe in Hard Work and Sincerity.
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #81 on: October 24, 2018, 12:42:51 AM »
Thank you for sharing.
Fahad Faisal
Department of CSE

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #82 on: January 20, 2019, 01:40:19 PM »
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
اعتدلوا في السجود، ولا يبسط أحدكم ذراعيه انبساط الكلب.
“তোমরা সেজদার মধ্যে স্থির হও, তোমাদের কেউ তার বাহুদ্বয় কুকুরের ন্যায় বিছিয়ে রাখবে না”।[বুখারি: (৮২২), মুসলিম: (৪৯৩)]

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #83 on: January 31, 2019, 08:51:14 PM »
মহানবী (সাঃ) বলেন, “তোমরা আল্লাহর যিকরে উপস্থিত হও (খুতবা বা বয়ানে উপস্থিত থাকা)এবং ইমামের নিকটবর্তী হও। আর লোকে দূর হতে থাকলে বেহেশত প্রবেশেও দেরী হবে তার; যদিও সে বেহেশ্তে প্রবেশ করবে।”
(আবূদাঊদ, সুনান ১১০৮নং)

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #84 on: February 11, 2019, 10:32:55 AM »
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছে- কোন মোসলমান অপর মোসলমানকে গালি দিলে, সে ফাসেকের কাজ করিল বলিয়া সাব্যস্ত হয় এবং কোন মোসলমান অন্য মোসলমানের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহ, মারামারি, কাটাকাটি করিলে সে কাফেরের কাজ করিল বলিয়া সাব্যস্ত হয়।
বোখারী শরীফ - ১ম খণ্ড - হাদিস নং -৪৪

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #85 on: March 11, 2019, 10:04:21 AM »
"আর আল্লাহকে যে ভয় করবে, তিনি তার পাপরাশি মোচন করবেন এবং তাকে দেবেন মহাপুরস্কার।"

--[সূরা তালাক ৬৫, আয়াত ৫]

Offline tokiyeasir

  • Hero Member
  • *****
  • Posts: 905
  • Test
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #86 on: March 11, 2019, 11:21:59 AM »
Ameen ,,,!

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #87 on: March 24, 2019, 12:12:33 PM »

রাসূল সা.-এর পানিপান বিধান
রাসুলুল্লাহ সা.-এর নির্দেশিত পানিপানের বিধান হলো : ১. বসে পান করা। ২. পানির পেয়ালা ডান হাতে নিয়ে পান করা। ৩. কমপক্ষে তিন শ্বাসে পান করা। ৪. পানি পানে কোনো সোনা-রুপার পাত্র ব্যবহার না করা। ৫. মাটির মাত্র যদি এমন হয়, যার ভেতরটা নজরে না আসে, তবে সেটার মুখে মুখ লাগিয়ে পান না করা (কারণ, তাতে বিষাক্ত ও অখাদ্য কিছু থাকতে পারে)। ৬. বিসমিল্লাহ বলে পান করা এবং পান করে আলহামদুলিল্লাহ বলা।
মহানবী সা.-এর পানিপান বিধি অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত ও পরিপূর্ণ কল্যাণদায়ী। আমরা তার পানিপান বিধি অনুসরণ করলে সুস্বাস্থ্য ও সার্বিক কল্যাণের অধিকারী হতে পারব। রাসুল সা.-এর এই গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত পালনের তাওফিক আল্লাহ আমাদের সবাইকে দান করুন, এই কামনা করি।

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #88 on: April 06, 2019, 07:20:54 PM »
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেন, আল্লাহর নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় আমল হল ওয়াক্তমত নামায় আদায় করা।- বোখারী

Offline Md. Zakaria Khan

  • Sr. Member
  • ****
  • Posts: 375
  • active
    • View Profile
Re: আল্লাহর জন্য ভালোবাসা
« Reply #89 on: June 16, 2019, 10:14:22 AM »
|| রোগী দেখতে যাওয়ার অপরিসীম ফযিলত ||
.
হযরত সাওবান (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স) বলেন,
.
"কোন মুসলিম যখন তার অসুস্থ ভাইকে দেখতে যায়, সে ফিরে না আসা পর্যন্ত জান্নাতের 'খুরফা' আহরণ করতে থাকে।
.
"জিজ্ঞেস করা হলঃ "জান্নাতের খুরফা কি??"
.
রাসূলুল্লাহ (স) উত্তরে বলেন, "এর (জান্নাতের) ফলমূল।"
.
[মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন, ৩য় খন্ড, হাদিস নং- ৮৯৮]
.
হযরত আলী (রা) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (স) বলেন,
"কোন মুসলিম সকাল বেলা তার অসুস্থ ভাইকে দেখতে গেলে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করতে থাকে। আর সন্ধ্যায় কোন অসুস্থ ভাইকে দেখতে গেলে সকাল পর্যন্ত ৭০ হাজার ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করতে থাকে। আর তার জন্য জান্নাতে ১টি ফলের বাগান নির্ধারিত করে দেয়া হয়।"
.
[তিরমিযী, রিয়াদুস সালেহীন, ৩য় খন্ড, হাদিস নং- ৮৯৯]