ফাইভ-জি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার আয়ের সুযোগ

Author Topic: ফাইভ-জি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার আয়ের সুযোগ  (Read 1247 times)

Offline 710001508

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 102
  • Test
    • View Profile
    • Super Сasual Dating Actual Women
আগামী পাঁচ বছরে ফাইভ-জি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শিল্পে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছেন হুয়াওয়ের আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট জেমস উ। বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি)-২০১৯ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
বার্সেলোনায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হুয়াওয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রেসিডেন্ট জেমস উ বলেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে আগামী ৫ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে গড়ে ৫-৬ শতাংশ হারে এবং এই প্রবৃদ্ধি অর্জনে মূল ভূমিকা পালন করবে ডিজিটাল অর্থনীতি, যা হবে মোট প্রবৃদ্ধির ২০ শতাংশ। এই অঞ্চলের দেশগুলোতে ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা একটি ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করব।’

জেমস উ বলেন, ‘২০২০ সালের আগে ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও হংকংসহ ১১টি দেশ ও আঞ্চলিক বাজারে ফাইভ-জির ব্যাপক বাণিজ্যিকীকরণ হবে। আগামী ৫ বছরে এই অঞ্চলে ফাইভ-জি ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৮০ মিলিয়ন। ফলে তারহীন প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল ও বুদ্ধিবৃত্তিক যন্ত্রাংশ সামাজিক উৎপাদনশীলতাকে গড়ে ৪-৮ শতাংশ বাড়াবে। হুয়াওয়ে ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার গ্রাহকদের কাছ থেকে ফাইভ-জি পরীক্ষার আমন্ত্রণ পেয়েছে।’
জেমস উ বলেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ফাইভ-জি সম্প্রসারণে ২০১৯ সাল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফাইভ-জি ভেন্ডর হিসেবে হুয়াওয়ে এই অঞ্চলের সব অপারেটরের ফাইভ-জির স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করবে। গ্রাহকদের সহায়তা করতে এবং চলমান প্রযুক্তি ব্যবহার করে ন্যূনতম উপকার পেতে আমরা ফাইভ-জি, ব্রডব্যান্ড, ক্লাউড, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্মার্ট ডিভাইস প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছি।’

গত বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও হুয়াওয়ের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র দেশগুলোতে হুয়াওয়ের ফাইভ-জি উন্নয়নের অংশীদার না করার আহ্বান জানিয়েছে এবং জাতীয় ও ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে দাবি করে আসছে। যদিও হুয়াওয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছে, তাদের প্রযুক্তি গুপ্তচরবৃত্তিতে ব্যবহার হতে পারে, তবে এখন পর্যন্ত এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ মেলেনি।