তিনি লিখে চলেন অক্লান্ত। সেই লেখাটি লিখতে চান তিনি। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লেখা হয়। কিন্তু কোনটিই সেই লেখা নয়। যে লেখা লিখে তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ঘুমাতে যাবেন। তার পর আর কোন লেখা লিখবেন না। কেননা আসল লেখা হয়ে গেছে। লিখে লিখে খাতা ভরে যায়। পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলে দেন তিনি।
এ কেমন তৃষ্ণা? যার কোন তৃপ্তি হয় না। মনে হয় - এই তিনি তার আসল লেখা লিখে ফেলেছেন। তারপরই তা ছিঁড়ে ফেলে দেন তিনি ঝুড়িতে।
কেউ কি লিখেছে নিজের লেখা - যেটি লিখে তৃপ্তিতে মন ভরে গেছে? এর পর আর কোন লেখা লিখতে ইচ্ছা হয়নি?
কত লেখা শেষ হয়। কিন্তু কোনটিতেই লেখা হয়নি তার মনের আসল কথা। ছেড়া কাগজের স্তুপের মাঝে বসে মনে হয় - চারিদিকে কত পানি। ঠিক তার ঠোঁটের নীচে আছে। কিন্তু কোনটাই তৃষ্ণা মেটাতে পারে না।
কেউ তার সেই লেখা লিখতে পারেনি সেই লেখা। সবাই তৃষ্ণা নিয়েই শেষ করেছে তাদের লেখা।
পাখি গান গেয়ে শেষ করতে পারেনি। ফুল ফুটে আবার ঝরে যায়। বাতাসে বয়ে চলে তাদের হাহাকার। কোথায় সেই তৃপ্তি ও শান্তি? কোন গানই মন ভরাতে পারেনি। কোন রঙ ছড়াতে পারেনি সেই বর্ণচ্ছটা।
খরার মাঠে সেই বর্ষণের হাহাকার। নদী বয়ে চলে - শোনা যায় অতৃপ্ত স্রোতের শব্দ।
সমুদ্রের মাঝে বয়ে চলে সেই অতৃপ্ত হৃদয়ের কান্নার আওয়াজ।