(দিন শেষে কিছু লেখা)
আনন্দ গুলো লিখে বুঝানো যায় না। লেখার থেকে হাসি মুখ দেখে বেশী বোঝা যায়। দুঃখও লিখে বুঝানো যায় না। এর থেকে কান্না দেখে দুঃখ বেশী বোঝা যায়।
মানুষের মন কত অদ্ভুত। মনের অনুভুতি গুলো লিখে বা কথায় বোঝানো খুব কঠিন। মনের অনুভুতি গুলো কেবলমাত্র অনুভব করা সম্ভব।
একজায়গায় পড়েছিলাম - একজন মানুষের তিনটি অংশ থাকে। দেহ, মন ও আত্মা।
মন অনেক শক্তিশালী। সে যত ভাবে অনুভব করতে পারে তার খুব কমই আমরা প্রকাশ করতে পারি। সে ভুলে না কিছুই। কিন্তু আমরা নিজেরা ভুলে যাই। ঘুম থেকে উঠা মাত্র দেখা স্বপ্নের সব কিছুই মনে থাকে। সময় গেলে সেই স্বপ্ন মনে করা কত কঠিন। খুব ছোটবেলার কতকিছু চোখের সামনে ভেসে উঠে। স্পষ্ট মনে পরে যায় সেই মানুষগুলোকে, সেই বাড়ি, সেই মাঠ। কিন্তু এখন আর জানা নেই তারা কারা ছিল? কোন বাড়ি ছিল সেটা? কোথায় সেই শব্দের অনুরণন?
মাঝে মাঝে মনে হয় - মন আমাদের সাথে সবসময় হেয়ালী করে চলে। সে জানে অনেক কিছু। কিন্তু আমাকে জানতে দেয় না। লুকিয়ে রাখে। যে মন আমার বলি।
মন অসংখ্য ডাইমেনশনে অনুভব করতে পারে। সেখানে আমরা প্রকাশ করতে পারি বড়জোর একটি বা দুইটি ডাইমেনশনে।
মন কখনো অতীতে চলে যায়। কখনো বর্তমানে আবার কখনো বা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভেবে চলে। কখনো কাছে দেখে, কখনো বা বহু দূরের জিনিষ নিয়ে ভেবে চলে। কখনো সে বন্ধুত্ব করে কখনো রেগে যায় কখনো বা সব কিছু হাল্কা ভাবে নেয়। মনের ইনপুট দেয় আমাদের চোখ, কান, নাক - এরা। এদের মাধ্যমেই মন অভিজ্ঞতা অর্জন করে। আমরা যা দেখি তাই নিয়ে কেবল ভাবতে পারি। আমরা যা শুনি তাই নিয়ে কেবল ভেবে চলি। সত্যি কি তাই? এর বাইরে কি কিছু নাই?
তাহলে একই গ্লাস একজন অর্ধেক পূর্ণ আর আরেকজন অর্ধেক খালি দেখে কেন? একই কথা একজন বিশ্বাস করে আরেকজন অবিশ্বাসের সাথে প্রশ্ন তুলে? কিংবা একজন হত্যা করে অপরজন সেবা করে? সেই একই চোখ কান নাক সব মানুষের। কিন্তু কত পার্থক্য তাদের চিন্তা চেতনায়।
কিভাবে মানুষ কবিতা লিখে? গানের সুর গুলো কোথা থেকে আসে? চোখ বন্ধ করে কিভাবে মানুষ কল্পনা করে যায়? সে তো আগে শুনে নাই সেই সুর,দেখে নাই সেই ছবি।
কিভাবে একজন মানুষের মনের স্বপ্ন হাজার মানুষের মাঝে প্রজ্জলিত হয়?