স্বাস্থ্য নিয়ে আজকাল অনেক তথ্যই পাওয়া যায় ইন্টারনেটে। পুষ্টি, স্থূলতা, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ে অনেক ধরণের তথ্য থাকে সেখানে। তবে এগুলোর মধ্যে কোনটা ভুল আর কোনটা সঠিক সেটা বোঝা মুশকিল। স্বাস্থ্য নিয়ে এমন কিছু তথ্য লোকের মুখে মুখে ফিরছে যে ঠিক না ভুল যাচাই হওয়ার আগেই তা প্রচলিত বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে। যেমন-
১. ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে, হজমের উন্নতি ঘটাতে,শরীর সুস্থ রাখতে পানির গুরুত্ব অপরিসীম। তবে তাই বলে গুণে গুণে প্রতিদিন আট গ্লাস পানিই খেতে হবে এমন ধারণা ভুল। যখনই পিপাসা লাগবে, তখনই পানি খাবেন। পানির পরিবর্তে কখনও স্যুপ, রসালো ফল বা সবজিও খেতে পারেন। এতেও পানির পিপাসা মিটবে।
২. দিনে একটার বেশি ডিম খেলে হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হয় এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়।আবার এটাও প্রচলিত আছে,ডিমের কুসুম খাওয়া ঠিক নয়। শুধু সাদা অংশ খাওয়া ভাল। এটা ঠিক নয়। দিনে সর্বোচ্চ দুটি ডিম খাওয়া যায়। এটা সবার জন্যই পুষ্টিকর একটি খাবার।
৩. ঠাণ্ডা জায়গায় থাকলে সর্দি-কাশি বাড়ে, এটাও ভুল ধারণা। বরং হালকা ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় যিনি থাকেন তিনি অন্যদের চেয়ে বেশি সুস্থ থাকেন। কারণ, হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা জায়গার বদলে হালকা ঠাণ্ডা জায়গায় থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আর অসুস্থ হয়ে ঘরে বসে থাকলে মানুষ আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। কারণ বদ্ধ জায়গায় জীবাণু বেশি ছড়ায়।
৪. সুস্থ থাকতে নিয়মিত মাল্টি ভিটামিন খেতে হবে এমন ধারণা ঠিক নয়। সঠিক খাদ্যতালিকা বিশেষ করে সবজি, ফল, দানা শস্য বেশি করে খেলে এমনিতেই মাল্টি ভিটামিন পাওয়া যায়। এর জন্য আলাদা ওষুধ খেতে হবে না।
৫. আমরা জানি, সবুজ বা হলদে কফ মানেই জীবাণুর সংক্রমণ। অনেক সময় সাইনাস হলে বা সাধারণ সর্দি-কাশিতেও কফ হলুদ বা সবুজ হয়ে যেতে পারে।
৬. অনেকেই টয়েলেট সিট নোংরা দেখলেই কুকুড়ে যান। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানে না, বাথরুমের দরজা, দরজার হাতল আর মেঝেতে টয়লেট সিটের চেয়ে বেশি জীবাণু থাকে।জীবাণুমুক্ত থাকতে বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে হ্যাণ্ডওয়াশ ব্যবহার করুন।
সূত্র : এনডিটিভি