স্তব্ধ সময়। যখন কাজ গুলো পড়ে থাকে একাএকা।
শূণ্য পানে কি এক হাহাকার। মনে হয় নিভে যাক প্রদীপ শিখা। অন্ধকারে ভরে যাক আলোকোজ্জ্বল ঘর। তার মাঝে খুঁজে ফিরি সেই সময়। আর সেই মানুষগুলোকে। কত আলো ছিল চারিদিকে। আর সেই নীল আকাশ। সবুজ ঘাসের ভীরে আর সেই ঘন জঙ্গলে হারিয়ে যাওয়া। তৃষ্ণার্ত হৃদয়ে কি এক হাহাকার।
কোথায় সেই মানুষগুলো? একেক করে তারা হারিয়ে যায়। বলা হয়নি বিদায়ের কথা। বলা হয়নি কত ভালবাসি তোমায়।
চারিদিকে শুধু বিদায়ের সুর। মনে হয় থেমে যাক সময়। আলো নিভে যাক। শুনে চলি বাতাসের কান্না গুলো। ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ে অনুভব হয় বলা হয়নি তাকে। বলা হয়নি কত অনুভব করি তোমায়।
আনন্দের গান আর শোনা হয়নি। ভেঙ্গে গেছে সুর। আলো নিভে গেছে। কোথায় হারিয়ে গেল আনন্দের সেই সময়?
সোনালি রোদে মাঠের ঘাসে স্ফটিকের মত জলের ধারা। তার মাঝে ছুটে চলে শিশুটি। কিংবা ঘুমিয়ে থাকে যখন শোনা যায় শ্বাসের শব্দ। অলস দুপুরে বারান্দায় একাকী ঘুরে বেড়ায়। মনে পড়ে তাকে। খেলা ফেলে ছুটে চলে ঊর্ধ্বশ্বাসে।
যে ছিল পাশে পাশে। ভোর সকালে স্কুলে যাওয়ার সময়। নিশ্চিন্তে থাকে। মাথার উপরে আছে বটবৃক্ষের ছায়া।
চলে গেছে তারা। একাকী। নাকি তাকে একা ফেলে চলে গেছে সবাই? এক দুই তিন ...। সংখ্যায় গননা করলে তারাই তো বেশী। বেড়ে চলে সংখ্যা। বেড়ে চলে শ্বাসের শব্দ। পাতা ঝরে চলে অজস্র।
ঘরে একাকী বসে থাকে। এটাই কি তার ঘর? নাকি অন্য কোথায়? সে জানে সে ঘরে চলেছে। কোথায় সে জানেনা। শুধু এইটুকুই নিশ্চিত জানে যেতে হবে ঘরে। যেখানে অপেক্ষায় তারা আছে।
সেই ছোট ঘর। মনে হয় বিশাল তার জানালা। দখিনা বাতাসে উড়ে যায় পাতা গুলো। উজ্জ্বল আলোতে ভরপুর। তারা অপেক্ষায় আছে কখন সে আসবে। কখন ছুটি হবে। কখন সূর্য ডুবে সন্ধ্যা হবে? কখন ভাংবে তার খেলা।
(দুঃসহ প্রতীক্ষার প্রহর।)