• স্ট্যান্ডার্ড ডায়েট: খাদ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ চর্বি, ২০ শতাংশ প্রোটিন ও মাত্র ৫ শ

Author Topic: • স্ট্যান্ডার্ড ডায়েট: খাদ্যে প্রায় ৭৫ শতাংশ চর্বি, ২০ শতাংশ প্রোটিন ও মাত্র ৫ শ  (Read 1002 times)

Offline Rubaiya Hafiz

  • Full Member
  • ***
  • Posts: 103
    • View Profile
হেপাটাইটিস নিয়ে জনমনে রয়েছে নানা রকম আতঙ্ক আর বিভ্রান্তি। অনেকে নিজের অজান্তেই রক্তে এ রোগের জীবাণু বহন করে চলেছেন। আবার অনেকে এ সম্পর্কে হয়তো জানতে পারেন লিভার সিরোসিস হওয়ার পর।

হেপাটাইটিস ভাইরাস পাঁচ রকমের। এর মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সংক্রমণ ও জটিলতা তৈরি করে কেবল হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস। বিশ্বে হেপাটাইটিস বি অথবা সি আক্রান্ত প্রায় ৯০ শতাংশ লোকই জানে না যে তারা এ ভাইরাস বহন করে চলেছে। ফলে না জেনেই তারা ভাইরাসটি ছড়াতে থাকে। বাংলাদেশেও প্রায় এক কোটি মানুষ বি অথবা সি ভাইরাসে আক্রান্ত।হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ

রোগের বিস্তার না ঘটা পর্যন্ত বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোনো নির্দিষ্ট লক্ষণ স্পষ্ট হয় না। হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হলে শরীর দুর্বলতা, বমিবমিভাব, পেটব্যথা, শরীর হলুদ বর্ণ ধারণ করা এবং হলুদ প্রস্রাবের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে রোগের বিস্তার ঘটলে পেটে পানি আসা, রক্ত পায়খানা ও রক্তবমি হতে পারে। এমনকি রোগী চেতনাও হারাতে পারে।

যেভাবে ছড়ায়

হেপাটাইটিস এ এবং ই ভাইরাস খাদ্য ও পানির মাধ্যমে ছড়ায়। এগুলোর সংক্রমণে যে জন্ডিস হয়, তা সাধারণত সম্পূর্ণভাবে সেরে যায়। কিন্তু হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস অনিরাপদ যৌনসংসর্গ, অনিরাপদ রক্ত গ্রহণ, ইনজেকশনের মাধ্যমে নেশাজাতীয় দ্রব্য গ্রহণ, একাধিক ব্যক্তির একই ব্লেড-কাঁচি ব্যবহার, অনিরাপদ দাঁতের চিকিৎসা বা বিভিন্ন অনিরাপদ অস্ত্রোপচার এবং সন্তান জন্মদানের সময় আক্রান্ত মা থেকে শিশুতে সংক্রমণ হতে পারে।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তের নানা ধরনের অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি পরীক্ষার মাধ্যমে এ রোগ শনাক্ত করা যায়।

চিকিৎসা

এ এবং ই ভাইরাস সংক্রমণজনিত হেপাটাইটিস বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আপনা–আপনি ভালো হয়ে যায়। অল্প কিছু ক্ষেত্রে শুধু বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। বি ভাইরাস নির্মূল করা না গেলেও চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। সি ভাইরাসও চিকিৎসার মাধ্যমে নির্মূল করা যায়। অনেকের ধারণা, হেপাটাইটিস বি বা সি সংক্রমণ হলে আর কোনো আশা নেই, লিভার বা যকৃত নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু বর্তমানে এ দুটো ভাইরাস নির্মূলের জন্য আধুনিক অ্যান্টি–ভাইরাল থেরাপি রয়েছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে চিকিৎসকের পরামর্শে, প্রয়োজনে জীবনব্যাপী গ্রহণ করে যেতে হবে।

এ ছাড়া হেপাটাইটিস এ ও বি–এর প্রতিষেধক টিকা আছে, যার মাধ্যমে এসব ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্ভব।

সঠিক সময়ে প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা না করালে হেপাটাইটিস থেকে যকৃত অকার্যকর হয়ে পড়া বা লিভার ফেইলিউর, লিভার সিরোসিস বা ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। কাজেই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জেনে নিন আপনি হেপাটাইটিসে আক্রান্ত কি না।

সহকারী অধ্যাপক (মেডিসিন) গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা

প্রশ্ন: বয়স ১৬। হেলে কাজ করতে গেলে বুকের বাঁ পাশে ব্যথা অনুভব হয়। করণীয় কী?

উত্তর: এটি সম্ভবত পেশি বা মাসলের ব্যথা। এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। তবে ব্যথা অতিরিক্ত মনে হলে মেডিসিন বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া দরকার।